২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

বিবস্ত্র করে গৃহবধূকে নির্যাতন!

প্রতীকি ছবি। -

পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রাচীন বর্বরতাকে হার মানার মত ঘটনা ঘটেছে গলাচিপা উপজেলার লোন্দা গ্রামে। শনিবার গলাচিপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গুরুতর আহত আলো বেগম হাউমাউ করে কেঁদে দেন সাংবাদিকদের সাথে।

সূত্র জানায়, পূর্ব শত্রুতার জেরে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় লোন্দা গ্রামে আলো বেগমকে বিবস্ত্র করে লাথি ও পিটিয়ে আহত করে পার্শ্ববর্তী বাড়ির লোকজন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত আলো বেগমকে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে ওই রাতেই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

আলো বেগম জানান, তার স্বামী খোকন ফকির অন্যের সাথে মাছ ধরার জন্য প্রায়ই সাগরে যেত। পাশ্ববর্তী ইব্রাহিম চৌকিদারসহ তার পুত্ররা আলোসহ তার মেয়েকে সর্বত্র অসৌজন্যমূলক আচরন করত।

গত মঙ্গলবার এ সব ঘটনা নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে স্বামী খোকন ফকিরের অনুপস্থিতিতে তার বাড়ির পাশ্ববর্তী পরি বেগম (৪৮), লালন ফকির, রনি ফকির, রুমাসহ আরও অনেকে দলবদ্ধ হয়ে হামলা করে। এ সময় আলো বেগমের শরীরের বিভিন্ন স্থানে পিটিয়ে আঘাত করে ও পড়নের কাপড় জোর করে খুলে বিবস্ত্র করে টেনে হিছড়ে নিয়ে যায় এবং সাথে সাথে আলো বেগম জ্ঞান হারিয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়।

আলো বেগম আরো জানান, অভিযুক্তদের কারনে তার মেয়েকে বাল্য বিবাহ দিতে হয়েছি। এরা এলাকায় গাঁজা মদ খেয়ে পরিবেশ নষ্ট করছে।

আলো বেগমকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে প্রেরণের প্রস্তুতি চলছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে। অভিযুক্তরা জানান, তাদের সাথে দুর্ব্যবহার করার কারনে এ ঘটনা ঘটেছে।

এ ব্যাপারে গলাচিপা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হাদি জানান, আলো বেগমকে মারধর ও বিবস্ত্র করার ঘটনা সত্য। তাকে থানায় পাঠিয়ে দেয়া হয়েছিল। থানা থেকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

 

আরো পড়ুন: খুঁটিতে বেঁধে গৃহবধূকে বর্বর নির্যাতন

তাহিরপুর (সুনামগঞ্জ) সংবাদদাতা, ০৭ আগস্ট ২০১৮

সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় খুঁটিতে বেঁধে আকলিমা বেগম (২৬) নামে এক গৃহবধূকে নির্যাতন করেছে পতিপক্ষের লোকজন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ওই গৃহবধূ উপজেলার ধনপুর ইউপির পশ্চিম ছাতারকোনা গ্রামের সেলিম মিয়ার স্ত্রী।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার (৭আগস্ট) সকাল সাড়ে নয়টার সময় উপজেলার ছাতার কোন গ্রামে পুলিশ সদস্যের পরিবার ও ওই গৃহবধূর পরিবারের মামলা মোকদ্দমার বিরোধ কে কেন্দ্র করে পুলিশ সদস্যের চাচা আব্দুল কদ্দুছের বাড়ির উঠানে পুলিশ সদস্যের পিতা আব্দুল মোতালেব (৬০) ও আইন উদ্দিনের ছেলে আব্দুল মান্নানসহ অন্যান্যরা ওই গৃহবধূর বসত ঘর থেকে তাকে ধরে এনে খুঁটিতে বেঁধে বেধরক মারপিঠ করে। খবর পেয়ে বিশ্বম্ভরপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল গেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। আশংকা জনক অবস্থায় ওই ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

গৃহবধূর স্বামী সেলিম মিয়া জানায়,আমার স্ত্রী আকলিমা গত রোববার আমলগ্রহনকারী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রতিপক্ষের বিরোদ্ধে মামলা দায়ের করায় আমার স্ত্রীকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে খুটিতে বেধে মারপিঠ করা হয়েছে। আমি মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।

নির্যাতিত গৃহবধূ আকলিমা বেগম তবে এ বিষয়ে পুলিশ কনস্টেবল শফিকুল ইসলাম ও তার পরিবার জানায়,গৃহবধূ আকলিমা-পুলিশ সদস্যের মা সুফিয়া খাতুনকে পুলিশ সদস্যের বাড়িতে গিয়ে মারপিঠ করে। পরে আকলিমার আত্মীয়রাই তাকে মারধর করে।

এ বিষয়ে বিশ্বম্ভরপুর থানার ওসি মোল্লা মুনির হোসেন জানান,ঘটনা সর্ম্পকে শুনেছি এখনও কেউ কোন অভিযোগ নিয়ে আসে নি। অভিযোগ পেলে তর্দন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরো পড়ুন : ৩য় শ্রেণির ছাত্রী ধর্ষণ চেষ্টায় শিক্ষক জেলহাজতে

