১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ধানের ব্লাস্ট রোগে দিশেহারা রানীনগরের চাষিরা

-

নওগাঁর রানীনগরে চলতি মওসুমে আমন ধানে ব্যাপক হারে ব্লাস্ট রোগের আক্রমণে শত শত হেক্টর জমির ধানের শীষ মরে যাচ্ছে। বিভিন্ন কোম্পানির ওষুধ ছিটিয়েও কোনো কাজ না হওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। ফলে চলতি মওসুমে ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
রানীনগর উপজেলা কৃষি দফতর সূত্রে জানা গেছে, চলতি আমন মওসুমে উপজেলার আটটি ইউনিয়নে প্রায় সাড়ে ১৮ হাজার হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের ধান রোপণ করা হয়েছে। উপজেলার নিচু এলাকায় বন্যার পানি দীর্ঘ দিন ধরে জমে থাকায় প্রাথমিকভাবে সাড়ে ১৩ হাজার হেক্টর জমিতে ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও পানি নেমে যাওয়ায় লক্ষ্যমাত্রা পাঁচ হাজার হেক্টর বাড়ানো হয়। এসব জমিতে আতব জাতের ধানই বেশি রোপণ করা হয়েছে। আবাদের শুরুতে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় তেমন রোগবালাই দেখা না দিলেও ধানের শীষ বের হওয়ার সাথে সাথে গোড়া থেকে কালো হয়ে ধানের শীষ মরে যাচ্ছে। ধানের শীষ মরা রোধ করতে বিভিন্ন কোম্পানির ওষুধ ছিটিয়েও কোনো কাজ হচ্ছে না। দিন দিন ধানের শীষ আরো বেশি মরে যাচ্ছে।
উপজেলার মালশন, বলিদাগাছী, গিরিগ্রাম, আকনা, বাঁশবাড়িয়া ঝিনা, সিম্বা, রণসিংগার পাড়া, খট্রেশ্বর পশ্চিম মাঠ, করজগ্রাম, কালীগ্রাম, জলকৈ, নারায়ণ পাড়া, শরিয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় শত শত হেক্টর জমির ধানের শীষ মরে যাচ্ছে। ফলে চলতি মওসুমে ধানের ফলন বিপর্যয় হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।
রানীনগর খট্রেশ্বর পশ্চিম পাড়া গ্রামের কৃষক ইদ্রিস আলী জানান, তিনি এবার ৬ বিঘা জমিতে ধান রোপণ করেছেন। এর মধ্যে তিন বিঘা কাটারি ভোগের ধানে ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত করেছে। ওষুধ ছিটিয়েও কোনো কাজ হচ্ছে না। শরিয়া গ্রামের কৃষক এমরান হোসেন জানান, তার চার বিঘা জমির ধানই ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হয়ে মরে যাচ্ছে। নারায়ণ পাড়া গ্রামের কৃষক মোসারফ হোসেন জানান, তিনি প্রায় ১৪ বিঘা জমিতে ধান রোপণ করেছেন। এর মধ্যে প্রায় ৬ বিঘা জমির ধান রোগে আক্রান্ত হয়েছে।
ইতোমধ্যে আক্রান্ত এসব জমির প্রায় ৪০-৪৫% ধানের শীষ মরে গেছে। এছাড়া সিলমাদার, করজগ্রাম, মালসনসহ বিভিন্ন এলাকার কৃষকদের সাথে কথা বললে তারা জানান,গত ইরি-বোরো মওসুমে ধানের ফলন ভালো হলেও বাজারে দরপতনের কারনে বিঘাপ্রতি ৩-৪ হাজার টাকা করে লোকসান হয়েছে। এখনো বাজারে সন্তোষজনক দাম নেই। এর ওপর আবার ব্লাস্টসহ বিভিন্ন রোগবালাইয়ে ধানের ফলন নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন তারা। এক্ষেত্রে আবারো ধান আবাদে লোকসান হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।
রানীনগর উপজেলা কৃষিকর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, আবহাওয়াজনিত কারণে কিছু কিছু জমিতে ব্লাস্ট রোগ দেখা দিয়েছে। তবে এক্ষেত্রে ক্ষতির কোনো আশঙ্কা নেই।


আরো সংবাদ



premium cement
ইরানের ওপর চাপ বাড়াচ্ছে পাশ্চাত্যের দেশগুলো সিদ্ধিরগঞ্জে দুর্ধর্ষ ডাকাতি, নগদ টাকাসহ ৮০ লাখ টাকার মালামাল লুট প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী পরীমণির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানার আবেদন স্থায়ী যুদ্ধবিরতি না হওয়ায় গাজায় মানবিক প্রচেষ্টা সম্পূর্ণ ব্যর্থ : রাশিয়া পিকআপচালককে হত্যা করে রেললাইনে লাশ ফেল গেল দুর্বৃত্তরা এক মাস না যেতেই ভেঙে গেলো রাজকীয় বিয়ে! ইউক্রেনে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহত ১৭ নোয়াখালীতে মেলায় সংর্ঘষ নিহত ১ কবরস্থান থেকে বৃদ্ধার বস্তাবন্দি লাশের রহস্য উন্মোচন : পুত্রবধূ ও নাতনি গ্রেফতার মিরসরাইয়ে বজ্রপাতে কৃষকের তিন গরুর মৃত্যু

সকল