২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

মনপুরার জেলের লাশ উদ্ধার, নিখোঁজ ২

-

ভোলার মনপুরার ২১ জেলে চট্রগ্রামের বেঙ্গল কোম্পানীর মুক্তার মালা-২ ট্রলারে মাছ শিকারে গভীর সমুদ্রে যাওয়ার সময় কর্ণফুলী নদী সংলগ্ন সাগরে স্পীডবোটযোগে দস্যুরা হামলা চালায়। এই সময় দস্যুরা ট্রলারে মাঝি কালাম সহ অপর মাঝিদের মারধর করে সাগরে ফেলে দেয়। তখন সাগের ভাসতে থাকা ২১ জেলের মধ্যে ১৮ জেলেকে একই কোম্পানীর অপর দুইটি ট্রলার উদ্ধার করলেও ৩ জেলেকে উদ্ধার করতে পারেনি।
এই খবর শনিবার মনপুরায় আসলে নিখোঁজ জেলেদের পরিবারের কান্নায় আকাশ-বাতাস ভারি হয়ে উঠে। পরিবারের সদস্যদের মধ্যে অনেকে স্বজন হারানোর ব্যাথায় জ্ঞান হারিয়ে ফেলে।
এদিকে নিখোঁজ ৩ জেলেরে মধ্যে এক জেলের লাশ রবিবার সকালে সাগর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে যুগান্তরকে মুঠোফোনে নিশ্চিত করেন মুক্তার মালা-২ ট্রলারের মাঝি আবুল কালাম। শুক্রবার দিবাগত রাতে চট্টগামের কর্ণফুলী নদীর খাড়ীর গ্রীন ভয়া সংলগ্ন সাগর মোহনায় দস্যুদের হামলায় এই ঘটনা ঘটে।
নিখোঁজ ৩ জেলের মধ্যে কামাল উদ্দীনের লাশ উদ্ধার করা হয়। নিখোঁজ অপর দুই জেলে হলেন, মোঃ মফিজ ও নজরুল ইসলাম। এদের সবার বাড়ি মনপুরা উপজেলার দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের ২ ও ৩ নং ওয়ার্ডে।
মুক্তারমালা-২ ট্রলারের মাঝি আবুল কালাম ও দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউপি চেয়ারম্যান অলি উল্লা কাজল যুগান্তরকে জানান, শুক্রবার রাতে ইলিশ শিকারের জন্য চট্টগ্রামের বেঙ্গল কোম্পানীর মুক্তার মালা-২ ট্রলারে করে কর্ণফুলী নদীর খাড়ীর গ্রীন ভয়া সংলগ্ন সাগর মোহনায় পৌছালে একদল দস্যু স্প্রীডবোটযোগে এসে ট্রলারে উঠে হামলা করে এলোপাতাড়ি মেরে ২১ জেলে সাগর মোহনায় ফেলে দেয়। পরে সাগরে ভাসতে থাকা ২১ জেলের মধ্যে ১৮ জেলেকে ওই দিনই বেঙ্গল কোম্পানীর অপর দুই ট্রলার উদ্ধার করে নেয়। কিন্তু ৩ জেলে নিখোঁজ থাকে। রোববার সকালে নিখোঁজ ৩ জেলের মধ্যে এক জেলের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও নিখোঁজ রয়েছে ২ জেলে। মুক্তারমালা-২ ট্রলারে থাকা ২১ জেলের বাড়ি মনপুরা উপজেলায় ও এরা সবাই একে অপরের আতœীয় বলে জানান আবুল কালাম মাঝি।
এব্যাপারে মনপুরা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ ফোরকান আলী জানান, চট্টগ্রাম কর্নফুলী নদীতে জলদস্যুদের হামলার শিকারে নিখোঁজদের বিষয়ে আমাকে কেউ এখনও বলেনি। তবে এ বিষয়ে খোঁজ খবর নেওয়ার জন্য চেষ্ঠা করে যাচ্ছি। ঘটনাটি অন্য থানার আওতায়।


আরো সংবাদ



premium cement