২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

মিরসরাইয়ের মঘাদিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয় দুই শিক্ষক দিয়ে পাঠদান

-

মিরসরাই উপজেলার দÿিণ মঘাদিয়া ঘোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিÿক সঙ্কটের কারণে ছাত্রছাত্রীদের পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। সাতজন শিÿকের স্থলে দু’জন শিÿক পাঠদান দিচ্ছে শিÿার্থীদের। এতে ÿতিগ্র¯Í হচ্ছে বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা।
জানা গেছে, উপজেলার ১৬ নম্বর সাহেরখালী ইউনিয়নের ২ নম্বর ও ৩ নম্বর ওয়ার্ড প্রায় ৩ কিলোমিটার এলাকায় পাঁচ হাজার মানুষের প্রাথমিক অÿর জ্ঞান শিখার একমাত্র বিদ্যালয় হচ্ছে দÿিণ মঘাদিয়া ঘোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। সাতজন শিক্ষকের পদের বিপরীতে দু’জন শিক্ষক কর্মরত থাকায় মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম। ওই বিদ্যালয়ের শিÿিকা জাকিয়া গোলাপ নিপা ২০১৩ সালের ১৬ ফেব্রæয়ারি থেকে অদ্যাবধি মন্ত্রণালয়ে কর্মরত থাকা তার এক আত্মীয়ের প্রভাব খাটিয়ে উপজেলার রাঘবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ডেপুটেশনে রয়েছে। এই বিদ্যালয়ে তিন শিক্ষকের মধ্যে কর্মরত আছে দু’জন। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিÿকের দায়িতপ্রাপ্ত জসিম উদ্দিন এক বছরের পিটিআই প্রশিÿণের জন্য বিদ্যালয়ের বাইরে আছেন। অপর দুই সহকারী শিÿক নিলুফা আক্তার ও আলতাফ হোসেন।
ওই বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, শিÿক স্বল্পতার কারণে শ্রেণিকÿে ছাত্রছাত্রীরা এদিক-ওদিক ছোটাছুটি আর হইচইয়ে ব্য¯Í। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ও বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যরা জানান, বিদ্যালয়টি ১৯৪৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। বিদ্যালয়ে প্রায় ২০০ শিক্ষার্থী রয়েছে। শিÿক সঙ্কটের কারণে পরীÿার ফলাফলে এর প্রভাব পড়ছে। শিক্ষকরা জানান, বর্তমানে বিদ্যালয়ের শিশু শ্রেণীতে ২৫ জন, প্রথম শ্রেণীতে ২৭ জন, দ্বিতীয় শ্রেণীতে ২৫ জন, তৃতীয় শ্রেণীতে ৪৫ জন, চতুর্থ শ্রেণীতে ৩২ জন ও পঞ্চম শ্রেণীতে ২১ জন শিক্ষার্থী রয়েছে।
একজন অভিবাবক অনেকটা ÿোভের সাথে বলেন, কম শিÿকের কারণে বর্তমানে বিদ্যালয়ের রেজাল্ট খারাপ হচ্ছে। সম্প্রতি জানতে পারি সাত বছর ডেপুটেশন থাকা শিÿিকা নিপা বিদ্যালয়ে যোগদান না করে এক বছরের জন্য প্রশিÿণে গেছে। এই ধরনের কোনো সরকারি নিয়ম আছে কি না আমার জানা নেই।
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জসিম উদ্দিন বলেন, ‘আমাকে প্রায় সময় প্রশাসনিক কাজে উপজেলা সদর কিংবা বিভিন্ন স্থানে যেতে হয়। এমনকি বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকলেও বিদ্যালয়ের একাডেমি কার্যক্রম করতে গিয়ে আমাকে ব্য¯Í থাকতে হয় এবং মাঝে মধ্যে অন্য আরেকজন শিÿকের সহযোগিতাও নিতে হয়। এতে পাঠদান ব্যাহত হয়। বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা নিলুফা আক্তার বলেন, এক শ্রেণীর পাঠদানের সময় অন্য শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা বসে থাকে। মাঝে মধ্যে একসাথে দুই শ্রেণীতে ক্লাস নিতে হয়।’ আর দু’জন শিক্ষক ছয়টি শ্রেণিতে পাঠদান করতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয়।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি জহুরুল হক মেম্বার জানান, চরাঞ্চলের নিরÿর মানুষের অÿর জ্ঞানদানে বিরাট ভ‚মিকা রাখছে এই বিদ্যালয়। আমি উপজেলা শিÿা কর্মকর্তা গোলাম রহমান চৌধুরী ও প্রাথমিক শিÿক সমিতি মিরসরাই উপজেলার সভাপতি মনজুরুল কাদের চৌধুরী বারবার বলার পরও তারা কোনো পদÿেপ নেয়নি।
এই বিষয়ে জানতে শিÿক জাকিয়া গোলাপ নিপার ব্যক্তিগত মুঠোফোনে একাধিকবার কল করেও সংযোগ স্থাপন সম্ভব হয়নি। এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা গোলাম রহমান চৌধুরী বলেন, উপজেলার অনেক বিদ্যালয়ে শিক্ষক সঙ্কট রয়েছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। ওই বিদ্যালয়ে শিগগিরই শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়াধীন।

 


আরো সংবাদ



premium cement
বান্দরবানে কেএনএফের তৎপরতার প্রতিবাদে ১১টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী পেনশন স্কিম পুরোপুরি বাস্তবায়িত হলে দেশে বৃদ্ধাশ্রম থাকবে না : ডিসি নারায়ণগঞ্জ চুয়াডাঙ্গায় হিট স্ট্রোকে যুবকের মৃত্যু ফরিদপুরে সেদিন কী ঘটেছিল : বিবিসির প্রতিবেদন ইসরাইলের কাছে ১০০ কোটি ডলারের অস্ত্র বিক্রি করবে যুক্তরাষ্ট্র স্বর্ণের দাম কিছুটা কমলো অজ্ঞান পার্টির কবলে পড়ে শরণখোলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৬ ব্যক্তি ভর্তি পাঁচবিবিতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে এক ব্যক্তির মৃত্যু স্পেশাল অলিম্পিকে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, প্রশংসিত দেওয়ানগঞ্জের রবিন সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আরো ৭ দিন বন্ধ ঘোষণা থাই-মিয়ানমার সীমান্ত শহরের কাছে আবারো সংঘর্ষ শুরু : থাই সেনাবাহিনী

সকল