২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

ভোলার বাজারে দেশী গরুর সমারোহ

-

জমে উঠেছে ভোলার কোরবানীর পশুরহাট। এ বছর হাটগুলোতে ভারতীয় গরুর সমাগম না থাকায় চড়াও মুল্যে বিক্রি হচ্ছে দেশীয় প্রজাতির গরু। যা নাগালের বাইলে বলে বলে অভিযোগ ক্রেতাদের। তবে বিক্রেতা বলছেন, গো খাদ্যের মূল্য বৃদ্ধি থাকায় দাম একটু বেশী। হাটে কোন চাঁদাবাজি নেই, তবে জাল টাকার মেশিন না থাকায় কিছুটা চিন্তিত বিক্রেতারা। এদিকে হাটগুলোতে নিরাপত্তায় তিন স্তরের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
হাটঘুরে জানা গেছে, বিগত বছর কোরবানীর ঈদে পশুর দাম কিছুটা সাধ্যের মধ্যে থাকলেও এ বছর দেশীয় গরুর দাম অনেকটা আকাশ চুম্বি। হাটগুলোতে দেশীয় গরুর ব্যাপক সমারোহ ইচ্ছেমত দাম হাকিয়ে নিচ্ছেন বিক্রেতারা। তবে ক্রেতা-বিক্রেতাদের হাকডাকে পশুরহাট সরগরম হলেও ব্যাপকহারে এখনো বিক্রি শুরু হয়নি। চাহিদা অনুযায়ী গরু সরবরাহ থাকলেও দাম নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
ভোলার বড় হাটগুলোর মধ্যে গরুরহাট, গজারিয়া, ইলিশা, পরানগঞ্জ, বাংলাবাজার, ঘুইংগারহাট, লালমোহন, চরফ্যাশন ও বোরহানউদ্দিন অন্যতম। এসব হাটে বিভিন্ন এলাকার গরু সরবরাহ হয়ে থাকে।
পরানগঞ্জ গরুর হাটে গিয়ে দেখা গেছে, গরুরহাট জমে উঠেছে, দেশী গরুর সমারোহ। কেউ আবার ক্রেতা আকৃষ্ট করতে গরুকে সাজিয়ে এনেছেন।
গরু কিনতে আসা শামিম জানান, গরুরহাটে গত বছর যে গরুর দাম ছিলো ৭০ হাজার সে গরু এখন বিক্রি হচ্ছে লাখ টাকার উপরে। ক্রেতা মনির হোসেন বলেন, গরুর দাম অনেক বেশী, এক শ্রেণীর পাইকার-দালাল গরুর মালিক থেকে গরু কিনে বাজারে বেশী দামে বিক্রি করছেন। এতে গরুর দাম বেড়েছে।
এ বছর বাজারে ভারতীয় গরু না থাকায় দেশীয় গরুর দাম অনেক বেশী বলে মনে করছেন ক্রেতা মেজবাহ উদ্দিন। তিনি বলেন, বাজারে গরু থাকলেও কেনা-বেচা জমেনি, অনেকেই সাধ্যের মধ্যে গরু কিনছেন।
ক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা গেল, হাটে নেই চাঁদাবাজি বা হয়রানি, সবাই নিবিঘেœ গরু বাচারে আনতে পারছেন। তবে জাল টাকার মেশিন না থাকায় অনেকেই চিন্তিত।
গরুর বিক্রেতা ইলিশা এলাকার নজরুল বলেন, একটি গরু এনেছি দাম হাকানো হয়েছে ২ লাখ ২০ হাজার টাকা। ক্রেতা ইউসুফ, সবুরসহ অন্যরা বলেন, গো খাদ্যের দাম ও শ্রমিক মজুরি বেশী থাকায় গরুর দদাম কিছুটা বেশি, তবে ক্রেতারা গরু কিনছেন। এদিকে হাটগুলোতে রোগাক্রান্ত গরু সনাক্ত করতে স্থায়ী ও অস্থায়ী মেডিকেল ক্যাম্প বসানো হয়েছে।
মেডিকেল ক্যাম্পের দায়িত্বে থাকা সদর উপজেলা পশু কর্মকর্তা দীনেশ চন্দ্র মজুমদার বলেন, প্রতিটি বাজারেই ক্যাম্প বসানো হয়েছে। যাতে কেউ ফাঁকি দিয়ে রোগাক্রান্ত অসুস্থ্য গরু বিক্রি করতে না পারে।
ভোলার পুলিশ সুপার মোঃ মোকতার হোসেন বলেন, পশুরহাটে জাল টাকার মেশিন বসানোর পাশাপাশি তিন স্তরের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। পশুরহাটে ক্রেতা, বিক্রেতা ও ইজারাদারতের নিরাপত্তায় পুলিশ ফোর্স মাঠে রয়েছে।
দিন যত গনিয়ে আসবে কেনা-বেচা আরো বাড়বো বলে মনে করছে ইজরাতদারা।


আরো সংবাদ



premium cement