২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

কুষ্টিয়ায় ২৬ সেতুর দরপত্রে দুর্নীতি প্রমাণ হলেও বহাল পিআইও

-

কুষ্টিয়ায় ২৬টি সেতুর দরপত্রে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণ হলেও, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) আবদুল কাইয়ুম খানের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। একই ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জামাল আহমেদকে বদলি করা হয়েছে। তবে পিআইও এখনো বহাল তবিয়তে আছেন। এখন পর্যন্ত তাকে বদলি বা সাময়িক বরখাস্ত করা হয়নি। শুধু ত্রাণের সেতুতেই অনিময় হয়নি, জেলা প্রশাসনের একটি টিম কাইয়ুমের সময় বরাদ্দ সরকারি টিআর, কাবিখাসহ বিভিন্ন প্রকল্পে বড় ধরনের অনিয়ম পেয়েছে।
২০১৮-১৯ অর্থবছরে মিরপুর উপজেলায় গ্রামীণ রাস্তায় ১৫ মিটার দৈর্ঘ্য পর্যন্ত কালভার্ট নির্মাণ প্রকল্পে ২৬টি সেতু নির্মাণের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়। ২০ জুন এক দিনেই সব দরপত্র বিক্রি শেষ দেখানো হয়। পিআইও আবদুল কাইয়ুমের যোগসাজশে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা সাধারণ ঠিকাদারদের বঞ্চিত করে নিজেরাই সব কাজ ভাগাভাগি করে নেন। অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় তিন কার্যদিবসের মধ্যে চিঠির জবাব দিতে প্রকল্পের পিডি যুগ্মসচিব আবু বকর সিদ্দিক পিআইওকে ২৩ জুন চিঠি দেন। পরে অধিকতর তদন্ত করতে ৮ জুলাই ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতর থেকে যুগ্ম সচিবকে প্রধান করে দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির প্রধান ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব এম খালিদ মাহমুদ ও সদস্য ছিলেন ত্রাণ ও দুর্যোগ অধিদফতরের পরিচালক (উপসচিব) মাহবুব আলম তালুকদার। কমিটির সদস্যরা ঢাকায় ফিরে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। তদন্ত কমিটির সদস্যরা টেন্ডারে যে অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়, তার সাখে পিআইও আব্দুল কাইয়ুমের যোগসাজশ ছিল বলে প্রতিবেদনে তুলে ধরেন। এ ছাড়া গত ২৩ জুন কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেন এক চিঠিতে পিআইওর বিরুদ্ধে অবহেলার অভিযোগ এনে তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ করেছেন।
এ অবস্থায় গত ৩০ জুলাই দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের উপসচিব লুৎফুন নাহার এক চিঠিতে পিআইও আবদুল কাইয়ুমের কাজে অবহেলা, স্বেচ্ছাচারিতার শামিল ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে উল্লেখ করেন। এ অবস্থায় তার বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী বিধিমালা ২০১৮ অনুযায়ী কেন বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা পত্রপ্রাপ্তির সাত কার্যদিবসের মধ্যে জানাতে নির্দেশ দেয়া হয়। চিঠির জবাবে আবদুল কাইয়ুম নিজের অপরাধ স্বীকার করেন। ইউএনও লিংকন বিশ্বাস বলেন, মোবাইলে পিআইওর সাথে বেশি যোগাযোগ হয়। অফিসে না এলে ফোন দিলে তিনি আসেন। এভাবেই কাজ চলছে। জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেন বলেন, কাইয়ুমের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ পাওয়ায় শাস্তির সুপারিশ করে চিঠি দিয়েছি। এ বিষয়ে অধিদফতর তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের মহাপরিচালক শাহাদত হোসেন বলেন, মিরপুর উপজেলার পিআইও আবদুল কাইয়ুমের বিষয়ে একটি তদন্ত চলছে, এটুকুই বলতে পারি। এর বেশি এই মুহূর্তে বলতে পারছি না।


আরো সংবাদ



premium cement
তৃণমূল সংগঠনের মজবুতির জন্য কাজ করতে হবে : মাওলানা আব্দুল হালিম ‘দেশ ও জাতি দুঃসময় পার করছে’ ওসমানীনগরে বাস-ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে আহত ২ সহ-অধিনায়ক হতে পারেন রিজওয়ান মেক্সিকোয় মেয়র প্রার্থী ছুরিকাঘাতে নিহত রাজশাহীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজসমূহেও ক্লাস বন্ধ ঘোষণা দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন : প্রধানমন্ত্রী ফ্যাসিবাদের শোষণ থেকে জনগণকে মুক্ত করতে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে : মিয়া গোলাম পরওয়ার সিংড়ায় প্রতিমন্ত্রীর শ্যালককে প্রার্থীতা প্রত্যাহারের নির্দেশ আ’লীগের চুয়াডাঙ্গায় হিট‌স্ট্রো‌কে যুবকের মৃত্যুর ৭ ঘণ্টা পর নারীর মৃত্যু

সকল