চারজন ডাক্তার দিয়ে চলছে পাঁচ লক্ষাধিক মানুষের চিকিৎসা আগৈলঝাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
- আগৈলঝাড়া (বরিশাল) সংবাদদাতা
- ০৭ ডিসেম্বর ২০১৯, ০০:০০
বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলা হাসপাতালে ডাক্তার সঙ্কটে পাঁচ লক্ষাধিক মানুষ চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ৫০ শয্যার এই হাসপাতালে নানা সমস্যার মধ্যেও চিকিৎসকদের তীব্র সঙ্কটে স্বাস্থ্যসেবা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ডাক্তার সঙ্কটের পরও তিন লক্ষাধিক জনসংখ্যা অধ্যুষিত আগৈলঝাড়া উপজেলা ছাড়াও পাশের গৌরনদী উপজেলার পশ্চিমাংশ, উজিরপুরের উপজেলার উত্তরাংশ ও কোটালীপাড়া উপজেলার পূর্বাংশের লোকজন নিয়ে পাঁচ লক্ষাধিক মানুষকে চিকিৎসাসেবা দিতে হয় এই হাসপাতালটিকে। ১৯৭২ সালে উপজেলার গৈলা এলাকায় ৩১ শয্যাবিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠার পর ২০০৪ সালে এটিকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়।
৫০ শয্যার হাসপাতালটিতে ডাক্তারের পদ রয়েছে ২১টি। এ ছাড়াও পাঁচটি ইউনিয়নের স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের (সাব সেন্টার) দায়িত্বে থাকার কথা পাঁচজন ডাক্তারের। সব মিলে উপজেলায় মোট ২৬ জন ডাক্তারের পদ থাকলেও ইউনিয়নের স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোতে নেই কোনো ডাক্তার। হাসপাতালে ২১টি চিকিৎসক পদের বিপরীতে ডাক্তার রয়েছেন মাত্র চারজন। এর মধ্যে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচএএফপিও) হিসেবে অফিসিয়াল দায়িত্বে রয়েছেন সদ্য যোগদানকারী ডা: বখতিয়ার আল মামুন। হাসপাতালে বর্তমানে আবাসিক মেডিক্যাল কর্মকর্তা নেই। তাই ডা: বখতিয়ার আল মামুন প্রশাসনিক কাজে ব্যস্ত থাকেন। এ ছাড়া হাসপাতালে বর্তমানে ডা: মামুন মোল্লা, ডা: সৈকত জয়ধর ও ডা: তানভীর আহম্মেদ কর্মরত রয়েছেন। চিকিৎসক সঙ্কটের কারণে পয়সা সাব সেন্টারে আসা রোগীদের চিকিৎসাসেবা না দিয়ে ডাক্তার তানভীর আহম্মেদকে থাকতে হচ্ছে উপজেলা হাসপাতালে। ডাক্তার সঙ্কটের কারণে চিকিৎসাসেবা দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এ ছাড়াও হাসপাতালের এক্সরে মেশিন দীর্ঘ দিন নষ্ট হয়ে পড়ে থাকায় রোগীদের বাইরে থেকে বেশি টাকায় এক্সরে করতে হচ্ছে। এর আগে ২০১৮ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর হাসপাতাল পরিদর্শনে আসেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তৎকালীন অতিরিক্ত সচিব মোস্তফা হাসান। তিনি হাসপাতালের সব সমস্যা জেনে গেলেও কার্যত তার ওই সফর জনগণের কোনো কাজেই আসেনি। যুগের পর যুগ হাসপাতালে ডাক্তারের পদ শূন্য থাকলেও এ হাসপাতালে দেয়া হয়নি কোনো চিকিৎসক।
হাসপাতাল প্রধান ইউএইচএএফপিও ডা: বখতিয়ার আল মামুন বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে ডাক্তারের জন্য জানানো হয়েছে। তারা জানিয়েছেন সরকার থেকে ডাক্তার নিয়োগ দেয়া হলে আগৈলঝাড়া হাসপাতালে ডাক্তার সঙ্কট থাকবে না।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা