২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

চৌহালীতে ৩টি গ্রামে অসময়ে যমুনার ভাঙন

-

সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার দক্ষিণাঞ্চলের তিনটি গ্রামে অসময়ে যমুনার তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। দেড় সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় ২৩টি ঘরবাড়ি নদীতে বিলীন হয়েছে। এ ছাড়া হুমকির মুখে পড়েছে দু’টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তিনটি মসজিদ ও হাটবাজারসহ প্রায় অর্ধশতাধিক বসতভিটা। স্থানীয়রা দ্রুত ভাঙন রোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
জানা যায়, চৌহালী উপজেলার বাঘুটিয়া ইউনিয়নের ঘুশুরিয়া, হিজুলিয়া ও খাষপুখুরিয়া ইউনিয়নের কাঠালিয়া চরসহ দক্ষিণাঞ্চলের প্রায় ৯ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে শুষ্ক মৌসুমে নতুন করে শুরু হয়েছে নদীভাঙন। গত দেড় সপ্তাহের ব্যবধানে বহু ফসলি জমি, ঘুশুরিয়া হাটবাজার ও নৌকাঘাটসহ প্রায় ২৩টি ঘরবাড়ি নদীতে বিলীন হয়েছে। এ ছাড়া ভাঙনে হুমকির মুখে পড়েছে ঘুশুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হিজুলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হিজুলিয়া জামে মসজিদ, ঘুশুরিয়া বাজার জামে মসজিদ ও মোল্লাপাড়া জামে মসজিদ। এসব এলাকার ক্ষতিগ্রস্তরা আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, ভাঙন রোধে এখনো নেয়া হয়নি কার্যকর কোনো পদক্ষেপ।
স্থানীয় আশরাফ মেম্বার ও ঘুশুরিয়া বাজারের সভাপতি সেলিম মোল্লা জানান, এখনই ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া না হলে চিনাবাদাম, মাষকলাই, সরিষাসহ কয়েক হাজার হেক্টর ফসলি জমি নদীতে বিলীন হবে। চরে আশ্রয়ে এমন অনেক পরিবার রয়েছে, যারা একসময় বহু জমির মালিক ছিল। অথচ এখন তারা অন্যের জমিতে মজুরি খেটে সংসার চালাচ্ছে। টাকার অভাবে সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে পারছে না। বাঘুটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল কাহহার সিদ্দিকী জানান, নদী শুকিয়ে ছোট-বড় চরের সৃষ্টি হওয়ায় অসময়ে নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙন রোধে এখনই কার্যকর পদক্ষেপ না নেয়া হলে বর্ষা মৌসুমে দক্ষিণাঞ্চল বিলীন হয়ে যাবে।
এ বিষয়ে চৌহালীর ইউএনও দেওয়ান মওদুদ আহমেদ জানান, ভাঙন এলাকা রক্ষায় দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া ও অসময়ে নদী ভাঙনের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন মহলকে জানিয়ে দেয়া হবে।


আরো সংবাদ



premium cement