২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

আশুগঞ্জ থেকে ৬ জেলায় সার সরবরাহ বন্ধ

বিশ টন পরিবহণে বাধ্য করার প্রতিবাদ
-

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ সারকারখানা থেকে ছয় জেলায় সার সরবরাহ দ্বিতীয় দফায় দুই দিন ধরে বন্ধ রেখেছেন উপজেলায় কর্মরত ট্রাক শ্রমিকেরা। সারা দেশে ট্রাক চালকেরা মহাসড়কে ১৩ টন সার বহন করতে পারলেও আশুগঞ্জ থেকে বিভিন্ন স্থানে যাওয়া ট্রাকগুলোকে ১৫ থেকে ২০ টন সার নিতে বাধ্য করেন সার ব্যবসায়ীরা। এতে করে বিভিন্ন জায়গায় সড়কে পুলিশকে ম্যানেজ করে চলাচল করতে হয় ট্রাক শ্রমিকদের। তাই বাধ্য হয়ে আশুগঞ্জ সারকারখানা থেকে সার নেয়া বন্ধ করেছে ট্রাক চালক ও শ্রমিকেরা। প্রশাসন থেকে কয়েক দফা সমাধানের চেষ্টা করা হলেও বিষয়টি নিয়ে সুরাহা হচ্ছে না। ফলে মওসুমের শুরুতেই সময় মতো সার না পাওয়ার কারণে সংশ্লিষ্ট জেলার চাষাবাদে বিঘœ ঘটার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সরেজমিন জানা যায়, ট্রাকে করে আশুগঞ্জ সারকারখানা থেকে দেশের বিভিন্ন জেলায় সার পরিবহন করা হয়। প্রতিটি ট্রাকের বডির ওজন বাদ দিয়ে ১৩ টন সার পরিবহন করা যায় মহাসড়কে। সরকার নির্ধারিত ১৩ টন সার পরিবহনকে তোয়াক্কা না করে সার ব্যবসায়ীরা তাদের মনগড়া মতো সার বহন করতে বাধ্য করছে ট্রাক শ্রমিকদের। এতে করে মহাসড়কে পুলিশকে ম্যানেজ করে চলাচল করতে হয় তাদের। অন্য দিকে আশুগঞ্জ সারকারখানা থেকে ফেরিঘাট প্রায় দুই কিলোমিটার হলেও আগে থেকে এখানে ভাড়া ছিল ১৯ শ’ টাকা। এই জায়গায়ও ট্রাক শ্রমিকেরা ১৩ টন সারের বেশি নিতে রাজি হচ্ছে না। এই কারণে সার ব্যবসায়ীরা লোকাল ট্রাকের সিরিয়াল বাদ দিয়ে নিজেদের ট্রাক ব্যবহার করে সার পরিবহন করতে চায়। এতে করে এলাকার তিন শতাধিক ট্রাক অলস সময় পার করার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। শ্রমিকদের দাবিÑ সরকার নির্ধারিত সারের বেশি তারা নেবেন না। তাই সার লোড দিচ্ছে না সার ব্যবসায়ীরা। এ নিয়ে জটিলতার সৃষ্টি হলে প্রথম দফায় শনিবার ও রোববার সার পরিবহন বন্ধ থাকে। পরে বিষয়টি সুরাহা করার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারের উদ্যোগে কয়েকবার আলোচনায় বসলেও আবারো বুধবার থেকে সার সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
ট্রাক শ্রমিক ও চালক মো: মাহালম মিয়া জানান, সরকারিভাবে ট্রাকে করে ১৩ টনের বেশি সার পরিবহন না করার জন্য বলা হলেও সার ব্যবসায়ীরা জোর করে বেশি সার পরিবহনের জন্য চাপ দেয়। এতে করে বিভিন্ন স্থানে সার সরবরাহ করার সময় ট্রাক শ্রমিকেরা আর্থিক জরিমানাসহ ওভারলোডের মামলায় পড়েন, যার কারণে শ্রমিকেরা সরকার নির্ধারিত সারের বেশি নিতে রাজি হচ্ছে না। তাই এ নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। আশুগঞ্জ ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো: ইদন মিয়া মিন্টু জানান, শ্রমিকদের ন্যায্য দাবির সাথে আমরা একমত। তবে সার ব্যবসায়ীদের সাথে আমাদের আলোচনা হচ্ছে; আশা করা যায় বিষয়টি অচিরেই সুরাহা হবে।
জেলা সার সমিতির সভাপতি মো: জালাল মিয়া জানান, বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে সবাইকে নিয়ে কথা হয়েছে। সেই মোতাবেক আমরা সার পরিবহনের জন্য অনুরোধ করেছি। বিষয়টি নিয়ে ঝামেলা হলে আবারো বসে সমাধান করা হবে।
এই বিষয়ে আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: নাজিমুল হায়দার জানান, সারকারখানার আশপাশে কোনো ধরনের সিন্ডিকেট থাকতে পারবে না। পাশাপাশি কেউ সার সরবরাহে কোনো বিঘœ ঘটাতে পারবে না। বিষয়গুলো নিয়ে সার ব্যবসায়ী ও ট্রাক শ্রমিকদের সাথে আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। বর্তমানে সার পরিবহন শুরু হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement
ড. ইউনূসের ইউনেস্কো পুরস্কার নিয়ে যা বললেন তার আইনজীবী একনেকে ৮৪২৫ কোটি টাকার ১১ প্রকল্প অনুমোদন সান্তাহারে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে যুবক নিহত জলবায়ু সহনশীল মৎস্যচাষ প্রযুক্তি উদ্ভাবনে পদক্ষেপ নেয়া হবে : আব্দুর রহমান যুক্তরাষ্ট্রের সেতু ভাঙ্গার প্রভাব পড়বে বিশ্বজুড়ে! নাশকতার মামলায় চুয়াডাঙ্গা বিএনপি-জামায়াতের ৪৭ নেতাকর্মী কারাগারে হারল্যানের পণ্য কিনে লাখপতি হলেন ফাহিম-উর্বানা দম্পতি যাদের ফিতরা দেয়া যায় না ১৭ দিনের ছুটি পাচ্ছে জবি শিক্ষার্থীরা বেলাবতে অটোরিকশা উল্টে কাঠমিস্ত্রি নিহত রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে জাতিসঙ্ঘের প্রতিবেদন

সকল