২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সোনাতলায় এখনো রাত জেগে পেঁয়াজক্ষেত পাহারা

-

চলতি বছর পেঁয়াজের মূল্য অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাওয়ায় বগুড়ার সোনাতলায় মাঠ থেকে একের পর এক পেঁয়াজ চুরির ঘটনা ঘটছে। পেঁয়াজ চুরি রোধে উপজেলার কৃষকেরা তাদের পেঁয়াজক্ষেত পাহাড়া দিচ্ছেন। বিশেষ করে যমুনা নদীর চরাঞ্চলের কৃষকেরা জমিতে পলিথিন দিয়ে কুঁড়ে ঘর তৈরি করে সেখানে রাত যাপন করছেন। কৃষকদের চোখে ঘুম নেই, অপেক্ষায় করছেন জমিতে উৎপাদিত পেঁয়াজ বাজারে বিক্রি করে নগদ অর্থ ঘরে তোলার। চোরের হাত থেকে পেঁয়াজের ক্ষেত রক্ষা করতে তারা নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার একটি পৌরসভা ও সাতটি ইউনিয়নে প্রায় ২৫০ হেক্টর জমিতে কৃষক পেঁয়াজ বপন করেছেন। প্রতি বছরের মতো এবার পেঁয়াজের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাসুদ আহমেদ জানান, কৃষক দুই পদ্ধতিতে পেঁয়াজ চাষ করে থাকে। এর একটি হচ্ছে বীজ বপনের মাধ্যমে অপরটি চারা রোপণের মাধ্যমে। বীজ বপন থেকে আড়াই তিন মাসের মধ্যে কৃষক পেঁয়াজ উত্তোলন করতে পারে না। আর চারা রোপণের মাধ্যমে দেড় থেকে দুই মাসের মধ্যে পেঁয়াজ ওঠানো যায়। পেঁয়াজ রান্নার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। পেঁয়াজ ছাড়া তরিতরকারী শাকসবজি রান্না করা সম্ভব হয় না।
সরজমিনে উপজেলার সরলিয়া, খাবুলিয়া, আউচারপাড়া, জন্তিয়ারপাড়া, ভিকনেরপাড়া, মহব্বতেরপাড়া, চরখাটিয়ামারী, চর শিমুলতাইড়, মধ্য দিঘলকান্দী, নওদাবগা, কর্পূর, মূলবাড়ী, ফাজিলপুর, মহিচরণ, বালুয়াহাট, মধুপুর, হরিখালী, পাকুল্লা এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, কৃষক জমি থেকে পেঁয়াজ চুরি রোধে পলেথিন দিয়ে ঘর বেঁধে পেঁয়াজের জমিতে রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন।


আরো সংবাদ



premium cement