২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

দুই যুগেও এমপিও হয়নি সেনবাগের শ্রীপদ্দী উচ্চবিদ্যালয়

-

প্রয়োজনীয় ভবন রয়েছে। আছে পর্যাপ্ত জায়গা। শিক্ষার্থীরা জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষায় ভালো ফল করছে। এ রকম সব শর্ত পূরণ সত্ত্বেও এমপিওভুক্ত হয়নি নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার শ্রীপদ্দী আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়। প্রতিষ্ঠার ২৪ বছরেও এমপিওভুক্ত না হওয়ায় বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীরা বিক্ষুব্ধ ও হতাশাগ্রস্ত। প্রতিষ্ঠার প্রায় দুই যুগ পার করলেও নোয়াখালীর সেনবাগের দক্ষিণ অঞ্চলের একমাত্র এ স্কুলটি নন এমপিও হিসেবে পড়ে আছে।
জানা যায়, পৌরশহর থেকে প্রায় ১৭ কিলোমিটার দক্ষিণে নবীপুর ইউনিয়নে অবস্থিত শ্রীপদ্দী আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়। ১৯৯৫ সালে এলাকার ১৯ জন শিক্ষানুরাগী মিলে প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৯৭ সালে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত পাঠদান এবং ২০০৩ সালে নবম শ্রেণী পর্যন্ত পাঠদানের অনুমতি লাভ করে। ১৯৯৯ সালে জুনিয়র এমপিওভুক্ত হয়। ২০০৬ সালে মাধ্যমিক স্বীকৃতি লাভ করে। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটিতে ৩৫০ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত। এখানে ব্যবসায় শিক্ষা, মানবিক ও বিজ্ঞান শাখা চালু রয়েছে। প্রতি বছর ভালো ফল করছে শিক্ষার্থীরা। রয়েছে ১৬ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা ও তিনজন কর্মচারী। তার মধ্যে ৪ জন খণ্ডকালীন শিক্ষক। কোলাহলমুক্ত পরিবেশে ১৪৪ শতাংশ জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়। শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে খেলার মাঠ। মাধ্যমিক এমপিওভুক্তির সব শর্ত পূরণ হওয়ার পরেও প্রতিষ্ঠানটি এমপিওভুক্ত না হওয়ায় শিক্ষক-কর্মচারীরা সব ধরনের সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। জানা গেছে, চলতি অর্থবছরে নোয়াখালী-২ আসনের সংসদ সদস্য ও বেঙ্গল গ্রুপের এমডি মোরশেদ আলমের সার্বিক সহযোগিতায় ২ কোটি ৮৮ লাখ টাকা ব্যয়ে বিদ্যালয়ে চার তলাবিশিষ্ট একটি ভবন নির্মাণাধীন রয়েছে।
বিদ্যালয়ের সভাপতি আবদুল ওহাব জানান, স্কুলটি প্রতিষ্ঠার পর থেকেই শিক্ষার্থীদের পাঠদানসহ শিক্ষার গুণগত মান বজায় রেখেছে। শিক্ষার্থীরাও পাবলিক পরীক্ষায় ভালো ফল করছে। কিন্তু হাই এমপিওভুক্ত না হওয়ায় এর শিক্ষক-কর্মচারীরা আর্থিক সঙ্কটে দিন কাটাচ্ছেন। তিনি প্রতিষ্ঠানটি এমপিওভুক্ত করার জন্য এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে সরকারের কাছে জোর দাবি জানান।
প্রধান শিক্ষক শাহজাহান সিরাজ জানান, বিদ্যালয়টি হাই এমপিওভুক্তির জন্য সব শর্ত পূরন করেছে অনেক আগে। বিদ্যালয়টি জুনিয়র স্কুল হিসেবে ১৯৯৯ সালে এমপিওর অনুমোদন এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড কুমিল্লা থেকে ২০০৬ সালে মাধ্যমিক স্কুল হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে। সেই থেকে এ পর্যন্ত আমরা মাধ্যমিক স্কুল হিসেবে বিদ্যালয়টির কার্যক্রম চালিয়ে এলেও সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছি জুনিয়র স্কুল হিসেবে, যা আমাদের জন্য কষ্টের।

 


আরো সংবাদ



premium cement