২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

কুড়িগ্রামে নিলামের অপেক্ষায় ৩০ বছর ধরে নষ্ট হচ্ছে ৭ সরকারি জিপগাড়ি

-

কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরে প্রায় ৩০ বছর ধরে নিলামের অপেক্ষায় খোলা আকাশের নিচে পড়ে আছে সাতটি জিপ গাড়ি। মেরামত অযোগ্য এসব জিপগাড়ির এই দীর্ঘ সময়ে নিলামপ্রক্রিয়া শেষ হয়নি। তাই নিলাম না হওয়ায় ঝোপ-জঙ্গলে পূর্ণ হয়ে এর সব যন্ত্রাংশ পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গেছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, অকেজো গাড়িগুলো খোলা আকাশের নিচে পড়ে থেকে রোদ-বৃষ্টি ঝড়ে নষ্ট হয়ে গেছে। গাড়ির ভেতর ও বাইরের সব লোহালক্কড়ে মরিচা ধরে ক্ষয়ে গেছে। মাটি আর জঙ্গলে পূর্ণ হয়েছে গাড়িগুলো। এখন আর কোনো যন্ত্রাংশই কাজে লাগানো সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে অফিসের কর্মচারীরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮৯-৯০ সালের দিকে কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরে সাতটি জিপগাড়ি মেরামত অযোগ্য হয়ে পড়ে। এসব গাড়ির মধ্যে ল্যান্ড রোভার, ইসুজু ও ভিটারাসহ দামি দামি কোম্পানির গাড়িও ছিল। কিন্তু দীর্ঘ দিনেও চিঠি চালাচালি ছাড়া নিলামের ক্ষেত্রে আর কোনো অগ্রগতি হয়নি।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দফতরে কোনো ফাইলও ছিল না। নিলামের উদ্যোগ নেয়ার পর চলতি বছরের গোড়ার দিকে কুড়িগ্রাম বিআরটিএ অফিস চারটি জিপগাড়ি অকেজো ঘোষণা করে প্রতিবেদন দেয়। এসব গাড়ি প্রান্তিক ও খামার পদ্ধতিতে শস্য নিবিড়করণ প্রকল্পসহ বিভিন্ন প্রকল্প থেকে পাওয়া। যা কর্মকর্তারা ব্যববহার করতেন। বাকি তিনটি গাড়ি বৈদেশিক সংস্থার হওয়ায় স্থানীয় বিআরটিএ অকেজো বা মেরামত অযোগ্য ঘোষণার প্রতিবেদন দিতে অপারগতা প্রকাশ করে। তবে কমিটির মাধ্যমে অকেজো ঘোষণা করা যেতে পারে বলে মতামত দেন। গত ২৯ এপ্রিল কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক রংপুর অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালককে এসব বিষয় জানিয়ে কমিটি গঠনের অনুরোধ জানান। কিন্তু এরপর কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। কমিটি গঠন না হওয়ায় নিলামপ্রক্রিয়া শুরুই করা যায়নি। কারণ কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পর বিআরটিএ মূল্য নির্ধারণ করবে। তারপর শুরু হবে নিলামপ্রক্রিয়া।
দীর্ঘ দিনেও গাড়িগুলো নিলাম না হওয়ার কারণ জানতে চাইলে কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক ড. মোস্তাফিজুর রহমান প্রধান বলেন, আমি যোগদানের পর আমার স্টাফরা ভয় দেখায় যে, কোনো স্যার মাথা ঘামায়নি। আপনি ওদিকে যাবেন না। তা সত্ত্বেও ঢাকায় কথা বলে মোটরযান পরিদর্শককে এনে প্রতিবেদন দেই। এরপর একটি কমিটি গঠনের অনুরোধ জানিয়ে চার মাস আগে ঢাকায় পত্র দেই। কিন্তু প্রতি উত্তর আসেনি। তা ছাড়া ঝামেলা এড়াতে আমরা ঢাকা থেকে নিলাম আহ্বান করার অনুরোধ জানিয়েছি।

 


আরো সংবাদ



premium cement