১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

নিষেধাজ্ঞা শেষ: আবার ইলিশে ভরে উঠবে বাজার

নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ায় নতুন উদ্যমে ইলিশ শিকার শুরুর আগে জাল মেরামতের কাজ করছেন এক জেলে - নয়া দিগন্ত

কথা বলার সময় নেই কারও। কেউ এখনো শেষ বারের মতো জাল বুনছেন, আবার কেউ কেউ শেষবারের মতো দেখে নিচ্ছেন জাল। কাছাকাছি নদীর তীর ঘেঁষে কয়েকজন জেলে জাল মেরামতে ব্যস্ত।

দীর্ঘ ২২ দিন প্রজনন মৌসুমে ইলিশ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় অলস সময় কাটানোর পাশাপাশি জাল ও ট্রলারও মেরামত করেছেন জেলেরা। উপকূলীয় বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার জেলে পল্লী ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে।

আজ রোববার মধ্যরাতে ইলিশ শিকারের ওপর সরকারি নিষেধাজ্ঞা শেষ হচ্ছে। তাই গভীর সমুদ্রগামী জেলেদের আবারো শুরু হচ্ছে ইলিশ মৌসুম। উপকূলীয় জেলে পল্লীর জেলেরা এখন মহাব্যস্ত।

সংসারের জীবিকা নির্বাহে ইলিশ শিকারের জন্য অনেক ইতোমধ্যেই সব রকমের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন।

এর আগে ৭ অক্টোবর থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত টানা ২২ দিন সাগরে মাছ ধরার ওপর সরকারি নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। সোমবার ভোর থেকেই দেশের বৃহত্তম মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে পাথরঘাটা বিএফডিসি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রসহ বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে ইলিশ শিকারে নিয়োজিত ট্রলারগুলো ছাড়তে শুরু করবে।

পাথরঘাটার জেলেপল্লীতে গিয়ে দেখা যায়, সোমবার ইলিশ শিকারের উপর নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ায় সাগরে মাছ ধরতে যাওয়ার জন্য জেলেরা ইতোমধ্যেই সকল পূর্ব প্রস্তুতি শেষ করছেন। জেলেদের পাশাপাশি প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন ট্রলার মালিকরাও।

জেলে মনির, ফোরকান, ইলিয়াস, বাদশা, এমাদুল ও সরোয়ার বলেন, ট্রলার মেরামত করা সম্পন্ন হয়েছে আরও আগে। এখন জালের শেষ অবস্থা দেখে নিচ্ছি।

অপরদিকে ট্রলার মেরামত ঘাটে (ডকইয়ার্ডে) গিয়ে দেখা যায়, ট্রলার মেরামতকারী ফারুক, আল আমিন ও ছাত্তার সাগরে নামানোর আগে ট্রলারগুলোর শেষ পর্যায়ের রঙের কাজ করছেন। তারা জানান, অধিকাংশ ট্রলার ইতোমধ্যে মেরামত করা হয়েছে। এখন কয়েকটি ট্রলারে কেবল আলকাতরা লাগানো বাকি আছে। সেটাও রোববারের মধ্যেই সম্পন্ন হয়ে যাবে।

বরগুনা জেলা মৎস্য অফিসের তথ্যানুযায়ী জেলার ছয়টি উপজেলায় মোট সরকারিভাবে নিবন্ধিত জেলে রয়েছে ৪৫ হাজার ৬শত ২১ জন। তাদের মধ্যে পাথরঘাটায়ই ১৪ হাজারের বেশি। আর বেসরকারি হিসেবে পাথরঘাটা উপজেলায় জেলে রয়েছে প্রায় ৩০ হাজারের বেশি।

বরগুনা জেলা ফিশিং ট্রলার শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মোঃ দুলাল মাষ্টার বলেন, আর একদিন পরই আমাদের জেলেরা মাছ ধরতে সাগরে যাবেন। অনেক আশা নিয়ে জেলে ও শ্রমিকদের সাগরে পাঠাচ্ছি। তবে এবার সাগরে জলদস্যুদের আতঙ্ক তেমন নেই জেলেদের মাঝে।

বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি মোস্তফা চৌধুরী বলেন, জেলার সবচেয়ে জেলে অধ্যুষিত এলাকা হচ্ছে পাথরঘাটা উপজেলা। এই উপজেলার মোট জনসংখ্যার একটি বিরাট অংশ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জীবিকা নির্বাহের প্রয়োজনে মাছ শিকারের উপর নির্ভরশীল। তিনি আরও বলেন, গত কয়েক বছর ধরে এই উপজেলার জেলেরা সরকারি নিষেধাজ্ঞার সময় ডিমওয়ালা মাছ শিকার করা থেকে বিরত থাকে, যার কারণে কয়েক বছর ধরে মাছের পরিমাণ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।


আরো সংবাদ



premium cement
তেহরানের প্রধান বিমানবন্দরে পুনরায় ফ্লাইট চালু হামলায় কোনো ক্ষতি হয়নি : ইরানি কমান্ডার ইরানের পরমাণু কর্মসূচির ‘কেন্দ্র’ ইস্ফাহান : সাবেক মার্কিন কর্মকর্তা মিয়ানমারের বিজিপির আরো ১৩ সদস্য বাংলাদেশে রুমায় অপহৃত সোনালী ব্যাংকের সেই ম্যানেজারকে চট্টগ্রামে বদলি দুবাইয়ে বন্যা অব্য়াহত, বিমানবন্দর আংশিক খোলা ভারতে লোকসভা নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু শুক্রবার সকালে ঢাকার বাতাস ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ শুক্রবার সকালে ঢাকার বাতাস ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ ১৪ বছরেও হত্যাকাণ্ডের বিচার পায়নি এসআই গৌতম রায়ের পবিবার মিলান-লিভারপুলের বিদায়, সেমিফাইনালে আটলন্টা-রোমা

সকল