১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

পায়রা ও বিষখালী নদীর জোয়ারের পানিতে বাঁধ ভেঙ্গে ১০ গ্রাম প্লাবিত

-

অমাবস্যার জোঁ’র প্রভাবে পায়রা ও বিষখালী নদীতে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেয়ে উপকুলীয় বরগুনা পৌর শহর, আমতলী, পাথরঘাটা, বেতাগী, বামনা ও তালতলীর নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। তেতুলবাড়িয়া ও বালিয়াতলীর বাঁধ ভেঙ্গে ১০ গ্রাম তলিয়ে গেছে। কৃষককদের আমন মৌসুমের বীজতলা পানিতে তলিয়ে পচে যাচ্ছে।

জানা গেছে, অমাবস্যার জোয়ারের প্রভাবে পায়রা ও বিষখালী নদীতে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫ ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়ে উপকুলীয় বরগুনা পৌর শহরে হাঁটু পানি, আমতলী, বেতাগী, পাথরঘাটা, বামনা ও তালতলীর নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের বাইরের বসবাসরত মানুষের ঘরবাড়ি তলিয়ে গেছে। তারা কষ্টে জীবনযাপন করছেন।

তালতলীর নিশানবাড়িয়া, ফকির হাট, সোনাকাটা, নিদ্রাসকিনা, তেতুলবাড়িয়া, আশার চর, নলবুনিয়া, তালুকদারপাড়া, চরপাড়া, গাবতলী, মৌপাড়া, ছোটবগী, জয়ালভাঙ্গা, পচাঁকোড়ালিয়া ও আমতলীর ঘোপখালী, বালিয়াতলী, পশুরবুনিয়া, আড়পাঙ্গাশিয়া, পশ্চিম আমতলী, ফেরীঘাট, পুরাতন লঞ্চঘাট, আমুয়ার চর, পানি উন্নয়ন বোর্ড, আঙ্গুরকাটা, গুলিশাখালী ও হরিদ্রবাড়িয়া নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এ সকল এলাকার মানুষের ঘরবাড়ি জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে।

তালতলীর তেতুঁলবাড়িয়া গ্রামের নজরুল হাওলাদার বলেন, জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেয়ে সেলিম চৌকিদার বাড়ির নিকট থেকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৫০ মিটার বাঁধ ভেঙ্গে ভিতরে পানি প্রবেশ করে তেতুঁলবাড়িয়া ও নলবুনিয়া গ্রাম পানিতে প্লাবিত হয়েছে।

বালিয়াতলী গ্রামের বাকী বিল্লাহ বলেন, বয়াতি বাড়ির পাশ দিয়ে ভাঙ্গা বেড়িবাঁধ দিয়ে জোয়ারের পানি প্রবেশ করে এলাকা তলিয়ে গেছে। কৃষকরা আমন ধানের বীজতল তৈরি করতে পারছে না।

গাবতলী আবাসনের জহিরুল ইসলাম বলেন, জোয়ারের পানিতে ঘর তলিয়ে গেছে। সন্তানদের নিয়ে ওয়াবদায় অবস্থান নিয়েছি।

আমতলীর পৌর শহরের আমুয়ার চর গ্রামের ফাতেমা বেগম বলেন, জোয়ারের পানিতে ঘর তলিয়ে গেছে।

বরগুনা পানি উন্নয়র বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: মশিউর রহমান নয়া দিগন্তকে বলেন, স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫ ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement