রাজাপুরে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলে ক্ষতিগ্রস্ত ৫০০ পরিবারে হাহাকার
- রাজাপুর (ঝালকাঠি) সংবাদদাতা
- ১৮ নভেম্বর ২০১৯, ০০:০০
ঝালকাঠির রাজাপুরে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতে ছয় ইউনিয়নে সরকারি হিসাব মতে ৫০৩টি ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় বুলবুলে আঘাতের আট দিন অতিবাহিত হলেও গৃহহীন পরিবারগুলো এখনো ত্রাণ সহায়তা বা ঘরনির্মাণে সহায়তা পায়নি। এ দিকে বসতঘর ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের লোকজন গৃহহারা হয়ে স্বজনের বাড়িসহ খোলা আকাশের নিচে থাকছেন। অনেকে আবার ক্ষতিগ্রস্ত ঘরের মধ্যেই কোনোমতে আশ্রয় নিয়ে রাতযাপন করছেন।
তবে চলমান পাবলিক পরীক্ষার্থীরা পড়েছেন চরম বিপাকে। ভাঙা ঘর ও বেশির ভাগ ঘরে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় সঠিকভাবে পরীক্ষার প্রস্তুতিও নিতে পারছেন না তারা। রাজাপুরের প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মামুনুর রশিদ জানান, ঝড়ে ৫০৩টি বসতঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইতোমধ্যে দুই শতাধিক লোক আবেদন করেছেন এবং এখনো ক্ষতিগ্রস্তদের পক্ষ থেকে আবেদন সংগ্রহ করা হচ্ছে। আবেদন যাচাই-বাছাই করে সহায়তা দেয়া হবে। সরেজমিন উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, রাজাপুর সদর ইউনিয়নের বড় কৈবর্তখালী গ্রামের কৃষক আ: মন্নান (৫০)। তিনি কৃষি কাজের পাশাপাশি টমটম চালিয়ে পাঁচ সদস্যের সংসার চালান। কিন্তু ঝড়ের আঘাত গাছ পড়ে তাদের সেই ছোট ঘরটি বিধ্বস্ত হয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। কৃষক আ: মন্নান বলেন, আমি এখন মানুষের ঘরে রাতযাপন করি সন্তÍানদের নিয়ে। এখন দিশেহারা কী করব বুঝতে পারছি না।
বড় কৈবর্তখালীর গ্রামের আ: শুক্কুর মৃধার (৫২) ঘরেও গাছ পড়ে ঘর ভেঙে গেছে। এ ছাড়া কৈবর্তখালীর গ্রামের আ: রাজ্জাক সিকদারের ঘরের চালা উড়িয়ে নিয়াসহ উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে অন্তত পাঁচ শতাধিক দরিদ্র, অসহায় পরিবারের বসতঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জানতে চাইলে রাজাপুরের ইউএনও সোহাগ হাওলাদার জানান, ইতোমধ্যে বসতঘর বিধ্বস্ত-ক্ষতিগ্রস্ত দুই শতাধিক পরিবারের পক্ষ থেকে এসব ঘরের ছবিসহ সহায়তার জন্য আবেদন করছে, আবেদন দেয়ার প্রক্রিয়া এখনো চলমান তাই এখনো ক্ষতিগ্রস্তদের আবেদনের যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া শুরু করা হয়নি। যাচাই-বাছাই শেষে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করে পর্যায়ক্রমে টেউটিনসহ সার্বিক সহায়তা দেয়া হবে। তবে একটি পরিবারকে টেউটিনসহ ৭০টি পরিবারকে চালসহ বিভিন্ন রকমের ত্রাণ সহায়তা দেয়া হয়েছে। এ প্রক্রিয়া চলমান এবং যাচাই-বাছাই শেষে বসতঘর ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে টেউটিন ও অর্থ সহায়তা দেয়া হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা