ছেলের প্রেমের বলি হলেন বাবা
- তালতলী (বরগুনা) সংবাদদাতা
- ২৩ জুন ২০১৮, ২০:২৫
বরগুনার তালতলীতে কিশোর-কিশোরীর প্রেম নিয়ে বিবাদের জের ধরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন একজন। শনিবার এ নিয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আ: খালেক (৪০) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছে। উপজেলার ছোটবগী ইউনিয়নের পূর্ব গাবতলী গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটেছে। এ ঘটনায় ২ আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তালতলীর পূর্ব গাবতলী গ্রামের আ: খালেকের ছেলে শাহীন (১৪) এর সাথে একই এলাকার নিজাম ফকিরের মেয়ে সুমার প্রেমের সম্পর্ক চলছিলো। গত ২২ জুন শক্রবার এ নিয়ে নিজাম ফকিরের ছেলে হিরণ (২০) ও আ: খালেকের ছেলে শাহীন (১৪) এর মধ্যে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে মারামারির ঘটনা ঘটে। এতে শাহীন গুরুতর আহত হয়।
পরদিন শনিবার আ: খালেক তার ছেলেকে মারধরের বিষয়টিতে নিজাম ফকিরের কাছে জানতে গেলে সেখানেও কথা কাটাকাটির এক পর্যায় উভয় গ্রুপে তুমুল সংঘর্ষে ৬ জন আহত হয়। গুরতর আহত অবস্থায় আ: খালেককে চিকিৎসার জন্য ছোট বগী ক্লিনিকে নেয়া হলে সেখানে তার মৃত্যু ঘটে।
এ ব্যাপারে তালতলী থানার অফিসার ইনচার্জ পুলক চন্দ্র রায় ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, দুই গ্রুপের মধ্যে নির্বাচনী ক্ষোভও ছিল। প্রেমঘটিত ঘটনার সাথে নির্বাচনী দ্বন্দের জের ধরে সংঘর্ষ ঘটেছে।
আরো পড়ুন : বাল্যবিয়েতে সহযোগিতা, চাকরি গেল মোয়াজ্জিনের
পাথরঘাটা (বরগুনা) সংবাদদাতা
বরগুনার পাথরঘাটায় বাল্যবিবাহের দায়ে কনের মা ও বিয়েতে সহযোগিতা করায় মসজিদের মোয়াজ্জিনকে জরিমানা করেছে পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. হুমায়ুন কবির।
এছাড়া পাথরাঘাটা উপজেলা পরিষদ জামে মসজিদের মোয়াজ্জিনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করারও নির্দেশ দেয়া হয়। শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে পাথরঘাটা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে এ আদেশ দেয়া হয়।
পাথরঘাটা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. হুমায়ুন কবির জানান, উপজেলার পশ্চিম বাদুরতলা গ্রামের আশ্রাফ আলীর ১৬ বছরের মেয়ে কারিমার সাথে বরগুনা নলটোনা ইউনিয়নের গাজী মাহমুদ গ্রামের সোনা মিয়ার ছেলে মো. সিদ্দিকের (১৯) সাথে বিবাহের প্রস্তুতি চলছিল।
পাথরঘাটা উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য মো. নাসির উদ্দিনের বাসায় এ বিয়ের আয়োজন চলছিল। বাল্য বিয়ের সংবাদ পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সেখানে ছুটে যান। ইউএনও‘র উপস্থিতি টের পেয়ে বর পক্ষ বিয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়।
বাল্য বিয়ের অপরাধে কনে ও কনের মা কহিনুর বেগমকে ২শ টাকা এবং বিয়েতে সহযোগিতা করায় মসজিদের মোয়াজ্জিন মো. জাকির হোসেনকে ২শ টাকা জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি মসজিদের মোয়াজ্জিন আইন বহির্ভূত কাজে সম্পৃক্ত হওয়ার কারণে তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়।
ইউএনও আরও জানান, সাবেক ইউপি সদস্য নাসির উদ্দিনকে খোঁজ করা হচ্ছে। তাকে পাওয়া মাত্রই আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা