২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫
`

তাড়াশে ধান ক্রয়ে অনিয়ম প্রকৃত কৃষকরা বঞ্চিত

-

চলতি আমন মৌসুমে সরকার প্রকৃত কৃষকের কাছ থেকে ২৬ টাকা কেজি দরে ধান কেনার ঘোষণা দিলেও চলনবিল অধ্যুষিত তাড়াশ উপজেলায় প্রকৃত কৃষক এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তাই বাধ্য হয়েই কৃষক বাজারে কম দামে ধান বিক্রি করছেন। ফলে তাড়াশ উপজেলায় আমন ধান গুদামে দিতে ৭০ শতাংশ প্রকৃত কৃষক বঞ্চিত হচ্ছেন।।
উপজেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রক অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী চলতি আমন মৌসুমে তাড়াশ উপজেলায় ২ হাজার ৪৫২ টন ধান সংগ্রহ করা হবে। প্রকৃত কৃষককে এই সুবিধার আওতায় আনার জন্য প্রত্যেক কৃষকের কাছ থেকে এক টন ধান কেনা হবে। সে অনুযায়ী ২ হাজার ৪৫২ জন কৃষক লটারির মাধ্যমে সরাসরি সরকারি গুদামে ধান দিতে পারবেন।
কৃষি বিভাগের তথ্যমতে জানা যায়, উপজেলায় ৪৮ হাজার ৯৩২ জন কৃষক রয়েছেন। এর মধ্যে গুদামে সরকার মূল্যে ধান দিতে পারবে ২ হাজার ৪৫২ জন। এ বছর উপজেলায় ১৩ হাজার ২২৫ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লÿ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সেখানে লÿ্যমাত্রা অতিক্রম করে আমন আবাদ হয়েছে প্রায় ১৪ হাজার হেক্টর।
এ দিকে হাতেগোনা কিছু কৃষক সরকারি সুবিধার আওতায় এলেও বেশির ভাগ কৃষক এ সুবিধা থেকে বঞ্চিত। ফলে বেশির ভাগ কৃষক তাদের উৎপাদিত আমন ধানের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে না।
উপজেলার গুল্টা হাটের আড়ৎদার আব্দুর রশিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, স্বর্ণা জাতের (আমন) ধান প্রতি মণ ৫৭০ থেকে ৬৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। হাটে ধান বিক্রি করতে আসা মানিকচাপড় গ্রামের কৃষক ইউনুস আলী বাবু বলেন, ৬১০ টাকা দরে স্বর্ণা (আমন) ধান বিক্রি করলাম। যেখানে প্রতিমণ ধান উৎপাদনে খরচ হয়েছে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ১০০ টাকা।
বিনসাড়া হাটের আড়ৎদার শফিকুল ইসলাম বলেন, মূলত এই হাটে ৪৯ জাতের, স্বর্ণা জাতের (আমন) ধান বেশি বিক্রি হয়ে থাকে, যার বাজার দর ৫৮০ থেকে ৬৫০ টাকা মণ। বিনসাড়া হাটের ধান বিক্রি করতে আসা পেঙ্গুযারী গ্রামের কৃষক রাশিদুল ইসলাম বলেন, আমি এ বছর ৮০ বিঘা জমিতে আমন ধান আবাদ করেছি। কিন্তু ধান বিক্রি করতে গিয়ে দেখি ৬৫০ থেকে ৭০০টাকা দরে ধান বিক্রি করতে হচ্ছে। এতে আমার লোকসান গুনতে হবে।
অভিযোগ উঠেছে, এক শ্রেণীর ব্যবসায়ী কৃষকের কাছ থেকে কৃষিকার্ড ১ হাজার টাকা থেকে ৩ হাজার টাকায় কিনে ৭ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা মুনাফা করে খাদ্যগুদামে ধান সরবরাহ করছেন। পরে কৃষকের মাধ্যামে ব্যাংক থেকে বিল তুলে নিচ্ছেন। এতে ব্যবসায়ীরা বিপুল মুনাফা করেছেন আর প্রতারিত হচ্ছেন প্রকৃত প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষক।
মাঠপর্যায়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, যারা ধান চাষ করেননি বা যাদের কাছে বিক্রি করার মতো ধান নেই তাদের নামই লটারিতে উঠেছে। কৃষকদের নাম তালিকায় থাকলেও অনেকে বিড়ম্বনা এড়াতে কৃষকরা ব্যবসায়ীদের কাছে লটারির টিকিট বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন।
দেশীগ্রাম ইউনিয়নের নাড়াতেঘরী গ্রামের কৃষক মোতালেব হোসেন বলেন, আমি ৯০ বিঘা জমিতে আমন ধান চাষ করেছি। লোক মারফত জানতে পারলাম সরকার খাদ্যগুদামে ধান কিনছে। যোগাযোগ করে দেখি লটারি হয়ে গেছে। তাহলে কারা গুদামে ধান দিলো। ধানের দাম কম। গুদামে এক মণ ধান দিতে পারলাম না। কপালে কী আছে জানি না।
এ বিষয়ে উপজেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রক রফিকুল ইসলাম বলেন, উপজেলা কৃষি অফিস থেকে সরবরাহকৃত তালিকা অনুযায়ী লটারির মাধ্যমে ধান কেনা হচ্ছে।


আরো সংবাদ



premium cement
গাজা থেকে ইসরাইলি সেনা প্রত্যাহারের পর ২ হাজার ফিলিস্তিনি নিখোঁজ ৯ বছর পর সৌদি আরবে আসছে ইরানি ওমরা কাফেলা দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যা : প্রতিবাদ সমাবেশে পুলিশের হামলার নিন্দা হেফাজতে ইসলামের ভর্তি পরীক্ষায় জবিতে থাকবে ভ্রাম্যমাণ পানির ট্যাংক ও চিকিৎসক মিয়ানমার থেকে ফেরত আসা বাংলাদেশীরা কারা? কিশোরগঞ্জে নিখোঁজের ২৫ দিন পর উদ্ধার যুবকের লাশ উদ্ধার ভুয়া সনদ সিন্ডিকেট : কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যানকে ডিবির জিজ্ঞাসাবাদ ঢাকার পয়োবর্জ্য-গ্যাস লাইন পরীক্ষায় কমিটি গঠনের নির্দেশ হাইকোর্টের জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশের প্রয়োজন ৫৩৪ বিলিয়ন ডলার : পরিবেশমন্ত্রী সাকিবকে ডিপিএলে চান বিসিবি প্রধান নির্বাচক কাতারের সাথে যৌথ বাণিজ্য কাউন্সিল গঠনে এফবিসিসিআইয়ের চুক্তি

সকল