২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় ৪ ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র

ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় ৪ ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র - ছবি : সংগৃহীত

বরগুনার পাথরঘাটায় তরুণীকে গণধর্ষণ ও হত্যার পর লাশ গুমের চাঞ্চল্যকর ঘটনায় ছাত্রলীগের ৪ নেতাসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ পত্র (চার্জশীট) দাখিল করেছে ডিবি পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে ধার্য তারিখে পাথরঘাটা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মো: মঞ্জুরুল ইসলাম মামলাটি পরবর্তী কার্যক্রমের জন্য বরগুনা নারী ও শিশু নিযাতন দমন আদালতে স্থানান্তরের আদেশ দেন।

উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক মো. মাহমুদ, পাথরঘাটা কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি রুহি আনান দানিয়াল ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন ছোট্ট, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহিদুল ইসলাম রায়হান এবং পাথরঘাটা কলেজের নৈশপ্রহরী মো. জাহাঙ্গীর হোসেনসহ আরও ২ জনের নাম ওই অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়। এর মধ্যে নৈশ প্রহরী জাহাঙ্গীর হোসেন উচ্চ আদালত থেকে জামিনে আছেন, ছাত্রলীগের ৪ নেতা জেল হাজতে রয়েছে এবং বাকী ২ জন পলাতক রয়েছে।

আদালত সূত্রে জানা যায়, পাথরঘাটায় তরুণী গণধর্ষণের পর হত্যা করে পাথরঘাটা কলেজের পিছনের পুকুরে লাশ গুমের চাঞ্চল্যকর পাথরঘাটা থানার ১২নং মামলাটি দীর্ঘ ১ বছর তদন্ত শেষে পাথরঘাটা উপজেলা ও কলেজ ছাত্রলীগের ৪ নেতা, পাথরঘাটা কলেজের নৈশ প্রহরী জাহাঙ্গীরসহ আরও ২জনকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২০০০ (সংশোধিত ২০০৩) এর ৯ (৩)/৩০ তৎসহ ৩০২/২০১/৩৪ পেনাল কোডে অভিযোগে অভিযুক্ত করে পাথরঘাটা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে বরগুনা জেলা ডিবি পুলিশ।

বিচারক মো. মঞ্জুরুল ইসলাম অভিযোগটি আমলে নিয়ে অভিযোগপত্রে আসামীদের মধ্যে কয়েকজনের বয়স ১৮ বছরের কম হওয়ায় পরবর্তী কার্যক্রমের জন্য বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে স্থানান্তর করেন আদালত।

এদিকে দীর্ঘ ১ বছর পর তদন্ত শেষে অভিযোগপত্র দাখিল করলেও ধর্ষণের পর হত্যার শিকার তরুণীর পরিচয় সনাক্ত করতে পারেনি ডিবি পুলিশ।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও বরগুনা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক মো.বশির উদ্দিন বলেন, আমাদের উর্দ্ধতন কর্তৃক্ষসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় গলিত তরুণীর লাশের ছবি পাঠিয়েছি, কিন্তু কোন সনাক্ত করা যায়নি। এমনকি রিমান্ডে বারবার চেষ্টা করেও আসামীদের মুখ থেকে তরুণীর পরিচয় পাওয়া যায়নি। তিনি আরও বলেন, তদন্তকালীন আসামীদের মধ্যে কয়েকজন শিশু এমন কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

 ২০১৭ সালের ১০ আগস্ট পাথরঘাটা কলেজের পশ্চিম পাশের পুকুর থেকে অজ্ঞাত এক তরুণীর গলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই বছরের ১১ ও ১২ নভেম্বর ১৬৪ ধারায় সীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় ছাত্রলীগ নেতা মাহমুদ ও নৈশ প্রহরী জাহাঙ্গীর।

আরো পড়ুন :

টাঙ্গাইলে কন্যাশিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় যুবকের মৃত্যুদণ্ড
টাঙ্গাইল সংবাদদাতা

টাঙ্গাইলে আট বছর বয়সী এক কন্যাশিশুকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় এক যুবককে মৃত্যুদ- দেয়া হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক খালেদা ইয়াসমিন এ দ-াদেশ দেন। 

দ-প্রাপ্ত আসামি হচ্ছেÑ টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার ভুটিয়া গ্রামের সাবান আলী ওরফে ফজলুল হকের ছেলে কামরুল ইসলাম (২৪)। বর্তমানে সে জেলহাজতে রয়েছে। 
টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট নাছিমুল আক্তার নাছিম বলেন, ২০১৪ সালের ১৯ মে বিকেলে মধুপুর উপজেলার ভুটিয়া গ্রামের আবুল কালামের মেয়ে বীথি (৮) হাঁটতে হাঁটতে বাড়ির পাশের রাস্তায় গেলে কামরুল ইসলাম তাকে লিচু দেয়ার কথা বলে আকরাচনা খেলার মাঠের পাশের এক জঙ্গলে নিয়ে যায়। সেখানে কামরুল ওই শিশুটিকে ধর্ষণের পর হত্যা করে লাশ ফেলে রেখে যায়। এ ঘটনার ওই দিনই বীথির পিতা আবুল কালাম বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেন। বীথিকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনা স্বীকার করে কামরুল আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দেয়। 

এ মামলায় মোট ১৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে বিচারক একমাত্র আসামি কামরুলের বিরুদ্ধে মৃত্যুদ-ের আদেশ দেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট আব্দুর রাজ্জাক।

 


আরো সংবাদ



premium cement