২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫
`

জীবননগরে থোকায় থোকায় ঝুলছে চায়না লেবু

-

২০১৬ সালে জীবননগর উপজেলার নিধিকুঞ্জু গ্রামের সড়কের ধারে এক বিঘা জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে চায়না লেবুর ১৫০টি চারা রোপণ করেন চাষি ওমর ফারুক। চারা লাগানোর পর নিবিড় পরিচর্যা ও জৈব প্রযুক্তি (কেঁচোসার) ব্যবহার করে মাত্র তিন বছরের মাথায় গত বছর সামান্য ফলন পান। এবার প্রতিটি গাছে ১০০-১৫০টি ফল ধরেছে তার স্বপ্নের বাগানে। হতাশার আঁধার কাটিয়ে যেন পেয়েছেন আলোর সন্ধান। মূলত জীবননগর উপজেলার মাটি সব ফসলের জন্য সমান উপযোগী হওয়ায় এ চাষে সাফল্য পেতে খুব বেশি বেগ পেতে হয়নি তাকে। তিন বছর আগে তৈরি করা বাগানে এখন থোকায় থোকায় ঝুলছে রসে ভরপুর সুন্দর গাঢ় কমলা রঙের সুমিষ্ট লেবু। বাণিজ্যিকভাবে লাভজনক হওয়ায় চায়না লেবু চাষে এখন আগ্রহী হচ্ছেন অনেকেই।
ওমর ফারুকের চায়না লেবুর বাগানে গিয়ে দেখা যায় ছোট ছোট সবুজ গাছে ঝুলছে থোকায় থোকায় বাহারি লেবু। প্রতিটি গাছে ১০০-১৫০টি করে ফল ধরেছে। তার সাথে রয়েছে ফুল ও ছোট ছোট ফল। এ ফলনে দারুণ খুশি ওমর ফারুক। তার বাগানে উৎপাদিত চায়না লেবু এখন দেশের বিভিন্ন বাজার দখলে সক্রিয় ভূমিকা রাখছে। এ লেবু অন্য যেকোনো লেবুর চেয়ে রসালো, সুস্বাদু ও বেশি মিষ্টি। তার সাফল্য দেখে এখন অনেকে লেবু চাষ শুরু করছেন, বাগানে আসছেন মানসম্মত চারা সংগ্রহের জন্য। ইতোমধ্যে তিনি প্রচুর পরিমাণে চায়না লেবুর কলমও তৈরি করছেন বিক্রির জন্য। নিজস্ব মাতৃগাছ থেকে চারা কলম তৈরি করেন বলে তিনি জাত ও মানের বিষয়ে শতভাগ নিশ্চয়তা দিয়ে থাকেন। চলতি বছরে প্রায় চারবিঘা জমিতে লাগানো চারা সরবরাহ করছেন বলে জানান তিনি। বর্তমানে তার বাগানে প্রায় ১০ হাজার চারা কলম মজুত আছে।
এ প্রসঙ্গে জীবননগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শারমিন আক্তার বলেন, চায়না কমলা চাষি ওমর ফারুক একজন সৎ, কর্মঠ ও সচেতন মানুষ। তিনি রাসায়নিক সারমুক্ত পদ্ধতিতে জৈব সার (ভার্মি কম্পোস্ট) ও জৈব বালাইনাশক ব্যবহার করে চায়না লেবুর চাষ করছেন। কৃষি বিভাগ তাকে সব ধরনের সহযোগিতা দিচ্ছে, যা আগামীতে অব্যাহত থাকবে। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে এ উপজেলায় চায়না লেবু চাষে বিপ্লব ঘটবে বলে আশা করছেন তিনি।


আরো সংবাদ



premium cement