কলাপাড়ায় মহিপুর বাজারে প্রবেশ সড়কে জনদুর্ভোগ
- এইচ এম হুমায়ুন কবির কলাপাড়া (পটুয়াখালী)
- ১৯ নভেম্বর ২০১৯, ০০:০০
পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার মৎস্য বন্দর মহিপুর বাজারের প্রবেশের সড়কটি এখন মৎস্য ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসীর জন্য মারণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। সড়কের কার্পেটিংয়ে ভেঙে ইটের খোয়া বেরিয়ে পড়েছে। সৃষ্টি হয়েছে অসংখ্য বড় বড় গর্ত। স্থানীয় প্রশাসনের নজরদারির অভাবে গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি বেহাল দশায় রয়েছে দীর্ঘ দিন ধরে। রাস্তটি ভেঙে যাওয়ায় চরম জনদুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে।
উপজেলার মহিপুর বাজার একটি ঐতিহ্যবাহী বাজার। এখানে সপ্তাহে প্রতি বৃহস্পতিবার দিন হাট বসে। এ ছাড়াও প্রতিদিন সকাল ও বিকেল বাজার বসে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে মাছ কিনতে প্রতিদিন ক্রেতারা আসেন। কলাপাড়া-মহিপুরের পাকা সড়কের সাথে বাজারটি হলেও বাজারে প্রবেশের রাস্তাটি একবারে ভেঙে গেছে। ফলে ঘটছে একের পর এক দুর্ঘটনা। দুর্ঘটনাকবলিত হচ্ছে মালবাহী পিকআপ ভ্যান, ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, ভ্যানসহ যানবাহন। ফলে ব্যবসায়ীরা ইলিশ মাছ ও মালামাল আনা নেয়া করতে গিয়ে মারাত্মক দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। ভাঙাচোরা রাস্তার কারণে প্রায়ই মালামাল পরিবহনকারী যানবাহন দুর্ঘটনায় পড়ে ব্যবসায়ীরা আর্থিক ক্ষতির শিকার হচ্ছেন। এ ছাড়া এই বাজারে আসা ক্রেতারা দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। এই বাজার থেকে প্রতি বছর সরকারের বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আয় হলেও এ রাস্তাটি মেরামতে কর্তৃপক্ষের কোনো উদ্যোগ নেই। প্রতি বছর মৎস্য বন্দর থেকে কোটি কোটি টাকার ইলিশ মাছ ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় পাঠানো হয়। এছাড়া সোনালী ব্যাংক, কৃষি ব্যাংক, পোস্ট অফিস, ভূমি অফিস, স্বাস্থ্য কেন্দ্র, মহিপুর কো-অপারেটিভ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কিন্ডারগার্টেন স্কুলের শত শত কমলমতি শিক্ষার্থীকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এ রাস্তায় চলাচল করতে হয়।
এ ব্যাপারে মহিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দিপ্তি রানী ভৌমিক বলেন, মহিপুর বাজার প্রবেশের রাস্তাটি দীর্ঘ দিন ধরে জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের চলাচলের জন্য এই রাস্তাটি একমাত্র পথ। প্রতিদিনই জনসাধারণকে এ রাস্তা দিয়ে বাজারে আসতে হয়। বাজারে প্রবেশের প্রধান রাস্তাটি ভেঙে জরাজীর্ণ হওয়ায় কৃষকদের উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত করা কষ্টকর হয়ে পড়েছে।
মহিপুর মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির একাধিক ব্যবসায়ী জানান, দক্ষিণাঞ্চলের একমাত্র মৎস্য বন্দর আলীপুর ও মহীপুর। মহীপুর থেকে সবচেয়ে বেশি মাছ রফতানি করা হয়। কিন্তু দুঃখের বিষয় ট্রাক বা গাড়িতে মাছ ভর্তি করে নিয়ে আসা যাওয়ার রাস্তাটি দীর্ঘ দিন ধরে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। ট্রাক চলাচলের দূরের কথা মানুষ হেঁটে চলাচল করাও কষ্টকর।
এ ব্যাপারে কলাপাড়া উপজেলা এলজিইডি উপসহকারী প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেন বলেন, আমাদের এ বছরের কোনো পরিকল্পনা নেই রাস্তাটি করার। তবে আইআরআই ডিপি প্রজেক্ট ওই কাজটি করার ব্যবস্থা করছে। ওখান থেকে কাঠাবাড়ানি পর্যন্ত দুই কিলোমিটার রাস্তা কিছু দিনের মধ্যে করার পরিকল্পনা রয়েছে। সেই সাথে মহিপুর প্রবেশ মুখের রাস্তাটি করার সম্ভাবনা রয়েছে বলে তিনি জানান।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা