২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫
`

না’গঞ্জের বাছাই কেন্দ্রে হারিকেনের আলোতে চলে ডাক বাছাই

নারায়ণগঞ্জ ডাক বাছাই কেন্দ্রে ভবনে বিদ্যুৎ চলে গেলে হারিকেনের আলোতে চলে চিঠিপত্র বাছাই হনয়া দিগন্ত -

সঙ্কটের শেষ নেই নারায়ণগঞ্জের ডাক বিভাগের অধীনস্থ ডাক বাছাই কেন্দ্রের। জনবল সঙ্কটের পাশাপাশি এ কেন্দ্রের নেই উপযুক্ত পরিবেশ। ১০ বছর আগে নষ্ট হওয়া জেনারেটর এখনো মেরামত হয়নি। ফলে রাতের বেলা বিদ্যুৎ চলে গেলে মেইল অপারেটররা কাজ করেন হারিকেনের আলোয়। অল্প লোকবল, মশার কামড় আর হারিকেনের আলো হাতড়ে চিঠি বাছাই করতে হয় বলে জানান সরকারি এই অফিসের কর্মকর্তারা।
সূত্র জানায়, নারায়ণগঞ্জে ডাক বিভাগের ‘ডাক বাছাই কেন্দ্রটি অনেক পুরনো। ব্রিটিশ শাসনামলে তৈরি হওয়া ভবনটিতে এখনো প্রতিদিনই চিঠিপত্র বাছাই করে করছেন মেইল অপারেটররা। শহরের কালীবাজারে ‘ডাক বাছাই কেন্দ্র’ এর পুরনো ভবনটিতে দিনে দুপুরেও মশার কামড়ে অতিষ্ঠ হয়ে দিবারাত্রি কাজ করেন তারা।
প্রতিদিন বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত এ অফিসে দেশ ও বিদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা চিঠিপত্র ডুকুমেন্ট অর্থাৎ ডাক বাছাই করে নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছে দেয়ার কাজ করা হয়।
সূত্র জানায়, নারায়ণগঞ্জ ‘ডাক বাছাই কেন্দ্র’র মেইল অপারেটর আলমগীর শেখ জানান, ডাক বাছাইয়ে আমরা প্রায় পাঁচজন কাজ করি। নারায়ণগঞ্জের চারটি উপজেলা ও মুন্সীগঞ্জ থেকে ২০ জন রানারের মাধ্যমে ডাক আসে এখানে। বিভিন্ন পরীক্ষার খাতাপত্র, চিঠি থেকে শুরু করে পণ্য পার্সেল সব আসে। সেগুলো বাছাই করে জেলা অনুপাতে তাকে সাজাতে হয়।
তারপর সেগুলোকে নামিয়ে বস্তায় ভরে সিল করে মেইল ট্রেনে, রানারের মাধ্যমে ঠিকানা মোতাবেক পাঠানো হয়। সাধারণ চিঠি কমে গেলেও ডাক বিভাগে রেজিস্ট্রি চিঠি, পার্সেল ও দাফতরিক চিঠির পরিমাণ বাড়ছে। এসব এখান থেকে বাছাই করে দেশ বিদেশের সর্বত্র পাঠানো হয়। তবে রাতে বিদ্যুৎ চলে গেলে বিপত্তি বাধে।
গুরুত্বপূর্ণ নানা ডাক সামলানো নিয়েও ভয় কাজ করে। গত ১০ বছর আগে এখানকার জেনারেটরটি বিকল হয়ে পড়ে আছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে, কোনো লাভ হয়নি, আগের মতোই হারিকেনের আলোয় কাজ করতে হয়।
‘ডাক বাছাই কেন্দ্রের প্রধান মেইল অপারেটর বলেন, আমাদের অফিসটিতে ঢুকলে যে কেউ প্রথমে ভেবে বসতে পারেন তিনি হয়তো কোনো জাদুঘরে এসেছেন। এর মধ্যেই কাজ করে চাকরি জীবনের একেবারে শেষ পর্যায়ে। এক সময় যেভাবে প্রেমপত্র লেখা হতো, এখন আর সেভাবে হয় না, মোবাইল ইন্টারেটের কল্যাণে ওসব চিঠির পরিমাণ এখন কম।
তিনি বলেন, সাধারণ চিঠির পরিমাণ এখন প্রায় দু-তিন হাজার। তবে রেজিস্ট্রি চিঠির পরিমাণ বেশি, প্রায় গড়ে প্রতিদিন তিন-চার হাজারের মতো। পার্সেলও প্রতিদিন পাঠাতে হয় প্রায় ১০০ থেকে ২০০ ব্যাগ। তবে কাজ অনুপাতে লোকবলের সঙ্কটটা এখানে প্রবল। বিভিন্ন পরীক্ষার খাতার পার্সেলও আমাদের ‘ফরওয়ার্ড ব্যাগ’ করতে হয়। রাত ১১টায় নারায়ণগঞ্জ থেকে শেষ ট্রেন ঢাকায় ছুটে যায়।
এর মধ্যেই সব কিছু বাছাই করতে হয়। রানার আসে বিকেল ৪টায়। রাতে জেলার চিঠি, পার্সেলগুলো বাছাই করতে হয়, বিদ্যুৎ না থাকলে সেটি করতে হয় হারিকেন জ্বেলে। তখন কষ্টের কোনো সীমা থাকে না। নষ্ট জেনেরেটরের কথা জানিয়েও কোনো সুরাহা হয়নি, মশার যন্ত্রণাতেও অতিষ্ঠ।
