২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

খোকসা জানিপুর সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সেশন চার্জের নামে অতিরিক্ত অর্থ আদায়

-

কুষ্টিয়ার খোকসা জানিপুর সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এসএসসির টেস্ট পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে সেশন চার্জের নামে অতিরিক্ত ফিস আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগী অভিভাবকরা জানান, খোকসা জনিপুর সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে বিজ্ঞান, বাণিজ্য ও মানবিক শাখা থেকে প্রায় ২০৫ জন শিক্ষার্থীর এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়ার কথা। নিয়মিত এসব শিক্ষার্থী টেস্ট পরীক্ষায় অংশ নেয়া বাধ্যতামূলক। আর এ সুযোগে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মহম্মদ আলী ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে ভুল বুঝিয়ে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সেশন চার্জের নামে ৭৫০ টাকা হারে আদায় করছেন। পরীক্ষার ফিস বাবদ ৫০০ টাকা ও এক সাথে এক বছরের মাসিক বেতন আদায় করা হচ্ছে ১৮০ টাকা। সাথে অলিখিত জরিমানা আদায় রয়েছে। সব মিলিয়ে মানবিক ও বাণিজ্য শাখার পরীক্ষার্থীপ্রতি ১৪৩০ টাকা আদায় করা হচ্ছে। বিজ্ঞান শাখার পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায় করা হচ্ছে ১৮৬০ টাকা। বিদ্যালয়ের বর্তমান প্রধান শিক্ষক যোগদানের পর থেকে অলিখিতভাবে সেশন চার্জ আদায় করা হচ্ছে। তবে গত বছর স্কুলটি জাতীয়করণের পর থেকে সেশনচার্জ শব্দটি বিদ্যালয়ের আদায় রশিদে মুদ্রণ করা হয়েছে। দশম শ্রেণীর এক ছাত্রের অভিভাবক কাজী এনামুল হক ডলার জানান, বিদ্যালয়ের অনিয়মের বিষয়ে সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করা হয়েছে জানলে প্রধান শিক্ষক তার পছন্দের শিক্ষকদের দিয়ে শিক্ষার্থীদের হেনস্তা করাবেন। এই ভয়ে অভিভাবকেরা প্রধান শিক্ষকের অনিয়মের বিষয়ে মুখ খুলতে রাজি হয় না। তবে প্রধান শিক্ষক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ভুলভাল বুঝিয়ে অতিরিক্ত সেশন চার্জসহ নানাভাবে অর্থ আদায় করে আসছেন।
এ ব্যাপারে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক মহম্মদ আলী সাথে কথা বলা হলে তিনি বলেন, সেশন চার্জের বিষয়ে আগেও তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ও তদন্ত হয়েছে। প্রর্কৃত পক্ষে সেশনচার্জ হচ্ছে অনেক জরিমানার অংশ। পূর্ববর্তী সভাপতির করা রেজুলেশন অনুযায়ী তিনি সব ফিস আদায় করছেন। তিনি সাংবাদিকদের রেজুলেশন দেখানোর জন্যও ডাকেন। আর রেজুলেশন বলেই তার সব ফিস আদায় বৈধ বলেও তিনি দাবি করেন। উপজেলার সহকারী মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান জানান, সেশনচার্জ সরকারি নির্ধারিত। তবে উপজেলা পর্যায়ে কত নেয়ার বিধান আছে সে বিষয়ে তিনি পরে জানাবেন। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বিদ্যালয়ের সভাপতি মৌসুমি জেরিন কান্তা বলেন, এ ব্যাপারে তিনি কোনো অভিযোগ পাননি। অভিযোগ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 


আরো সংবাদ



premium cement