নিকলীর পাথরশ্রমিক শামছু হত্যা মামলার কোনো আসামিই ধরা পড়েনি
- কিশোরগঞ্জ সংবাদদাতা
- ১৬ নভেম্বর ২০১৯, ০০:০০
নিকলী উপজেলার কারপাশা গ্রামের পাথরশ্রমিক শামছুদ্দিন ওরফে শামছু মিয়াকে (৫৫) অপহরণ করে গত ২৯ মে সকালে ইট পাথর ও ছুরিকাঘাত করে আহত করে হত্যা করা হয়। কিন্তু এ হত্যাকাণ্ডের পাঁচ মাস পেরিয়ে গেলেও মামলার আসামিরা ধরা পড়েনি। ঘটনায় সম্পৃক্ত ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি আব্দুল লতিফ সালকারুম তার বাবা নূর হোসেনসহ পাঁচ আসামি মামলার শুরু থেকেই প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করছেন।
একপর্যায়ে নি¤œ আদালতে আত্মসমর্পণ করার শর্তে ৩০ জুলাই আসামিরা উচ্চ আদালত থেকে তিন সপ্তাহের জামিন নেন। ওই জামিনের মেয়াদও শেষ হয়ে গেছে আড়াই মাসের বেশি। কিন্তু তারা ধরা পড়ছে না। মামলার চার্জশিটেরও কোনো খবর নাই। এ অবস্থায় মামলার তদন্ত নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছে নিহত শামছু মিয়ার পরিবার।
জানা গেছে, পূর্বশত্রুতা ও বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধের জেরে গত ২৯ মে সকালে কারপাশা গ্রামের হতদরিদ্র পাথরশ্রমিক শামছু মিয়াকে গ্রামের যুবলীগ নেতা আবদুল লতিফ ওরফে সালকারুমের নেতৃত্বে বাড়ির সামনে থেকে অটোরিকশাতে করে হাত-পা বেঁধে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে বাড়ি থেকে এক কিলোমিটার দূরে আবদুল হামিদ সড়কে লোকজনের সামনে তাকে বাটখারা, ইট ও ছুরির আঘাতে হত্যা করা হয়। সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাদ্দাম হেসেন এজাহারটি পর্যালোচনা করে এটিকে দ্রুত এফআইআর হিসেবে গ্রহণ করতে নিকলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দেন।
জাহাঙ্গীর আলমের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে নিকলী থানার ওসি শামসুল আলম সিদ্দিকী নয়া দিগন্তকে বলেন, ‘মামলাটির তদন্ত করছে এসআই মিজানুর রহমান। আমি নিয়মিত খোঁজখবর নিচ্ছি। গুরুত্ব দিয়েই মামলাটির তদন্ত করা হচ্ছে। তবে মেডিক্যাল রিপোর্টে হত্যার বিষয়টি ওঠে আসেনি। তাই আমরা আরো সতর্কভাবে তদন্ত করছি। নিরীহ কেউ যেন হয়রানি না হয় এর জন্যই আপাতত কাউকে ধরা হচ্ছে না।’
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা