১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ফরিদপুরে কৃষি জমিতে ইটভাটা ধোঁয়ায়-ধুলায় পরিবেশ দূষিত

ফরিদপুর শহর ঘেঁষে সিঅ্যান্ডবি ঘাট এলাকায় কৃষিজমিতে নির্মাণাধীন একটি ইটভাটা : নয়া দিগন্ত -

ফরিদপুর শহর ঘেঁষে বিভিন্ন গ্রাম এলাকায় কৃষি জমিতে গড়ে উঠছে একের পর এক ইটভাটা। পদ্মা নদী থেকে সারা বছর ধরে অবৈধভাবে তোলা বালু ও কৃষি জমির টপ সয়েলের সহজলভ্যতার কারণে এরই মধ্যে শহরসংলগ্ন ডিক্রিরচর ইউনিয়নের সিঅ্যান্ডবি ঘাট এলাকায় গড়ে উঠেছে এক ডজনেরও বেশি ইটভাটা। এর মধ্যে একেবারেই গ্রামীণ এলাকা আইজদ্দিন মাতুব্বরের ডাঙ্গিতে মাত্র ২০০ গজের মধ্যে গড়ে উঠেছে তিনটি ভাটা।
এভাবে কৃষি জমি ধ্বংস করে একের পর এক ইটভাটা গড়ে ওঠায় কমে যাচ্ছে ফসলি জমি। গ্রামীণ সড়কে দিনরাত চলছে এসব ভাটার ইট, বালু ও খড়ির ট্রাক। সেই সাথে নিরিবিলি গ্রামীণ এলাকা বাইরে থেকে আসা শ্রমিকদের কারণে ঘনবসতিপূর্ণ ঘিঞ্জি এলাকায় পরিণত হচ্ছে। সেখানে বসবাসরতদের জন্য শিক্ষা ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে না। ইটভাটার চিমনির ধোঁয়ায় শ্বাসকষ্টসহ নানা ধরনের রোগ-বালাই ছড়াচ্ছে। ফলে ধোঁয়া ও ধুলার দূষণে বিষাক্ত হয়ে উঠছে পরিবেশ।
সরেজমিন দেখা গেছে, আইজদ্দিন মাতুব্বরের ডাঙ্গিতে কৃষি জমি ধ্বংস করে পাশাপাশি তিনটি ইটের ভাটা গড়ে উঠেছে। চাঁন মিয়া ও লিয়াকত মাতুব্বরের দুটো পুরনো ভাটার পাশাপাশি আরশাদ ব্যাপারীর মালিকানাধীন এবিবি ব্রিক নামে নতুন আরো একটি ইটের ভাটা স্থাপন করা হয়েছে।
আইজদ্দিন মাতুব্বরের ডাঙ্গির স্থানীয় বাসিন্দা নিরু ফকির অভিযোগ করেন, অনৈতিক পন্থা অবলম্বন করে এসব ভাটা স্থাপনের জন্য পরিবেশের ছাড়পত্র নেয়া হয়েছে। ইটভাটার ধুলোবালি ও বিষাক্ত ধোঁয়ায় এলাকার পরিবেশ বসবাসের অনুপযুক্ত হয়ে পড়ছে। অথচ কৃষি জমিতে এভাবে ইটভাটা করার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
সিদ্দিক মিয়া নামের আরেক গ্রামবাসী বলেন, এসব ইটভাটায় কাজ করার জন্য বাইরের বিভিন্ন জেলা থেকে শ্রমিকরা এসেছেন। তারা ভাটায় ক্লাবঘর করেছেন। সেখানে অনেক অনৈতিক কাজের অভিযোগ রয়েছে। এরই মধ্যে যশোরের এক শ্রমিকের বিরুদ্ধে এ ধরনের একটি অভিযোগ নিয়ে এলাকায় বেশ তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। এসব কারণে এলাকায় সামাজিক অবক্ষয় ঘটছে। আমরা খুব বিপদে আছি।
শেখ শাহেদ আলী নামে এক গ্রামবাসী বলেন, এই এলাকার তিনটি ইটভাটায় প্রচুর ট্রাক আসা-যাওয়া করে। এসব ট্রাকের ধুলোবালিতে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। সড়কগুলো নষ্ট হচ্ছে। ভাটার কালো ধোঁয়ায় গাছপালা বিবর্ণ হয়ে যাচ্ছে। পরিবেশ অধিদফতর সরেজমিন যাচাই করলে কোনোক্রমেই কৃষি জমিতে এসব ভাটা করার অনুমতি দিতে পারত না। তাদের দাবি, অতিদ্রুত এসব ইটভাটা অপসারণ করা হোক।
এ ব্যাপারে এবিবি ভাটার মালিক আরশাদ ব্যাপারী বলেন, আমাদের দুই পাশে দু’টি ভাটা থাকায় আমার জমিতে ফসল হচ্ছিল না। এলাকার লোকেরা সেখানে গরু ছাগল চড়াত। এ কারণে আমিও নিরুপায় হয়ে সবখান থেকে অনুমতি নিয়েই এই ইটভাটা দিয়েছি।
পরিবেশ অধিদফতরের ফরিদপুর জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক ড. লুৎফর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, কৃষি জমি ও জনবসতিপূর্ণ জমিতে ইটভাটার জন্য সাধারণত ছাড়পত্র দেয়ার নিয়ম নেই। তবে অনেক ক্ষেত্রে নিজ নিজ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার অনুমতি সাপেক্ষে কিছু ছাড়পত্র দেয়া হয়ে থাকে। তবে বাস্তবে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কোনো ইটভাটাকে অনুমতি দেয়ার অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরো সংবাদ



premium cement
কারাগারে নারী হাজতিকে হাত-পা বেঁধে নির্যাতন, প্রধান কারারক্ষীসহ ৩ জনের বদলি প্যারিসে ইরানি কনস্যুলেটে ঢুকে আত্মঘাতী হামলার হুমকিদাতা গ্রেফতার প্রেম যমুনার ঘাটে বেড়াতে যেয়ে গণধর্ষণের শিকার, গ্রেফতার ৫ ‘ব্যাংকিং খাতের লুটপাটের সাথে সরকারের এমপি-মন্ত্রী-সুবিধাবাদী আমলারা জড়িত’ ইরানের সাথে ‘উঁচু দরের জুয়া খেলছে’ ইসরাইল! অসুস্থ নেতাকর্মীদের পাশে সালাম-মজনু গলাচিপায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে শিশুর মৃত্যু মসজিদের ভেতর থেকে খাদেমের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার মোরেলগঞ্জে সৎভাইকে কুপিয়ে হত্যা দুবাই পানিতে তলিয়ে যাওয়ার কারণ কি কৃত্রিম বৃষ্টি ঝরানো? এ দেশের ঘরে ঘরে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছে দিতে হবে : ডাঃ শফিকুর রহমান

সকল