২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

গভীররাতে রাস্তায় কেঁদে উঠলো নবজাতক

গভীররাতে রাস্তায় কেঁদে উঠলো নবজাতক। - নয়া দিগন্ত।

বরিশাল নগরীর জনবহুল এলাকা সদররোড থেকে জীবিত এক নবজাতক উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার গভীররাতে সদররোড সংলগ্ন সিটি কলেজের প্রবেশদ্বার থেকে ওই নবজাতককে উদ্ধার করা হয়। কিন্তু নবজাতকের পরিচয় কি বা কোথা থেকে আসলো সেই বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

এমনকি পুলিশ নবজাতককে উদ্ধার করলেও রহস্য উন্মোচিত হয়নি। ফলে বিষয়টি নিয়ে বরিশাল শহরে নানা গুঞ্জনের পাশাপাশি কৌতুহলও সৃষ্টি হয়েছে। অনেকে ধারণা করছেন কোন ব্যক্তি বিশেষের সন্তান নিয়ে এসে কেউ ফেলে রেখেছে। যদিও পুলিশ এখন পর্যন্ত কোন মন্তব্য না করে নবজাতকের স্বজনদের খুঁজে বের করাকে গুরুত্ব দিচ্ছেন।

বর্ণনা মতে, আনুমানিক এক মাস বয়সি কন্যা নবজাতককে সড়কের ওপরে গড়াগড়ি খেয়ে কান্নাকাটি করতে দেখে উৎসুক জনতা সেখানে ভিড় করে বিষয়টি প্রত্যক্ষ করছিলেন। পরবর্তীতে থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে নবজাতককে উদ্ধার করে। কিন্তু পুলিশ কিছুক্ষণ আশপাশ এলাকায় নবজাতকের স্বজনদের খোঁজ করলেও তারা কোন হদিস করতে পারেননি। ফলে নবজাতককে আপাতত পুলিশ সেফহোমে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। আবার মাসখানেক বয়স নবজাতককে মানবিক কারনেও সেখানে পাঠাতে অসম্মত ছিলেন কোতয়ালি থানার ওসি নুরুল ইসলাম।

একপর্যায়ে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন বিদায়ের জন্য অপেক্ষায় থাকা বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র আহসান হাবিব কামালের পুত্র কামরুল আহসান রুপম। ফুটফুটে বাচ্চাটি দেখার পর আবেগতাড়িত হন তিনি। পুলিশের কাছে আর্জি রাখলেন বাচ্চাটি দত্তক নেয়ার। অবশ্য পুলিশ এমন প্রস্তাবে সম্মত থাকলেও আইনের বাধ্যবাধকতার কারণে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাতে পারেননি।

তবে নবজাতক উদ্ধারের বিষয়টি আদালতকে অবহিত করে মেয়রপুত্রের কোলে তুলে দেয়ার সুপারিশ রাখবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন ওসি নুরুল ইসলাম। মানবিক দিক বিবেচনা করে অবুজ শিশুটিকে রাতেই মেয়রপুত্র রুপমের হাতে তুলে দিয়ে আপাতত দেখভাল করার দায়িত্ব দেন। মেয়রপুত্রও খুশি মনে বাচ্চাটিকে নিয়ে বাসায় যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মেয়রপুত্রও খুশি মনে বাচ্চাটিকে নিয়ে বাসায় যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 


আরো সংবাদ



premium cement