২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

জোঁয়ার-ভাটায় চলে যে স্কুল

এভাবেই প্রতিদিন পানি ভেঙে স্কুলে আসতে হয় শিক্ষার্থীদের - ছবি: নয়া দিগন্ত

জোঁয়ার-ভাটার উপর নির্ভর করে শিক্ষার্থীদের পাঠদান হয়ে থাকে। পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার সদ্য গঠিত চরবোরহান ইউনিয়নের চরশাহজালাল নামক চরের স্কুলের অবস্থা এটি। দক্ষিণ চরশাহজালাল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টির পাঠদানের বিষয়টি নির্ভর করে প্রকৃতির খেয়ালের উপর। ফলে নিয়মিতভাবে শিক্ষার্থীরা স্কুলে উপস্থিত হতে পারেছে না।

চর এলাকায় সরকারি-বেসরকারি উদ্দ্যেগে বিদ্যালয় স্থাপন করা হলেও প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ বিভিন্ন কারণে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অনুপস্থিতির কারণে শিক্ষার মান আশানুরূপ নয়।

ফলে চরাঞ্চলে প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়ন করতে যোগাযোগসহ সকল সমস্যার সমাধান করা একান্ত প্রয়োজন বলে স্থানীয় ভূক্তভোগীদের দাবি।

জানা যায়, উপজেলার মূল ভূখণ্ড থেকে সর্ব দক্ষিনে চরশাহজালাল নদী দ্বারা বেষ্টিত থাকায় কোন উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা নেই। চরের মধ্যে দিয়ে অসংখ্য খাল প্রবাহিত হয়েছে। কিন্তু সেখানে ব্রিজ,কার্লভার্ট ও প্রয়োজনীয় রাস্তা নির্মাণ করা হয়নি। চরে বসবাসকারী বাসিন্দাদের নৌকা, ডোঙ্গা ও সাঁতার কেটে চলা করাতে হয়।

চরের একমাত্র স্কুলটি নদীর তীরবর্তী হওয়ায় শিক্ষার্থীদের নৌকা কিংবা সাঁতার কেটে স্কুলে আসতে হয়। শুস্ক মৌসুমে স্কুলে আসতে পারলেও বর্ষা মৌসুমে খালে পানি থাকায় অধিকাংশ ছাত্র শিক্ষক স্কুলে আসতে পারে না।

আবার অনেক শিক্ষার্থীকে ঝুঁকি নিয়ে পানির মধ্যে দিয়ে বিদ্যালয়ে যেতে হয়। ফলে ছাত্র-ছাত্রীদের জামাকাপড় ও বইপত্র অনেক সময় ভিজে যায়। দূর্যোগপূর্ন আবহাওয়া থাকলে বিদ্যালয়ে কোন শিক্ষার্থীর উপস্থিতি থাকে না বলেই চলে।

বিদ্যালয়ের শিক্ষকদেরকেও সীমাহীন কষ্টের মধ্যে পাঠদান দিতে হয় বলে জানান প্রধান শিক্ষক মো: রুহুল আমিন জানান। এদিকে বিদ্যালয়টি যোগাযোগ বিছিন্ন দূর্গম চরে অবস্থিত হওয়ায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্তারা তদারকি করতে যায় না বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মো: শফিকুল ইসলাম বলেন, জোঁয়ার-ভাটার ওপর নির্ভর করে স্কুল চলা কথাটি সত্যি হলেও সাধ্যের মধ্যে থেকে শিক্ষার মান উন্নয়ন চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি।


আরো সংবাদ



premium cement