২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

প্রতিবন্ধীর ভাতা ছিনিয়ে নিলেন সমাজসেবা কর্মচারী ও মেম্বার

-

বানিয়াচংয়ে প্রতিবন্ধীর টাকা ছিনিয়ে নিলেন সমাজসেবা অফিসের কর্মচারী ও ইউপি সদস্য। ঘটনাটি ঘটেছে বানিয়াচং উপজেলার বড়বাজারস্থ সোনালী ব্যাংক এলাকায় গত মঙ্গলবার বিকেলে। এ বিষয়ে প্রতিবন্ধী মকসিনা আক্তার গত বুধবার বানিয়াচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামুন খন্দকারের কাছে বিষয়টি জানালে তিনি তাৎক্ষণিক বানিয়াচং উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলামকে ডেকে বিষয়টি দ্রুত সমাধান করে প্রতিবন্ধীর ভাতা ফিরিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করতে নির্দেশ দেন।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার বিকেলে বানিয়াচং সোনালী ব্যাংক বড়বাজার শাখা থেকে ২৪ হাজার টাকা প্রতিবন্ধী ভাতার টাকা তুলেন সাগরদীঘি পাড় এলাকার আব্দুস সাত্তারের প্রতিবন্ধী মেয়ে মকসিনা আক্তার। ব্যাংক থেকে ভাতার টাকা উত্তোলন করে ব্যাংকের নিচে আসামাত্র সমাজসেবা অফিসের ইউনিয়ন সমাজকর্মী রেজাউল হক রতন ও ইউপি মেম্বার সুমন আখনজী ওই প্রতিবন্ধীর কাছ থেকে পুরো ২৪ হাজার টাকা ও ভাতার বই ছিনিয়ে নেন। কিছুক্ষণ পরে আবারো ১১ হাজার টাকা প্রতিবন্ধী মকসিনার মায়ের কাছে ফেরত দিয়ে অবশিষ্ট ১৩ হাজার টাকা ও ভাতার বই তাদের হাতে রেখে দেন।
প্রতিবন্ধী মকসিনার মা বলেন, মঙ্গলবার সারা দিন প্রতিবন্ধী মেয়েকে নিয়ে কষ্ট করে ভাতার টাকা ব্যাংক থেকে উত্তোলন করে নিয়ে আসার পর সমাজসেবা অফিসের রতন ও মেম্বার সুমন আখনজী জোরপূর্বক আমার মেয়ের কাছ থেকে টাকা ও প্রতিবন্ধী ভাতার বইটি ছিনিয়ে নিয়ে যান। তিনি কান্নাজড়িত কন্ঠে ইউএনও’র কাছে তার প্রতিবন্ধী মেয়ের ভাতার টাকা ও বই ফেরত দেয়ার আকুতি জানান।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামুন খন্দকারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, প্রতিবন্ধী মেয়েটি আমার কাছে এসে অভিযোগ দিয়েছে, ইতোমধ্যেই সমাজসেবা অফিসের রতন ও ইউপি মেম্বার সুমন আখনজীকে আমার অফিসে তলব করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয়ে বানিয়াচং উপজেলা সমাজসেবা অফিসার সাইফুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ইউএনও বিষয়টি দেখার জন্য আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন। ইউনিয়ন সমাজকর্মী রেজাউল হক রতন ইতোমধ্যে নবীগঞ্জ উপজেলায় বদলি হয়েছেন। তিনি আমার অফিসের কর্মী নন। তার দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয়ার জন্য আমার অফিসে এসেছিলেন।


আরো সংবাদ



premium cement