১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বকশীগঞ্জে বাঁশের সাঁকোতে দুর্ভোগ

-

জামালপুরের বকশীগঞ্জে একটি সেতুর অভাবে ২০ হাজার মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বাঁশের একটি নড়বড়ে সাঁকো দিয়ে কোনো রকমে পারাপার হতে হচ্ছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে এই খালে একটি সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সাধুরপাড়া ইউনিয়নের পূর্ব গাজীরপাড়া-বাংগালপাড়া খালের উপর ১৯৯৫ সালে একটি সরু সেতু নির্মাণ করা হয়। সেতুটির নির্মাণকাজে অনিয়ম হওয়ায় ১৫ বছর পরেই সেতুর রেলিংসহ বিভিন্ন জায়গায় পলেস্তারা খসে পড়ে। ধীরে ধীরে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে সেতুটি। সর্বশেষ গত বছরের ভয়াবহ বন্যায় এই ব্রিজটি বন্যার পানিতে ধসে যায়। তখন থেকেই মানুষের চলাচলে বিঘœ ঘটতে থাকে।
বন্যা শেষ হওয়ার পর সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুর সার্বিক সহযোগিতায় পূর্ব গাজীরপাড়া খালের উপর একটি বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করা হয়; কিন্তু প্রতিদিন এই হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করার ফলে তিন মাসের মধ্যেই সাঁকোটি নড়বড়ে হয়ে পড়ে। ফলে যানবাহন ও কৃষকের উৎপাদিত কৃষিপণ্য বাজারজাত করা কঠিন হয়ে পড়ে।
এ কারণে এ এলাকার কৃষকরা ফসল উৎপাদন করেও সঠিক বাজারজাতের অভাবে ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। বাঁশের সাঁকোটি নড়বড়ে হওয়ায় ভারী যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। ইতোমধ্যে কয়েকটি দুর্ঘটনার ঘটনাও ঘটেছে। সেতুটি ভেঙে যাওয়ার পর গাজীরপাড়া, ডেরুরবিল, আচ্চাকান্দি, বাংগালপাড়া, কতুবের চর, চর গাজীরপাড়া, কলাকান্দা, দপরপাড়া, বিলেরপাড়সহ কয়েটি গ্রামের ২০ হাজার মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
কতুবের চর গ্রামের নুরুল ইসলাম জানান, তিনিসহ এ এলাকার মানুষ প্রতিদিন এই সাঁকো দিয়ে পারাপার হয়। এখানে একটি সেতু নির্মাণ হলে জনগণের দুর্ভোগ লাঘব হবে। গাজীরপাড়া গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা ফজল হোসেন গাজী জানান, অনেক কষ্টে মানুষ চলাচল করছে, আগামী বন্যার আগেই সেতুর কাজ শুরু করা না গেলে দুর্ভোগের শেষ থাকবে না।
স্থানীয় গাজীরপাড়া বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি গাজী মোক্তারুজ্জামান জানান, বাঁশের সাঁকোটি মেরামতের অভাবে গাজীরপাড়া বাজারসহ বিভিন্ন বাজারে কৃষকের উৎপাদিত পণ্য সরবরাহ করা কঠিন হয়েছে পড়েছে। তাই তিনি অবিলম্বে এই খালে ব্রিজ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন।
বকশীগঞ্জ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) উপজেলা প্রকৌশলী এস এম শহিদুল ইসলাম জানান, পূর্ব গাজীরপাড়া খালের উপর সেতু নির্মাণের জন্য প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। বন্যাপরবর্তী কোনো বরাদ্দ না পাওয়ায় ব্রিজটি নির্মাণ করা সম্ভব হচ্ছে না।

 


আরো সংবাদ



premium cement