গলাচিপা (পটুয়াখালী) সংবাদদাতা, ০৭ আগস্ট ২০১৮

পটুয়াখালীর গলাচিপায় তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী ধর্ষণ চেষ্টায় মাদ্রাসা শিক্ষক এখন জেলহাজতে। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার সন্ধ্যায় গলাচিপা পৌরশহরের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে টি এন্ড টি রোডের শিক্ষকের বাসায়। সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে খলিলুর রহমানকে সোপর্দ করা হয়।

সূত্রে জানা গেছে, মো. খলিলুর রহমান মৃধা মাছুয়াখালী হানিফি দাখিল মাদ্রাসার সমাজ বিজ্ঞানের শিক্ষক হিসাবে কর্মরত। সে উপজেলার গোলখালী ইউনিয়নের নলুয়াবাগী গ্রামের মৃত মতলেব মৃধার ছেলে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সোমবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে ওই শিক্ষকের ভাড়াকৃত বাসায় ওই ছাত্রী প্রাইভেট পড়তে আসে। প্রাইভেট পড়া শেষে একা পেয়ে মেয়েকে খলিলুর রহমান ধর্ষণের চেষ্টা করলে মেয়েটি ডাক চিৎকার দেয়। তখন স্থানীয়রা ওই শিক্ষককে ধরে থানায় খবর দিলে পুলিশ খলিলুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে।

এ ব্যাপারে গলাচিপা থানা অফিসার ইনচার্জ মো. জাহিদ হোসেন বলেন, ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা হয়েছে, । মঙ্গলবার সকালে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

 আরো পড়ুন: মাদারীপুরে পল্লী চিকিৎসকের পাশবিক নির্যাতনের শিকার মাদ্রাসা ছাত্রী

পাশবিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে পঞ্চম শ্রেণীর এক মাদ্রাসা ছাত্রী। ঘটনাটি ঘটেছে মাদারীপুরের কালকিনির কয়ারিয়া গ্রামে। পরে কালকিনি থানা পুলিশ রবিবার দুপুরে পবিত্র শীল নামে ওই পল্লী চিকিৎসককে আটক করেছে।

নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগে জানা যায়, উত্তর কয়ারিয়া গ্রামের প্রফুল্ল শীলের ছেলে পল্লী চিকিৎসক পবিত্র শীল (৩৫) কালকিনির মোল্লারহাট বাজারে ‘মুক্তা মেডিকেল হল’ নামের ফামের্সী দিয়ে নিজেই চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছিলেন। প্রত্যেক দিন তার ফামের্সীর সামনে দিয়ে স্কুল ও মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রীরা যাতায়াত করতো। এই সুবাদে নির্যাতনের শিকার ওই ছাত্রীকে পবিত্র শীল ‘আংকেল’ বলে ডাকতো।

গত রোববার দুপুরে ওই ছাত্রী মাদ্রাসা থেকে বাড়ী ফেরার সময় টিপটিপ বৃষ্টি হচ্ছিল। এ সময় পবিত্র শীল মেয়েটিকে ‘আংকেল’ বলে ডাক দেয়। কিন্তু মেয়েটি তার ডাকে সাড়া না দিয়ে চলে যাচ্ছিল। পরে তাকে জোর করে দোকানের পিছনে থাকা একটি রুমে নিয়ে নির্যাতনের চেষ্টা করে। মেয়েটি তখন চিৎকার দেয়ার চেষ্টা করলে তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয় এবং বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্যে ভয় দেখায়। বিষয়টি মেয়ের পরিবার জানলেও লোক-লজ্জার ভয়ে কাউকে বলেনি। পরে শনিবার রাতে মেয়ের পরিবার থেকে কালকিনি থানায় অভিযোগ করলে রবিবার দুপুরে ওই পল্লী চিকিৎসককে পুলিশ গ্রেফতার করে।

স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন, পবিত্র শীল এর আগেও কয়েকবার অসামাজিক কর্মকান্ডের জন্যে লাঞ্চিত হয়েছে এবং তার দোকান বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল।

নির্যাতনের শিকার ওই ছাত্রীর মা বলেন, আমার মেয়ে বাড়ীতে এসে অসুস্থ হয়ে পড়ে। শরীরে জ্বর আসে, আমি মনে করেছিলাম বৃষ্টিতে ভিজে জ্বর এসেছে। জ্বর ভাল হলেও মেয়ে আর মাদ্রাসায় যেতে চাচ্ছিল না। এর জন্য তাকে মারধর করা হয়। পরে সে বলেছে, পবিত্র ডাক্তার তাকে মারধর করেছে ও ধর্ষনের চেষ্টা করেছে।

ওই মাদ্রাসা ছাত্রী বলেন, আমি এই পশুর বিচার চাই। সে আমার অনেক ক্ষতি করেছে। আমি আর মাদ্রাসায় যেতে পারছি না। ফলে আর পড়ালেখাও হবে না।

এব্যাপারে মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন দেব জানান, আমি সরেজমিনে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পেয়েছি। পরে ওই পরিবার থেকে কালকিনি থানায় অভিযোগ করা হলে তাকে গ্রেফতার করা হয়। বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক।


আরো সংবাদ



premium cement