রৌমারীতে গ্রামীণ সড়কে ভরসা বাঁশের সাঁকো
- মোস্তাফিজুর রহমান তারা রৌমারী (কুড়িগ্রাম)
- ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০০:০০
রৌমারীতে গ্রামীণ সড়কে যাতায়াতের মাধ্যম হিসেবে একমাত্র বাঁশের সাঁকোই ভরসা। রৌমারী জেলা থেকে ১৫টি নদনদী দ্বারা যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চলীয় সীমান্তবর্তী অঞ্চল।
উপজেলার ১৯৭টি গ্রাম জুড়ে প্রায় ১০০টি গ্রামীণ সড়ক রয়েছে। গ্রামীণ সড়কগুলো একমাত্র ঢাকাগামী, সড়ক ও জনপদ সড়কে মিলিত হয়ে উপজেলার সাড়ে তিন লাখ মানুষের যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। সড়ক ও জনপথের আওতাধীন সড়কটি রৌমারীর দাঁতভাঙ্গা শালুর মোড় থেকে জামালপুর বকসিগঞ্জ পর্যন্ত দুই লেনের কাজ শুরু হয়ছে। এর ফলে মানুষের মাঝে অনেকটা শান্তির বাতাস বইলেও গ্রামীণ জনপদের মানুষের মাঝে অসন্তুষ্টি দেখা দিয়েছে গ্রামীণ সড়কগুলোতে। রৌমারী উপজেলাটি ব্রহ্মপুত্র, সোনাভরি, জিনজিরাম ও হলহলিয়া, দুধকুমার, ধরলাসহ ১৫টি নদ দ্বারা ভাঙনের ফলে মানচিত্র থেকে হারাতে বসেছে কৃষি আবাস ভূমি। প্রতি বছর ভারতীয় পাহাড়ি ঢল ও বানের পানির প্রচণ্ড স্রোতে গ্রামীণ সড়কগুলো ভেঙে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে যায়।
যার ফলে গ্রামীণ অর্ধশত সড়কে গভীর গর্তের সৃষ্টি হয়। যে কারণে গ্রামের মানুষগুলো অতি সহজে উপজেলা শহরে যেতে পারে না। সরকার প্রতিবছর গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে যোগাযোগ খাতে কোটি কোটি টাকা, এডিপি, কাবিখা, টিয়ার ও বিশেষ প্রকল্পের আওতায় বরাদ্দ দিলেও তা আসছে না কোনো কাজে। এক কুমিরের ছানা বার বার দেখিয়ে লোপাট করা হচ্ছে। সরেজমিন দেখা গেছে অনেক অঞ্চলে সরকারি সহায়তা না পেয়ে গ্রামবাসী স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁশ সংগ্রহ করে সাঁকো নির্মাণ করেছে। গ্রামীণ মানুষের জীবন জীবিকার লক্ষ্যে হাটবাজার, স্কুল-কলেজে যাতায়াত ও কৃষি পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের তাগিদে নিজেরাই সাঁকো তৈরি করে বিভিন্ন হাটবাজারে যাতায়াত করছে।
তবে সরেজমিন দেখা গেছে, কাজাই কাটা জিনজিরাম নদীর উপর বাঁশের সাঁকো, কাউনিয়ারচর খালের উপর সাঁকো, বাঘেরহাট জিএসমিনের কুড়ায় সাঁকো, বাঘেরহাট বাঁশের সাঁকো, চর-ইচাকুড়ি জিনজিরাম নদীর উপর বাঁশের সাঁকো, যাদুরচর কাশিয়াবাড়ী বাঁশের সাঁকো, বাওয়াইর গ্রামের পশ্চিম পাশে খালের উপর সাঁকো, লালকুড়া জিনজিরাম নদীতে সাঁকো, বকবান্দা জিনজিরাম নদীতে সাঁকো, চেংটাপাড়া সাঁকো ও লাঠিয়ল ডাঙ্গা জিনজিরাম নদীতে বাঁশের সাঁকো।
গ্রামীণ সড়কগুলোর এমন বাঁশের সাঁকোর আধমরা চিত্র দেখে মনে হয় এখানে ভূতের বাস। তবে এসব গ্রামীণ সড়কের স্থায়ী সমাধান হতে পারে সীমান্ত বেড়িবাঁধ। বেড়িবাঁধ না থাকায় অতি সহজে প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে ভারত থেকে বয়ে আসা পাহাড়ি ঢলের তীব্র স্রোতের তোড়ে সীমান্তবর্তী উপজেলা রৌমারীর গ্রামীণ সড়কগুলো ভেঙে তছনছ হয়ে যায়। রৌমারীর মানচিত্র রক্ষায় স্থায়ী সমাধান হতে পারে ব্রহ্মপুত্রের পাড়ে ও সীমান্তে বেড়িবাঁধ নির্মাণ। তবেই তো উপজেলার সাড়ে তিন লাখ মানুষের সড়কপথে যাতায়াতে দুর্ভোগ লাঘব হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা