২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

গজারিয়া স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে লোকবল সঙ্কট : রোগীদের দুর্ভোগ

-

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মাত্র ছয় চিকিৎসক দিয়েই চলছে পাঁচ লোকের চিকিৎসা। এ ছাড়াও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও মেডিক্যাল অফিসার মিলে ছয়টি পদ শূন্য রয়েছে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির কম করে ১০ জন চিকিৎসক প্রেষণে অন্যত্র দায়িত্ব পালন করছেন দীর্ঘ দিন। লোকবল সঙ্কটের কারণে এখানে আসা রোগীরা দুর্ভোগে পড়ছেন।
চলতি সপ্তাহে প্রশাসনিক প্রধান স্বাস্থ্যকর্মকর্তা ও চারজন চিকিৎসক বদলি ও পদোন্নতির কারণে অন্যত্র যোগদান করায় বর্তমানে রয়েছেন মাত্র ছয়জন চিকিৎসক, এদের একজন জিয়াউল ইসলাম পালন করছেন তিনটি পদের দায়িত্ব। ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার মো: জিয়াউল ইসলাম অতিরিক্ত আরো দু’টি দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি উপজেলা স্বাস্থ্যকর্মকর্তার ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব পালনের পাশপাশি জরুরি মেডিক্যাল অফিসার হিসাবেও কাজ করছেন।
গতকাল বুধবার দুপুরে গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে দেখা যায়, ডাক্তার মো: জিয়াউল ইসলাম আগতদের সেবা দিচ্ছেন জরুরি বিভাগে।
তিনি দুঃখের সাথে জানান, ভারপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য কর্মকর্তার জরুরি বিভাগে রোগি দেখার নিয়ম নেই, কিন্তু কী করবো সেবা প্রার্থীদের তো ফিরিয়ে দেয়া যায় না।
বুধবার সরেজমিন হাসপাতাল ঘুরে দেখা গেলো, ডাক্তার শাহানা পারভীন ও কে এম রাকিবুল আরিফ দুইজন বহির্বিভাগে দায়িত্ব পালন করছেন। পরিছন্ন কর্মী, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর লোকবলেও রয়েছে ঘাটতি সাথে আছে ওষুধ স্বল্পতা।
প্রায় পাঁচ লাখ জনসাধারণের বসবাস উপজেলাটিতে। তা ছাড়াও উপজেলার বুকজুড়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের প্রায় ১৫ কিলোমিটারজুড়ে সড়ক দুর্ঘটনায় পতিতদেরও প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হয় ওই কমপ্লেক্সটিকেই। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) বলেন, কর্মকর্তা স্বল্পতার কারণে মো: জিয়াউল ইসলাম বলেন, স্বল্পসময়ের মধ্যেই চিকিৎসক সঙ্কটসহ বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছি।
এ দিকে উপজেলার আটটি ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রেও চলছে চিকিৎসক সঙ্কট। হোসেন্দী, রসুলপুর, বালুয়াকান্দি ও গুয়াগাছিয়া ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসকরা রয়েছেন প্রেষণে অন্যত্র।


আরো সংবাদ



premium cement