চিতলমারীতে ঘূর্ণিঝড়ে টমেটো চাষিদের সাড়ে ৩ কোটি টাকার ক্ষতি
- এস এস সাগর চিতলমারী (বাগেরহাট)
- ১৫ নভেম্বর ২০১৯, ০০:০০
বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার সবজি চাষিরা টমেটো চাষের মাধ্যমে ভাগ্যবদলের যে স্বপ্ন দেখেছিলেন তা ধূলিসাৎ হয়ে গেছে। ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ প্রকৃতির মতো তাদের সব আশা-ভরসাকে লণ্ডভণ্ড করে দিয়েছে। শুধু বুলবুল নয়, বারবার প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে এ অঞ্চলের কৃষকদের অর্থনৈতিক মেরুদণ্ড এখন নুয়ে পড়েছে। তাই কোনো সান্তনাই দেনার দায়ে জর্জারিত টমেটো চাষিদের কান্না থামাতে পারছে না।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, টমেটো এ অঞ্চলের চাষিদের একটি প্রধান অর্থকারী ফসল। প্রচুর লাভের আশায় তারা এটি চাষ করে থাকেন। সে লক্ষে এ বছর উপজেলায় এক হাজার ৫০০ একর জমিতে চক্র, পানপাতা, মিন্টু সুপার, লাভলী, হাইটম ও বিউটিসহ বিভিন্ন জাতের টমেটোর চাষ করা হয়েছে। মূলত এ এলাকায় শীতকালীন টমেটোর চাষ হয়ে থাকে। এবার ফলের উৎপাদন হয়েছিল প্রচুর। বাজারেও পাকা টমেটো উঠতে শুরু করেছিল। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতে এখানের ৯০ শতাংশ ক্ষেতের টমেটো নষ্ট হয়ে কমপক্ষে সাড়ে তিন কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
খলিশাখালী গ্রামের টমেটো চাষি কৃষ্ণপদ মজুমদার, অনিমা মণ্ডল, খড়মখালী গ্রামের আলমগীর তরফদার, পরিমল মজুমদার, শ্রীরামপুরের বিমল মণ্ডল, কৃষ্ণনগর গ্রামের বিনয় মালাকার, কালশিরার বিকাশ মণ্ডল, পাটরপাড়ার মুজিবর বিশ্বাস, সুরশাইলের ইউসুফ শেখ, মুন্না শেখ, খড়মখালীর পরিতোষ মজুমদার, লিটন সিংহ, কুরমুনির রেজাউল দাড়িয়া, দড়িউমাজুড়ির দেবদাস বৈরাগী, দিজেন বৈরাগী, বুদ্ধ বসু, অনিমেশ মণ্ডল (সাদ্দাম) ও অনুপ বিশ্বাস জানান, এ অঞ্চলের টমেটো দেশের বিভিন্ন এলাকার চাহিদা মেটায়। প্রতি বছর এখানে কয়েক লাখ টন টমেটো উৎপাদিত হয়। আগতি টমেটোতে ভালো দাম পাওয়া যায়। তাই তারা এ আগাম টমেটো চাষের মাধ্যমে ভাগ্যবদলের স্বপ্ন দেখেছিলেন। কিন্তু সেই স্বপ্ন ধূলিসাৎ হয়ে গেছে। ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ তাদের সব আশা-ভরসাকে লণ্ডভণ্ড করে দিয়েছে। কোনো সান্তনাই তাদের কান্না থামাতে পারছে না।
এ ব্যাপারে চিতলমারী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ঋতুরাজ সরকার জানান, এ বছর টমেটোর ফলন ভালোই হয়েছিল। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতে ফলন্ত টমেটো নষ্ট হওয়ায় চাষিদের অর্থনৈতিক মেরুদণ্ড ভেঙে গেছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা