২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

শিবালয়ে অবৈধ মাটি ব্যবসা : বিস্তীর্ণ জনপদ ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা

-

শিবালয় উপজেলার বিভিন্ন নদী-খাল-বিল ও ফসলি জমি কেটে অবৈধভাবে মাটি ব্যবসার যেন মহোৎসব শুরু হয়েছে। ফলে পদ্মা ও যমুনা তীব্রবর্তী বিস্তীর্ণ জনপদ নদীতে ভেঙে যাওয়ার পর আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। একশ্রেণীর মাটি ব্যবসায়ী চক্র বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ হলেও এদের অপতৎপরতা বিস্তার থেমে নেই।
জানা গেছে, উপজেলার জাফরগঞ্জ থেকে দক্ষিণে মান্দ্রাখোলা পেরিয়ে বিভিন্ন স্থানে ড্রেজার মেশিন দিয়ে মাটি কেটে তা বিক্রি করা হচ্ছে। পাটুরিয়া ঘাটের কাছে ফেরি-লঞ্চ, কার্গো, নৌকাসহ বিভিন্ন ধরনের নৌযান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে বিআইডব্লিউটিএ চলতি বছরের ২২ আগস্ট থেকে ড্রেজিং শুরু করে। ১২ লাখ ঘন মিটার পলি অপসারণের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ শুরু হয়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত প্রায় ৯ লাখ ঘন মিটার পলি অপসারণ করা হয়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে।
বিআডব্লিউটিএ’র ড্রেজিং ইউনিটের কতিপয় দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীর যোগসাজশে পাটুরিয়া ঘাটের উত্তর দিকে বিশেষ কায়দায় তৈরি করা স্থানে ড্রেজিংকৃত লাখ লাখ ঘনফুট পলি বা মাটি ফেলা হচ্ছে বলে অভিযোগ আছে। অসাধু উপায়ে জমাকৃত মাটি একশ্রেণীর ব্যবসায়ীরা উচ্চ দামে বিক্রি করছে। পাটুরিয়া ও আরিচা ঘাটসহ আশপাশ এলাকায় চার-পাঁচটি এমন মাটি মজুদ ও বিক্রেতার সন্ধান পাওয়া গেছে। এ ব্যবসায় স্থানীয় এক উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, জনপ্রতিনিধি ও ক্ষমতাসীন দলের দুই গ্রুপের কয়েক প্রভাবশালীর সংশ্লিষ্টতা রয়েছে।
এ ছাড়া উপজেলার পদ্মা-যমুনা তীরবর্তী কয়েক স্থানে অপরিকল্পিত উপায়ে অবৈধভাবে মাটি তোলা হচ্ছে। এতে নদী তীরবর্তী এলাকায় তীব্র ভাঙনে বাড়িঘর, ফসলি জমি, বিস্তীর্ণ জনপদ বিলীন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। স্তূপকৃত মাটি প্রত্যহ ছোট-বড় অসংখ্য ট্রাক-ট্রলিতে বহনকালে ঝরে পড়ায় সড়ক-মহাসড়ক ও গ্রামীণ পরিবেশে বিরূপ প্রভাব পড়ছে।
শিবালয় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জাকির হোসেন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, নৌ চলাচল সহায়ক ও নদীবক্ষে জেগে ওঠা চর থেকে পলি পরিকল্পিতভাবে কেটে আনা তেমন দোষের নয়। কিন্তু ছোট-বড় ট্রাক, ড্রাম ট্রাক বা ভারী যানবাহনে মাটি বহনকালে গ্রামীণ সড়ক অবকাঠামো ও মহাসড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হলে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরো সংবাদ



premium cement