২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

মুন্সীগঞ্জে খাসজমি, খাল ও নদী দখল করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান

-

মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার চরকেওয়ার ইউনিয়নের খাসকান্দি গ্রামের পাশে সরকারি পরিত্যক্ত জমি, খাল ও নদীর তীর দখল করে বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছে একটি প্রভাবশালী মহল। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মনে ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি হলেও প্রভাবশালীদের রোষানলে পড়ার ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পান না।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, খাসকান্দি গ্রামের পাশে লোহার সেতুসংলগ্ন সরকারি জায়গা দখল করে গাড়ির গ্যারেজ ও বালুর ব্যবসায় চালিয়ে আসছেন প্রভাবশালীরা। সেতুর ঠিক ঢালু অংশ জুড়ে এই রমরমা ব্যবসায় জনভোগান্তিসহ পরিবহন চলাচলেও মারাত্মক ব্যাঘাত ঘটছে। শুধু তাই নয় নূরানী কোল্ড স্টোর সংলগ্ন রজতরেখা নদীর তীরেও গড়ে তোলা হয়েছে বালু ব্যবসার পকেট। পাশাপাশি কদমতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সংলগ্ন সরকারি খাল এবং পরিত্যক্ত সরকারি জমি ও কবরস্থান দখল করে সেখানেও আরো তিনটি বালু বিক্রির পকেট তৈরি করা হয়েছে। রাস্তার পাশে তার এ বালু ব্যবসার ট্রলি ও ট্রাক সব সময় যাতায়াত করায় যানজট লেগেই থাকে। পাঁচটি স্থানে প্রায় পাঁচ একর সরকারি জমি দখল করে চলছে রমরমা বালু ব্যবসা। দখলদার প্রভাবশালী হওয়ায় এলাকার ভুক্তভোগীরা কোনো ধরনের প্রতিবাদ করার সাহস পান না। তার এ দখলদারিত্বে সরকারি নদী ও খাল ভরাটের পাশাপাশি পরিবেশেরও ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। একটু বাতাস হলেই বালু উড়ে প্রধান সড়ক, বসতবাড়ি ও পাশের স্কুলে অবর্ণনীয় পরিস্থিতির সৃষ্টি করে এবং স্থানীয়দের জমির ফসল নষ্ট করার পাশাপাশি পরিবেশও দূষিত করে।
সরেজমিন খাসকান্দি গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, খাসকান্দি সেতুর ঢালে প্রায় এক একর জায়গা জুড়ে গাড়ির গ্যারেজ ও ইট বালুর প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়েছে। তার একটু উত্তরে রজত রেখা নদীর নূর কোল্ড স্টোরের পাশে সরকারি জমিতে আরো একটি বালুর পকেট রয়েছে। এ ছাড়াও কদমতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশেও আরো তিনটি স্থানে বালু ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারুক আহাম্মেদ বলেন, ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতি টের পেয়ে অভিযুক্তরা কৌশলে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে অচিরেই সরকারি জায়গা থেকে সব অবৈধ স্থাপনা ও বালুর ব্যবসায় উচ্ছেদ করা হবে বলে তিনি জানান।

 


আরো সংবাদ



premium cement