২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বিষখালী নদীতে হঠাৎ তীব্র ভাঙন

-

বর্ষা আসার আগেই গত এক সপ্তাহে ঝালকাঠির বিষখালী নদীতে তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে। ভাঙনে এরই মধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে বেশ কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বসতবাড়ি, আশ্রয়কেন্দ্র, মসজিদ, বাজারসহ শত শত হেক্টর কৃষিজমি। ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে আরো কিছু স্থাপনা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বিষখালী নদীর ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে রাজাপুর উপজেলার মঠবাড়ী মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও লঞ্চঘাট, কাচারিবাড়ী বাজার, চল্লিশকাহনিয়া ও মানকি সুন্দর গ্রাম, নলছিটি উপজেলার হদুয়া দরবার শরিফ, দেউরি সাইক্লোন শেল্টার, ভবানীপুর লঞ্চঘাট ও বাজার, বৈশাখিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মাদরাসা এবং চানপুরা প্রাথমিক বিদ্যালয়। এ ছাড়া কাঁঠালিয়া উপজেলার আমুয়া বন্দর রয়েছে ভাঙনের ঝুঁকিতে। ভাঙন অব্যাহত থাকালে যেকোনো সময় নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে এসব স্থাপনা।
রাজাপুর উপজেলার বাদুরতলার বাসিন্দা মোশারফ হোসেন বলেন, ‘বাড়িঘর আগেই নদীতে গেছে। গত এক সপ্তাহে বাদুরতলা লঞ্চঘাটের কিছু দোকান নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এখন মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয় ভাঙনের মুখে রয়েছে। এ ছাড়া গত পাঁচ বছরে একাধিকবার বাদুরতলা বাজারের জায়গা পরিবর্তন করা হয়েছে। বর্তমানে বাজারটি আবারও ভেঙে যাচ্ছে।’
নলছিটি উপজেলার হদুয়ার বাসিন্দা কাসেম সিকদার বলেন, ‘জায়গা-জমি বহু আগেই গেছে। গত বছর বাড়ি গেছে, এবার দোকানটাও গেল। এখন আমার আর কিছুই নেই। এই বিষখালী আমার সব খাইছে।’
নলছিটির ভবানীপুর গ্রামের স্কুল শিক্ষক আশ্রাফুল ইসলাম বলেন, ‘যে গতিতে নদী ভাঙছে, তাতে ভাবানীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও চানপুরা প্রাথমিক বিদ্যালয় অচিরে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। সরকার যদি কোনো পদক্ষেপ না নেয়, তবে এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো রক্ষা করা যাবে না।’
এ বিষয়ে রাজাপুর উপজেলার মঠবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল সিকদার বলেন, ‘বিষখালী নদীর ভাঙনে দোকান, বসতবাড়ি ও ফসলি জমি হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে শতাধিক পরিবার। আমরা তাদের সাধ্যমতো সহায়তা করছি। তবে দ্রুত নদীভাঙন ঠেকাতে না পারলে আরো অনেক পরিবার সর্বস্ব হারাবে।’
ঝালকাঠি পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. রোমান হাসান বলেন, ‘এরই মধ্যে ৩০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ নির্মাণের জন্য একটি প্রকল্প ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া আমুয়া বন্দর ও রাজাপুরে নদীভাঙন রোধে একটি প্রকল্প তৈরির কাজ চলছে।’


আরো সংবাদ



premium cement