২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

নদী ভাঙনে হুমকির মুখে উপকূলীয় দশমিনা

-

উপকূলীয় পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার অধিকাংশ ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। রক্ষা পায়নি এশিয়া মহাদেশের সর্ববৃহৎ বিজ বর্ধন খামার। সর্বগ্রাসী তেঁতুলিয়া নদী এলাকার মসজিদ, রাস্তা এমনকি বসতভিটাও কেড়ে নিচ্ছে। নদী ভাঙনে শতশত নারী-পুরুষ বসতভিটা হারিয়ে আশপাশের আত্মীয়-স্বজনের আশ্রয় নিয়েছে। এত সব হারিয়ে এলাকার মানুষ মানবেতর জীবনযাপন করছে। অনেক স্থানে দেখা খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানীয় জলের সঙ্কট। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বিভিন্ন রোগবালাই।
সরেজমিনে উপজেলার সদর ইউনিয়নের হাজিরহাট,চরহাদি,বাঁশবাড়িয়া বাঁশবাড়িয়া লঞ্চঘাট,আলীপুরা ইউনিয়ন,রনগোপালদী ইউনিয়ন,চরবোরহান ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা ও এশিয়া মহাদেশের সর্ববৃহৎ বিজ বর্ধন খামারসহ কয়েকটি গ্রামে নদীভাঙনে কয়েক’শ পরিবার ভিটেহারা হয়েছে। এদিকে এক সপ্তাহের বৃষ্টির সাথে নদীতে প্রচন্ড ঢেউয়ে হাজিরহাট ও বিজ বর্ধন খামার সবচেয়ে বেশি পড়েছে হুমকিতে। ভাসিয়ে নিয়েছে অগণিত ঘরবাড়ি। হুমকির মুখে রয়েছে হাজিরহাট এলাকার একটি মসজিদ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান । যে কোন সময় তা নদীতে বিলীন হয়ে যেতে পারে। বর্ষার শুরুতেই এসব গ্রামে নদীভাঙন শুরু হয়। বর্ষার মাঝামাঝি সময়ে ওঠে নদীতে প্রচন্ড ঢেউ । এরপরই থেকেই নদীবেষ্টি দশমিনার উপকূলের বিভিন্ন চরাঞ্চলের মানুষ ভাঙন প্রতিরোধে বাঁশ, খড়, কচুরিপানা এমনকি ঘরের বেড়া বাড়ির পাশে ফেলে ‘ঘায়াল’ (স্থানীয়ভাবে প্রতিরোধ ব্যবস্থা) দেন। অনেক ক্ষেত্রে এ ব্যবস্থায়ও ভাঙন ঠেকানো যায় না।
প্রবল ঢেউয়ে ভাঙন ভয়াবহ রূপ নেয়। প্রশাসন বা জনপ্রতিনিধিরা তাদের যথাযথ খোঁজ নিচ্ছে না। উপজেলার কয়েকটি স্থানে বেড়িঁবাধ নির্মাণ করা হলেও তা অপরিকল্পিত ভাবে নির্মাণ করা। ফলে তেমন কোন কাজে আসছে না। অপরদিকে উপজেলায় মোট ৭০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ঝুঁকিতে রয়েছে। স্থানীয়রা হাজিরহাটসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় টেকসই বাধঁ নির্মাণের দাবি জনিয়েছেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন নদী ভাঙ্গনের অন্যতম কারণ। পানি উন্নয়ন বোর্ড ব্যবস্থা নেয়ার কথা বারবার বললেও মিলছে না সমাধান।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মো. শাখাওয়াত হোসেন শওকত বলেছেন, নদী ভাঙনে আমাদের মূল ভুখন্ড ছোট হয়ে আসছে। অতীতে আমি মানীয় মন্ত্রীর সাথে এ বিষয়ে কথা বলেছি ও লিখিত আবেদনও করেছি। কিন্তু তিনি আশ^াস দিলেও এখন পর্যন্ত কোন সুফল পাইনি। তবে উপজেলা পরিষদরে মাসিক মিটিংয়ে রেজুলেশন করেছি বিষয়টি নিয়ে। আমরা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ের বরাবরে স্মারকলিপি দেয়ার প্রস্তুতি নিয়েছি।
এবিষয়ে পটুয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী মো. হাসান উজ্জামানের মুঠোফোনে কল করা হলে তিনি বলেন আমি মিটিংয়ে আছি।


আরো সংবাদ



premium cement