১০ বছর ধরে শিকলবন্দী আমিরকে উদ্ধার করলেন ইউএনও
- গুরুদাসপুর (নাটোর) সংবাদদাতা
- ১৮ অক্টোবর ২০১৯, ০০:০০
নাটোরের গুরুদাসপুরে আমির আলী সুপার মার্কেটের মালিক আমির আলীকে ১০ বছর ধরে কোনো চিকিৎসা ছাড়াই টয়লেটের পাশে নোংরা ঘরে শিকলবন্দী রেখেছিল তার স্ত্রী ও তিন সন্তান। উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের চন্দ্রপুর গ্রামের বাসিন্দা তিনি। অনেক সম্পদ থাকা সত্ত্বেও শুধু মানসিক ভারসাম্যহীন বলে আমিরকে তার বাড়িতেই শিকলবন্দী রাখা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন ভাগনে আবদুর রহিম।
আমিরের স্ত্রী মনোয়ারা ও ছেলে মঞ্জু জানান, তাকে ১৪ বছর আগে পাবনার মানসিক হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়। কিন্তু কোনো উন্নতি হয়নি। তাই তাকে শিকলবন্দী রাখা হয়। তার পর আর চিকিৎসা করানো হয়নি।
অস্বাস্থ্যকর সেই কুঁড়েঘরে ঘরে বৃষ্টি হলেই হাঁটুপানি জমে। শুধু তা-ই নয়, তার ঘুমানোর জায়গার পাশে টয়লেট স্থাপন করা। টয়লেটের কাজ সারতেন যে পাত্রে, সেই পাত্রেই পানি পান করতেন তিনি। ভাঙা কুঁড়েঘরে টয়লেট, গোসল, খাবারসহ পোকামাকড়ের কামড় খেয়ে ১০ বছর কাটিয়েছেন তিনি। অবশেষে গত বুধবার মধ্য রাতে ইউএনও তমাল হোসেন ঘটনাস্থলে গিয়ে আমিরকে (৬০) শিকলমুক্ত করেন এবং তার বাড়িতেই একটি ভালো ঘরে থাকার ব্যবস্থা করেন।
ইউএনও জানান, আমিরকে নোংরা ঘরে বন্দী রাখার জন্য ভুল শিকার করেছেন স্ত্রী-সন্তানেরা। পরবর্তীতে আমির আলীর ওপর অমানবিক আচরণ করলে পরিবারের দোষী সদস্যদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা