২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

প্রতি বছর ৬ মাসের অতিথি পানকৌড়ি আর সাদা বক

-

পানকৌড়ি আর বক। সাদা বক আকারে বড় আর সাদা রংয়ের। অপরদিকে পানকৌড়ি আকারে ছোট আর মিচমিচে কালো রংয়ের। রং আর আকারে ব্যবধান হলেও এদের মাঝে রয়েছে গভীর মিতালী। একই গাছে এক সাথে তারা থাকে ৬ মাস।

ইন্দুরকানীর পাড়েরহাট শিকদার বাড়ীতে প্রতি বছর ৬ মাসের জন্য অতিথি হয়ে আসে পানকৌড়ি আর সাদা বক। ৬ মাস পরে বাচ্চা নিয়ে আবার উড়ে যায় অজানায়। উপজেলার পাড়েরহাট বন্দরের বাসষ্ট্যান্ডের পাশেই শিকদার বাড়ী। এই বাড়ীর পাশ দিয়েই চলে গেছে ইন্দুরকানী-পিরোজপুর সড়ক ও জনপথের রাস্তা। বাড়ীর পাশের ঐ রাস্তা ধরে চললেই আপনি শুনতে পাবেন হাজারো পাখির কিচির মিচির শব্দ। ওই বাড়ীর অর্ধশত গাছে হাজারো পাখির বাসা। আর বাসায় অগনিত পাখির ছানা। অনেকেই দাড়িয়ে দেখেন মা পাখি দ্বারা ছানাদের খাবার খাওয়ানোর দৃশ্য। কেউ আবার ক্যামেরা বন্দীও করেন।

প্রতি বছর বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ মাসে মাঠে পানি ওঠলে মাছ শিকারের জন্য শত শত পানকৌড়ি আর বক ওই বাড়ীর বিভিন্ন গাছে এসে আশ্রয় নেয়। দিনে দিনে তাদের পরিমান আরো বাড়তে থাকে। এরা খাল, বিল ও মাঠে মাছ শিকার করে বেড়ায় আর শিকদার বাড়ীর বিভিন্ন গাছে থাকে। গাছে পাখিরা বাসা বানায়, ডিম পাড়ে, বাচ্চা ফোটে, বাচ্চা বড় হয়। বাড়ীর মালিকেরাও তাদের আশ্রয় দেয়। পাখিরা পায়খানা করে সারা বাড়ী নোংরা করে ফেললেও তারা পাখিদের কোন ক্ষতি করেনা বা তাড়িয়ে দেয় না। এমনকি তারা পাখির বাচ্চাও খায়না বরং দুষ্ট ছেলেরা পাখির বাচ্চা নিতে আসলে তারা নিতে দেয় না।

আশ্বিন মাসে রোপা আমনের বীজে সারা মাঠ ভরে যায়। তখন তাদের খাদ্য সংকট দেখা দিলে আবার তারা দলে দলে উড়ে চলে যায়।

শিকদার বাড়ীর বাসিন্দা নাসিমা আক্তার জানায়, প্রতি বছর বৈশাখ মাসে তাদের বাড়ীতে পানকৌডি আর সাদা বক আসে। আশ্বিন মাসে আবার চলে যায়। এই পাখি তাদের কাছে অতিথির মত। তারা পাখিদের রক্ষা করে কিন্তু কোন ক্ষতি করে না।


আরো সংবাদ



premium cement