২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ভুয়া চক্ষু চিকিৎসকদের রমরমা বাণিজ্য

-

নেত্রকোনায় চক্ষু চিকিৎসার নামে রমরমা হয়ে উঠেছে চিকিৎসাবাণিজ্য। ভুয়া ডিগ্রিধারী চক্ষু চিকিৎসকদের ফাঁদে পড়ে ভুল ও অপচিকিৎসায় রোগীদের চোখে নানা জটিলতা দেখা দিচ্ছে। কথিত চক্ষু বিশেষজ্ঞ ও সার্জনদের বিরুদ্ধে কার্যকর প্রশাসনিক ব্যবস্থার অভাবে কিছুতেই থামছে না চিকিৎসাবাণিজ্য। ভুল চিকিৎসায় অনেকের দৃষ্টিশক্তি চিরদিনের জন্য হারিয়ে যাওয়ারও অভিযোগ রয়েছে।
ভুক্তভোগী রোগীদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অনুসন্ধানে জানা যায়, দীর্ঘ দিন ধরে নেত্রকোনা শহর ও জেলার বিভিন্ন উপজেলা এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলের হাটবাজারে চেম্বার খুলে নানান ডিগ্রি-সংবলিত সাইনবোর্ড টাঙিয়ে চক্ষু চিকিৎসার নামে রোগীদের ধোঁকা দিচ্ছেন কথিত ডাক্তাররা।
নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের অডিট অফিসার চঞ্চল মাহমুদ চোখের সাধারণ ব্যথার কারণে অপপ্রচারে প্রভাবিত হয়ে সম্প্রতি নেত্রকোনা বিএনএসবি চক্ষু হাসপাতালে ডা: এ কে এম ছামিউল হকের শরণাপন্ন হন। চোখ পরীক্ষা করে তিনি একটি আই ড্রপের প্রেসক্রিপসন ধরিয়ে দেন, যা সাধারণত জটিল কোনো গ্লুকোমা রোগীদেরই দেয়া হয়ে থাকে। এই ড্রপ ব্যবহার করায় তার চোখের মারাত্মক অবনতি ঘটায় তিনি দ্রুত নেত্রকোনা চক্ষু হাসপাতালে চক্ষু বিশেষজ্ঞ ও সার্জন ডা: কবীর রায়হানের শরণাপন্ন হন। চোখ ও প্রেসক্রিপশন দেখে বিস্মিত হয়ে তিনি জানান, ভুল চিকিৎসায় এমনটি হয়েছে। বিলম্ব হলে চিরদিনের মতো চোখ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা ছিল। তিনি নেভান টিএসআই ড্রপ দেয়ার পর চঞ্চল মাহমুদের চোখের জটিলতা সেরে ওঠে। ছামিউল হকের এই ধরনের ভুল চিকিৎসায় কেন্দুয়া উপজেলার রামপুর এলাকার রহিছ উদ্দিন, সদর উপজেলার কে,গাতী এলাকার শহর বানু, দেওপুর গ্রামের আব্দুল মজিদসহ অনেকের চোখে জটিলতা দেখা দেয়ার অভিযোগ রয়েছে।
নেত্রকোনায় ‘লায়ন্স আই কেয়ার সেন্টারে ভুল চিকিৎসার শিকার শতাধিক রোগী’ শিরোনামে গত ২০১৬ সালের ২৪ অক্টোবর তারিখে নয়া দিগন্তে সচিত্র সংবাদ প্রকাশের পর র্যাবের অভিযানের ভয়ে ভুয়া ডাক্তারসহ স্টাফরা রাতের আঁধারে পালিয়ে যায়। স্বাস্থ্য বিভাগ কর্তৃক লায়ন্স আই কেয়ার সেন্টার সিলগালা করে দেয়ার পর চার মাস বন্ধ রাখা হয়। নিজস্ব চক্ষু বিশেষজ্ঞ ও সার্জন ছাড়া ক্লিনিক চালানো বেআইনি হলেও বর্তমানে কামরুল হাসান নামে একজন অদক্ষ ডাক্তার দিয়ে আগের মতোই ক্লিনিক চালানো হচ্ছে। গত ৩১ অক্টোবর বিএনএসবি চক্ষু হাসপাতাল মসজিদ কোয়ার্টার থেকে অন্যত্র স্থানান্তরিত হওয়ার পরদিন তড়িঘড়ি করে ওই স্থানে কয়েকজন ব্যবসায়ী মিলে চক্ষু চিকিৎসার নামে বিএনএসবির স্থলে এনএসবি নাম দিয়ে সরকারি অনুমোদন ছাড়াই কার্যক্রম শুরু করে।
এক প্রশ্নের জবাবে অভিযুক্ত ডা: ছামিউল হক বলেন, আমি এখানে মেডিক্যাল অফিসার হিসেবে কর্মরত আছি। চক্ষু ক্লিনিকটির বৈধতা আছে কি না সে বিষয়ে ক্লিনিকের কর্তৃপক্ষ ভালো বলতে পারবেন। লায়ন্স আই কেয়ারের কথিত মেডিক্যাল অফিসার কামরুল হাসানের মোবাইল নম্বরে কল দেয়ার পর আরিফ নামে এক ব্যক্তি নিজেকে ম্যানেজার পরিচয় দিয়ে কারণ জানতে চান। কথিত ডাক্তারের সাথে কথা বলতে চাইলে বারণ আছে বলে কল কেটে দেন। এর পর একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও এ বিষয়ে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে মানবাধিকার ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট অব বাংলাদেশের নির্বাহী প্রধান এস এম এইচ শিল্পী রনু বলেন, ‘সরেজমিন গিয়ে আমি নেত্রকোনার বিভিন্ন চক্ষু ক্লিনিক ও হাসপাতালে গিয়ে নানান অবস্থা এবং ভুল চিকিৎসায় অনেক রোগীর দৃষ্টিশক্তি হারানোর ঘটনায় বিস্মিত হয়ে পড়েছি। তিনি দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্বাস্থ্য বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানান।

 


আরো সংবাদ



premium cement
ধুনটে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বৃদ্ধের মৃত্যু বাকৃবির এক্স রোটারেক্টরর্স ফোরামের বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠিত পাবনায় মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড, হিট স্ট্রোকে মৃত্যু ১ দাগনভুঞায় বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটুক্তির ঘটনায় আ’লীগ নেতাকে শোকজ দখলে থাকা ৪ গ্রাম আজারবাইজানকে ফিরিয়ে দেবে আর্মেনিয়া স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে স্ত্রীর আত্মহত্যা! কুলাউড়ায় ট্রেনে কাটা পড়ে নারীর মৃত্যু যেসব এলাকায় রোববার ১২ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে পলাশ প্রেসক্লাবের সভাপতি মনা, সম্পাদক রনি তীব্র গরমে আইনজীবীদের গাউন পরতে হবে না বগুড়া পশ্চিম সাংগঠনিক জেলা জামায়াতের উদ্যোগে ভার্চুয়ালি রুকন সম্মেলন অনুষ্ঠিত

সকল