১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`

পলাশে ডায়িং কারখানার বর্জ্যে মরছে মাছ, নষ্ট হচ্ছে ফসল

-

নরসিংদীর পলাশ উপজেলায় অনিয়ন্ত্রিত ডায়িং কারখানার বিষাক্ত বর্জ্যে হুমকিতে পড়েছে জীববৈচিত্র্য। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গড়ে উঠা ডায়িং কারখানার বিষাক্ত কেমিক্যাল মিশ্রিত রঙ অবাদে ফেলা হচ্ছে ব্রাহ্মপুত্র ও হাড়িদোয়া নদে। এতে করে নষ্ট হচ্ছে নদের আশপাশের ফসলি জমি, মরে ভেসে উঠছে পানির মাছ। দীর্ঘদিন ধরে প্রকাশ্যে এসব বর্জ্যে ফেলা হলেও কোনো প্রদক্ষেপ নেয়নি স্থানীয় প্রশাসন। সরেজমিন পলাশ উপজেলার জিনারদী ইউনিয়নের রাঘবদী গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, ওই গ্রামে একটি ডায়িং কারখানার বিষাক্ত কেমিক্যাল মিশ্রিত রঙ পাইপ দিয়ে প্রকাশ্যে ছাড়া হচ্ছে পাশের হাড়িদোয়া নদে। নিয়ম অনুযায়ী ইটিবির মাধ্যমে এসব রঙ পরিশোধন করার কথা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। কারখানাটির প্রতিষ্ঠাকালীন থেকে এসব রঙ ফেলা হচ্ছে আশপাশের নদী নালায়। রাঘবদী গ্রামের আব্দুল বাতেন মিয়া, জসিমউদ্দিন, রতন মিয়াসহ একাধিক কৃষক জানান, তারা জমিতে চাষাবাদের জন্য হাড়িদোয়া নদের পানি ব্যবহার করে আসছে। ডায়িং কারখানার বিষাক্ত রঙ হাড়িদোয়া নদে ফেলার কারণে এখন আর নদের পানি ব্যবহার করতে পারছে না তারা। বিষাক্ত কেমিক্যাল ফেলায় নদের পানি কালচে হয়ে গেছে। তারা আরো জানায়, শুধু ফসলি জমির ক্ষতি নয়, বিষাক্ত বর্জ্যরে ফলে নদের পানির মাছও মরে ভেসে উঠছে। এ ছাড়া রঙের দুর্গন্ধে আশপাশে চলাচলেও সমস্যা হচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দুই বছর আগে গ্রামে কারখানাটি স্থাপন করা হয়। শুধুমাত্র ইউনিয়ন পরিষদ থেকে একটি ছাড়পত্র নিয়েই এটি চালানো হচ্ছে। পলাশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্বরত) ফারহানা আলী বলেন, বিষয়টি শুনেছি, এ ব্যাপারে খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 


আরো সংবাদ



premium cement