ভাণ্ডারিয়ায় এক শিক্ষক দিয়ে চলছে ৬২ শিক্ষার্থীর পাঠদানবিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা
- মামুন হোসেন ভাণ্ডারিয়া (পিরোজপুর)
- ১৮ অক্টোবর ২০১৯, ০০:০০
ভাণ্ডারিয়া উপজেলায় ৬২ জন শিক্ষার্থীর পাঠদান চলছে মাত্র একজন শিক্ষক দিয়ে। ফলে শিক্ষার্থীদের চরমভাবে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। ক্ষোভ প্রকাশ করে অভিভাবক ও সচেতন মহল মানববন্ধন করেছে।
এলাকাবাসী ও অভিভাবকদের অভিযোগ, উপজেলার তেলিখালী ইউনিয়নের জুনিয়া গ্রামের ১৩৬ নম্বর উত্তর জুনিয়া আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রায় এক বছর ধরে মাত্র একজন শিক্ষক দিয়ে চলছে ৬২ জন শিক্ষার্থীর পাঠদান। বিষয়টি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে বারবার অবহতি করেও আজো তেমন কোনো লাভ হয়নি। তবে উপজেলার ৪৪ নম্বর মধ্য বোথলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পুলককে চলতি বছরের আগস্ট মাসের মাঝামাঝির দিকে এই স্কুলে ডেপুটেশনে নিয়োগ দিলেও তিনি নিয়মিত ক্লাস করছেন না বলে অভিযোগ উঠছে।
অপর দিকে এ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তাসলিমা আক্তার পিরোজপুরে বসবাস করায় তিনিও নিয়মিত ক্লাসে আসেন না। মাঝে মধ্যে তার স্বামী শাহ আলমকে পাঠিয়ে তার পরিবর্তে ক্লাস করাচ্ছেন। শিশু শিক্ষার্থীদের সাথে আলাপ কালে জানা যায়, বিদ্যালয়ে যখন কোনো শিক্ষক না আসে তখন তারা অলস সময় পার করেন। অনেকই স্কুলে এসে খেলাধুলা করে। একাধিক অভিভাবক কাছ থেকে জানা যায়, নিয়মিত ক্লাস না হওয়ায় ছেলেমেয়েদের মাঝে স্কুলে যেতে অনিহা দেখা দিয়েছে। এসব অবহেলার কারণে ঝরে যেতে পারে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা।
এদিকে শিক্ষকের দাবিতে গত বৃহস্পতিবার ‘শিক্ষক নাই, শিক্ষক চাই’ সেøাগানসংবলিত প্লেকার্ড হাতে নিয়ে বিদ্যালয়ের আঙ্গিনায় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে।
এ ব্যাপারে বুধবার ওই বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তাসলিমা আক্তারের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ভালোভাবেই পাঠদান হচ্ছে। নাম না প্রকাশের শর্তে ওই স্কুলের সংশ্লিষ্ট এক ব্যক্তি বলেন, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তাসলিমা আক্তার নিয়মিত আসত না, তার স্বামী মাঝে মধ্যে ক্লাস নিত। তবে এখন কানে পানি গেছে হয়তো নিয়মিত হচ্ছে।
ভাণ্ডারিয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো: জালাল উদ্দিন বলেন, ১৩৬ নং বিদ্যালয়ের শিক্ষক স্বল্পতার ব্যাপারটি গুরুত্বসহকারে দেখা হচ্ছে। তিনি ওই স্কুলটি ইতোমধ্যে পরিদর্শন করেছেন। তবে অভিযোগ পেলে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিব। একই প্রসঙ্গে পিরোজপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জেছের আলী জানান, এ বিদ্যালয়ের অনিয়মের বিষয়গুলো জানি না। খবর নিয়ে দেখা হবে এবং যত দ্রুত সম্ভব শিক্ষক স্বল্পতা পূরণ ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা