২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

সিইসির ‘অখ্যাত’ ভাগিনায় কপাল পুড়ল সাবেক প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীরের

সিইসির ভাগিনা শাহজাদা সাজু। - ছবি: সংগৃহীত

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা-দশমিনা) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার ছোট বোনের ছেলে এস এম শাহজাদা সাজু। এই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসাইন। যিনি কেন্দ্রিয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। মন্ত্রিসভায় প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেছেন।

এস এম শাহজাদা সাজু ১৯৯০ সালে পটুয়াখালী সরকারি কলেজ থেকে ডিগ্রি পাস করেন বলে জানা গেছে। ছাত্রলীগ বা আওয়ামী লীগের কোন পর্যায়ে কর্মী বা নেতা ছিলেন এরকম কোন তথ্যও জানা যায়নি। এমনকি আওয়ামী লীগ বা অঙ্গসংগঠনের প্রাথমিক সদস্য ফরম পূরণ করেছেন বলেও জানা যায়নি।

তারপরও এরকম গুরুত্বপূর্ণ আসনে আওয়ামী লীগের মতো দলের মনোনয়ন প্রাপ্তিতে জেলার অনেকেই অবাক। জেলার সাধারণ ভোটার ও সাধারণ মানুষের মুখে মুখে সাজুর মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়টি আলোচনা হচ্ছে।

এছাড়া ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ থেকে সিইসির ভাগিনার মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়টি ছিল রোববার ‘টক অব দ্যা কান্ট্রি’।

অন্যদিকে মনোনয়ন বঞ্চিত আ খ ম জাহাঙ্গীরের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের সময় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন
আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসাইন। সে সময় ছাত্রদের নিয়ে এরশাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ সংগ্রামে প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করেছিলেন তিনি। এর ফলও পান হাতে নাতে। ১৯৯১ সালে সংসদ নির্বাচনে পটুয়াখালী-৩ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

এরপর তিনি আওয়ামীলীগের সহ দপ্তর সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেছিলেন। জাহাঙ্গীর আওয়ামীলীগের একজন সংস্কারপন্থী নেতা ছিলেন।

আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসাইন ১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে পটুয়াখালী-৩ আসনে আওয়ামী লীগ থেকে সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছিলেন। তিনি তিনবারই সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।

তিনি প্রথম শেখ হাসিনা সরকারের মন্ত্রীসভায় বস্ত্র প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান ১৯৯৮ সালে। ২০০৬-২০০৮ বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংকটকে সমর্থন ও আওয়ামী লীগে দলীয় সংস্কার চাওয়ায় তিনি ২০০৮ সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পাননি। ফলে এ আসনের মনোনয়ন পায় গোলাম মাওলা রনি।

২০১৩ সালে আওয়ামী লীগের সকল কমিটি থেকে জাহাঙ্গীরকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। পরবর্তীতে তিনি আওয়ামীলীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার সাথে সাক্ষাৎ করে নিজের ভুল স্বীকার ও ক্ষমা চান, শেখ হাসিনাও তাকে ক্ষমা করে দেন এবং ২০১৪ সাধারণ নির্বাচনে পুনরায় মনোনয়ন পান। তিনি ৫ জানুয়ারি ২০১৪ নির্বাচনে পটুয়াখালী-৩ থে‌কে আবারও সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।


আরো সংবাদ



premium cement