২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

ধর্ষণের পর কিশোরী প্রেমিকাকে যৌনপল্লীতে বিক্রি

-

বরগুনার তালতলীতে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে কিশোরীকে ধর্ষণের পর যৌনপল্লীতে বিক্রি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে এক সন্তানের জনক আবুল কালাম (৩০) নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে। সে মেনীপাড়া গ্রামের আ: বারেক হাওলাদারের ছেলে ও সখিনা কোষ্টগার্ড বোটের মাঝি।

ধর্ষিতার পারিবারিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আবুল কালাম ছোটবগী গ্রামের মত মজিবর হাওলাদারের কিশোরী মেয়ে মৌসুমী অক্তারের (১৪) সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে। বিয়ের প্রলোভন দিয়ে দীর্ঘ দুই বছর ধরে অবৈধ সম্পর্ক জড়িয়ে পড়ে। চার মাস পূর্বে আবুল কালাম কথিত প্রেমিকা মৌসুমী আক্তারকে চিকিৎসার কথা বলে পটুয়াখালী নিয়ে যৌন পল্লীতে ৫০ হাজার টাকার বিনিময় বিক্রি করে দেয়।

 

আরো পড়ুন: বিয়ের প্রলোভনে উজিরপুরে প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণ

উজিরপুর (বরিশাল) সংবাদদাতা, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬

বরিশালের উজিরপুরে এক প্রতিবন্ধি কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের। ওই ঘটনা ধামাচাঁপা দিতে একাধিকবার সালিশ বৈঠক করেছে একটি প্রভাবশালী মহল। এমনকি ঘটনাটি প্রকাশ না করার জন্য ওই কিশোরীকে নানাভাবে হুমকি ধামকিও দেয় ওই মহলটি। এ ঘটনায় শুক্রবার ধর্ষিতা কিশোরীর মা ঝর্না বেগম বাদী হয়ে ধর্ষক আলম বেপারীকে অভিযুক্ত করে উজিরপুর মডেল থানায় একটি ধর্ষন মামলা দায়ের করেছে।

পুলিশ কিশোরীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরন করেছে। মামলা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার মোড়াকাঠী গ্রামের খালেক সরদারের বসতঘরে বাদী ঝর্না বেগমের কিশোরী প্রতিবন্ধি কন্যা (১৫) কে ঝিয়ের কাজ করে। সেই সুযোগে একই বাড়ির হাসেম বেপারীর পূত্র লম্পট আলম বেপারী ওই কিশোরীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ধর্ষন করে আসছে।

গত ২৪আগষ্ট সন্ধ্যা ৭টার দিকে কিশোরীকে ঘরে একা পেয়ে শেষ বারের মত লম্পট আলম পুনরায় ধর্ষন করে। ঘটনাটি বাড়ির মালিকের পূত্রবধু রুমা খানম দেখে ফেলায় আলম পালিয়ে যায়। পরে বিষয়টি প্রকাশ না করার জন্য নানা ভাবে হুমকি দেয় আলমের লোকজন। বিষয়টি নিয়ে প্রভাবশালী একটি মহল একাধিকবার সালিশ বৈঠক করে ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চালায়।


মৌসুমী আক্তার জানায়, কোষ্টগার্ড মাঝি আবুল কালাম আমাকে পটুয়াখালী যৌনপল্লীর শাহনাজ নামে এক সর্দারনীর নিকট বিক্রি করে দেয়। সে আমাকে শারীরিক নির্যাতনের মাধ্যমে অবৈধ কাজে বাধ্য করে। ১৫ দিন পরে আমি সেখান থেকে কৌশলে পালিয়ে আসি।

মৌসুমী আরো বলেন, এরপর আবুল কালাম আমার সাথে আবার যোগাযোগ করেন। পরে কলাপাড়ায় একটি কুটির শিল্পে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ভর্তি করে দেয়। প্রশিক্ষণ শেষে আমি তাকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে সে আমাকে বিয়ে করতে টালবাহানা করে এবং আমার সাথে অবৈধ সম্পর্কের কথা অস্বীকার করে।

মৌসুমী অভিযোগ করেন, আবুল কালাম আমার সাথে সম্পর্ক করার সময় আমাকে জানায় সে বিয়ে করেনি। সে কোষ্টগার্ডের বোটে সরকারী চাকরী করে বলেও আমাকে বলেছিল। সে আমাকে নিয়ে স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন এলাকায় রাত্রি যাপন করে। তার সাথে সম্পর্কের বিষয়টি কোষ্টগার্ডের সাবেক সি সি ইউসুফসহ কিছু কোষ্টগার্ড সদস্য জানেন। আমি বিষয়টি তালতলী থানার ওসির কাছে জানালে তিনি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নিকট অভিযোগ দিতে বলেন।

এ ব্যপারে অভিযুক্ত আবুল কালামের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

ভোলা অফিসের কোষ্টগার্ড কর্মকর্তা লে: কমান্ডার মো: নুরুজ্জামান শেখ জানান, আবুল কালাম মাঝি সখিনা কোষ্টগার্ড অফিসে দৈনিক হাজিরায় কাজ করে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগটি আমি পেয়েছি, ঘটনার সত্যতা পেলে প্রযোজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তালতলী থানার অফিসার ইনচার্জ পুলক চন্দ্র রায় জানান, এ ব্যাপারে আমার কাছে কোন অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরো সংবাদ



premium cement