মেইল ক্যারিয়ার আবুল হোসেন বলেন, ছুটির দিনে কাজ করলেও পারিশ্রমিকের কোনো সুরাহা হয়নি। স্বাধীনতার পরে যেমন বন্ধের দিনে অফিস করলে ৩০ টাকা পাওয়া যেত, এখনো তাই। এটা বাড়ানো দরকার।
ডাক বাছাই কেন্দ্রে কাজ করা ব্যক্তিদের দাবি, গুরুত্বপূর্ণ এই সরকারি অফিসে লোকবল বাড়ানোর পাশাপাশি বিদ্যুৎ চলে গেলে যাতে আলোর ব্যবস্থা করা হয়। পাশাপাশি মূল্যবান ডাকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যাতে বাড়ানো হয় নিরাপত্তা প্রহরীর সংখ্যাও।
সূত্র জানায়, নারায়ণগঞ্জে ডাক বিভাগের ডাক বাছাই কেন্দ্রটি ব্রিটিশ শাসনামলে নির্মিত। শহরের কালীবাজারে অবস্থিত পুরনো এ ভবনটিতে দিনে দুপুরেও মশার কামড়ে অতিষ্ঠ হয়ে কাজ করতে হয়। প্রতিদিন বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত এ অফিসে দেশ ও বিদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা ডাক বাছাই করে নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছে দেয়ার কাজ করা হয়। রাত সাড়ে ১১টায় কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও অনেক সময় রাত দেড়টা-দুইটা পর্যন্ত চলে বাচাই কাজ।
সূত্র জানায়, নারায়ণ ডাক বাছাই কেন্দ্রের মেইল অপারেটর আলমগীর শেখ জানান, ডাক বাছাইয়ে তারা প্রায় পাঁচজন কাজ করেন। নারায়ণগঞ্জের চারটি উপজেলা ও মুন্সীগঞ্জ থেকে ২০ জন রানারের মাধ্যমে ডাক আসে এখানে। বিভিন্ন পরীক্ষার খাতাপত্র, চিঠি থেকে শুরু করে পণ্য পার্সেল সব আসে। সেগুলো বাছাই করে জেলা অনুপাতে তাকে সাজাতে হয়। তারপর সেগুলো নামিয়ে বস্তায় ভরে সিল করে মেইল ট্রেনে, রানারের মাধ্যমে ঠিকানা মোতাবেক পাঠানো হয়।
মেইল ক্যারিয়ার আবুল হোসেন বলেন, ছুটির দিনে কাজ করলেও পারিশ্রমিকের কোনো সুরাহা হয়নি। স্বাধীনতার পরে যেমন বন্ধের দিনে অফিস করলে ৩০ টাকা পাওয়া যেত, এখনো তাই। এটা বাড়ানো দরকার।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানান, বেশ কয়েক বছর ধরে এই জরাজীর্ণ ভবনটি দখলেও মরিয়া হয়ে উঠেছে একটি চক্র। তারা চায় এই ডাক বাছাই কেন্দ্রটি সরিয়ে বহুতল ভবন করে মার্কেট করতে। এটি নিয়ে লড়াই করতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
বাছাই কেন্দ্রে কাজ করা ব্যক্তিদের দাবি, গুরুত্বপূর্ণ এই সরকারি অফিসে লোকবল বাড়ানোর পাশাপাশি বিদ্যুৎ চলে গেলে যাতে আলোর ব্যবস্থা করা হয়। পাশাপাশি মূল্যবান ডাকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যাতে বাড়ানো হয় নিরাপত্তা প্রহরীর সংখ্যাও।


আরো সংবাদ



premium cement
জিম্বাবুয়ে সিরিজের জন্য বাংলাদেশের প্রাথমিক দল ঘোষণা বৃষ্টির জন্য রাজশাহীতে ইসতিসকার নামাজ আদায় গাজীপুরে মহাসড়কের পাশ থেকে মৃত হাতি উদ্ধার প্রচণ্ড গরমের মধ্যে লোডশেডিং ১০০০ মেগাওয়াট ছাড়িয়েছে দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যা : প্রতিবাদ সমাবেশে পুলিশের গুলির নিন্দা জামায়াতের রাজধানীতে তৃষ্ণার্তদের মাঝে শিবিরের বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ রাজশাহীতে সাড়ে ৬ কোটি টাকার হেরোইনসহ যুবক গ্রেফতার এফডিসিতে সাংবাদিকদের ওপর হামলা গাজার বালিতে আটকে পড়েছে ইসরাইলি বাহিনী : হামাস মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদন : যা বলছে আওয়ামী লীগ মান্দায় বিদ্যুতের আগুনে পুড়ল ৮ বসতবাড়ি

সকল