২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

হত্যা মামলায় যুবলীগ নেতা ইউপি চেয়ারম্যান জেল হাজতে

-

বরগুনা সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও বরগুনা পৌরশহর যুবলীগের সভাপতি গোলাম আহাদ সোহাগকে হত্যা মামলায় কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার সকালে বরগুনার চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট এম. জাহিদ হাসান এর আদালতে স্বেচ্ছায় হাজির হলে তিনি এ আদেশ দিয়েছেন। এর আগে ওই চেয়ারম্যান বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের হাই কোর্ট বিভাগ থেকে আগাম জামিনে ছিলেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, বরগুনা সদর উপজেলার সদর ইউনিয়নের দক্ষিন হেউলিবুনিয়া গ্রামের ইউনুস মিয়ার স্ত্রী রাশেদা বেগম বরগুনা থানায় ১৫ আগষ্ট সদর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান গোলাম আহাদ চেয়ারম্যান গোলাম আহাদ সোহাগসহ ১২ জনকে আসমী করে এমটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার বাদী এজহারে উল্লেখ করেন, চেয়ারম্যানের হুকুমে তার ছেলে আল-আমিনকে ১২ আগষ্ট সন্ধ্যা অনুমান সাড়ে ৬ টায় আসামী জাহাঙ্গীর তার বাসা হতে ডেকে নিয়ে সকল আসামীরা একত্র হয়ে আসামী মিজানের হেউলিবুনিয়া ব্রীজর পাশে রিক্সার গ্রেজর মধ্যে ঢুকিয়ে প্রথমে আল-আমিনের দুই চোখে মরিচের গুড়ো দিয়ে চাকু দিয়ে দুই চোখ চোখ উপড়ে ফেলে। পরে আসামীরা দাও-ছেনা লোহার রড় ও রামদার পিট দিয়ে আল-আমিনের হাত পা ভেঙ্গে দেয়। মুমূর্ষ অবস্থায় আল-আমিনকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতাল হতে বরিশাল নেয়ার পর ১৩ আগষ্ট চিকিৎসাধীন অবস্থান মারা যায়।

মামলার বাদী রাশেদা বেগম বলেন, নারগিস নামের একটি মেয়ের সঙ্গে ওই চেয়ারম্যানের অবৈধ সম্পর্ক ছিল। আমার ছেলে তা দেখেছে। এ কারণে প্রভাবশালী চেয়ারম্যান গোলাম আহাদ সোহাগ প্রতিশোধ পরায়ণ হয়ে তার লোকজন দিয়ে আমার ছেলে আল-আমিনকে তার ঘর থেকে তুলে এনে চোখ তুলে পিটিয়ে হত্যা করে। আসামী সোহাগ বলেন, আমার প্রতিপক্ষরা আমাকে মিথ্যা মামলায় জড়িত করেছে।

উল্লেখ্য, আল-আমীন হত্যা মামলায় বাকি আসমীরা গত ৪ অক্টোবর আদালতে হাজির হলে বরগুনার চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট তাদেরকে জেলে হাজতে পাঠান। বর্তমানে ১২ জন আসামীর ১০ জন জেল হাজতে রয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement