পোরশায় ছড়িয়ে পড়েছে গরুর ল্যাম্পি ডিজিজ
- পোরশা (নওগাঁ) সংবাদদাতা
- ১৮ নভেম্বর ২০১৯, ০০:০০
নওগাঁর পোরশায় গরুর ভাইরাসজনিত রোগ ‘ল্যাম্পি স্কিন ডিজিজ’ ছড়িয়ে পড়েছে। ফলে আতঙ্কিত ও দিশেহারা হয়ে পড়েছেন উপজেলার গরু পালনকারীরা। এ রোগের সুনির্দিষ্ট কোনো প্রতিষেধক বা ভ্যাকসিন না থাকায় আতঙ্ক বেড়েছে।
উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের গরু পালনকারীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, প্রথমত গরুর শরীরের আক্রান্ত স্থান ফুলে যাচ্ছে এবং দু-একদিনের মধ্যেই শরীরে ফোলা স্থান থেকে গোশত খুলে পড়ে যাচ্ছে। এ ছাড়াও অনেক গরুর সারা শরীরজুড়ে অসংখ্য গুটি গুটি ঘা হয়ে যাচ্ছে।। এ সময় গরুর শরীরে ১০৪ থেকে ১০৬ ডিগ্রি তাপমাত্রায় জ্বর থাকছে। এর ফলে আক্রান্ত গরু কোনো কিছু খাচ্ছে না।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ল্যাম্পি স্কিন ডিজিজ প্রথম ১৯২৯ সালে জাম্বিয়াতে হয়েছিল। যা পরবর্তীতে আফ্রিকা মহাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। এ বছর চীন ও ভারতে রোগটি দেখা দেয়ার পর এবারই প্রথম বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। তবে রোগটি সাধারণত মশা, মাছি, আটালি, আক্রান্ত পশুর লালা, আক্রান্ত গরু-মহিষের দুধ এবং বহুবার ব্যবহারিত ইনজেকশনের সিরিঞ্জের মধ্যমে ছড়ায়। রোগটি ছয় মাস পর্যন্ত স্থায়ী হয় বলে সূত্রটি জানায়। ভাইরাস জনিত এ রোগে সাধারণত গরু-মহিষ আক্রান্ত হয়ে থাকে।
আক্রান্ত গবাদিপশু দুর্বল হয়ে ওজনে কমে যায়। আর গাভির দুধ উৎপাদন ক্ষমতা হ্রাস পায়। উপজেলার জালুয়া গ্রামের বাসিন্দা আব্দুর রহমান, মিস্টার আলী ও নুর নবী জানান, তাদের গরুগুলোকে ওষুধ খাইয়ে কাজ না হওয়ায় বর্তমানে তারা আক্রান্ত স্থানে আকন্দ পাতা গরম করে শেক দিচ্ছেন। এতে কিছুটা হলেও ভালো হচ্ছে বলে তারা জানান।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা: শফিউল আলম জানান, উপজেলার প্রায় সব ক’টি ইউনিয়নেই এই রোগ ছড়িয়ে পড়েছে এবং অনেক গরু আক্রান্ত হয়েছে। তবে এ রোগে আক্রান্ত হয়ে গরু মারা যাওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। সাধারণত এ রোগে গরু মারা যায় না বলে তিনি জানান। তিনি আরো জানান, আমাদের একজন মাত্র চিকিৎসক ছিল তাকেও ছয় মাসের জন্য প্রশিক্ষণে পাঠানো হয়েছে। আমাদের লোকবলের সঙ্কট থাকার পরও রোগটি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে ভয়ের কিছু নেই এবং খুব তাড়াতাড়ি রোগটি ভালো হয়ে যাবে। ইতোমধ্যে চিকিৎসা দেয়া অনেক গরুই ভালো হয়ে গেছে। এ ব্যাপারে তিনি গরু পালনকারীদের সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা