২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সূর্যমুখী চাষে স্বপ্ন দেখছেন ফুলবাড়ীর কৃষকরা

ফুলবাড়ী উপজেলার চন্দ্রখানা বজরের খামার গ্রামের একটি সূর্যমুখী ক্ষেত : নয়া দিগন্ত -

সূর্যমুখী চাষে সফলতার স্বপ্ন দেখছেন ধরলা নদীবেষ্টিত কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার কৃষকরা। প্রথমবারের মতো আবাদ হওয়া ক্ষেতগুলোতে সবেমাত্র ফুল আসতে শুরু করেছে। অনুকূল আবহাওয়া ও সঠিক পরিচর্যার কারণে হৃষ্টপুষ্ট ফুলগুলো সৌন্দর্য ছড়াচ্ছে আর কৃষকদের মনে দোলা দিচ্ছে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানিয়েছে, এ বছর উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে প্রথমবারের মতো প্রায় ৩০ বিঘা জমিতে সূর্যমুখীর আবাদ হয়েছে। প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় ২০টি প্রদর্শনীর মাধ্যমে কৃষকদের প্রয়োজনীয় বীজ, সার ও কীটনাশক দেয়ার পাশাপাশি পরামর্শ এবং দিকনির্দেশনা দেয়া হচ্ছে।
উপজেলার চন্দ্রখানা বজরের খামার গ্রামের কৃষক আব্দুল হাকিম জানান, তিনি ১ বিঘা জমিতে হাইসান-৩৩ জাতের সূর্যমুখী আবাদ করেছেন। এতে তার খরচ হয়েছে সাড়ে চার হাজার টাকা। শেষ পর্যন্ত যদি কোনো আপদ না আসে তাহলে ওই জমিতে আট থেকে দশ মণ ফলনের আশা করছেন তিনি। তিনি আরো জানান, ইতোমধ্যেই শহরের একটি ভোজ্যতেল উৎপাদনকারী কোম্পানি ১৮০০ টাকা মণ দরে সূর্যমুখী ফসল কেনার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার মাহবুবুর রশিদ বলেন, সূর্যমুখীর বীজ থেকে উৎপাদিত তেল সোয়াবিনের বিকল্প হিসেবে রান্নার কাজে ব্যবহার করা যায়। সূর্যমুখীর তেল স্বাস্থ্যসম্মত, এন্টি অক্সিডেন্ট যুক্ত। ১০ কেজি সূর্যমুখীর বীজ থেকে প্রায় সাড়ে ৪ কেজি তেল উৎপাদন হয়। এ বছর উপজেলায় প্রথমবারের মতো সূর্যমুখীর আবাদ শুরু হয়েছে। আশা করছি ভালো ফলন হবে এবং আগামীতে ব্যাপকভাবে সূর্যমুখীর চাষ হবে।

 

 


আরো সংবাদ



premium cement