২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

শিবগঞ্জে ৮ লাখ মানুষের জন্য ৪ ডাক্তার

-

শিবগঞ্জ উপজেলার আট লাখ মানুষের জন্য চারজন ডাক্তার দিয়ে চলছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। প্রতিদিন হাজারো দুস্থ মানুষ আধুনিক চিকিৎসার জন্য ছুটে যায় হাসপাতালে। কর্মরত ডাক্তাররা রোগীদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন। অনেক রোগী হয়রানি ও চিকিৎসাবঞ্চিত হচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স অফিস সূত্রে জানা গেছে এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২১টি বিভিন্ন পদের মধ্যে কর্মরত আছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তা, ভারপ্রাপ্ত আরএমও একজন, মেডিক্যাল অফিসার দু’জন, জুনিয়র কনসালট্যান্ট পাঁচজন, প্যাথলজিস্ট একজন, সহকারী সার্জন হোমিওপ্যাথিক দু’জন ও আইএমও একজন।
এ ছাড়া জুনিয়র কনসালট্যান্ট মেডিসিন একজন, জুনিয়র কনসালট্যান্ট (অ্যানেস) একজন, জুনিয়র কনসালট্যান্ট (চক্ষু) একজন, সহকারী সার্জন হোমিওপ্যাথিক চারজন, অ্যাসেন্স একজন, ইএমও একজন পদ দীর্ঘ দিন ধরে শূন্য রয়েছে।
এ ছাড়াও ১৩টি স্বাস্থ্য উপকেন্দ্র ও একটি ইউএসসিতে মেডিক্যাল অফিসার ছয়টি ও সহকারী সার্জন আটটি পদ শূন্য রয়েছে। শিবগঞ্জ উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার রোগী তো আছেই এ ছাড়া পাশে গোমস্তাপুর ভোলাহাট উপজেলার অনেক রোগীকে শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাসেবা দিতে হচ্ছে। এখানে ডাক্তারে সংখ্যা কম হওয়ায় কর্মরত ডাক্তারদের ৬ ঘণ্টার স্থলে ১০-১১ ঘণ্টা রোগী দেখতে হয়। শুধু আউটডোরে চিকিৎসার জন্য প্রায় এক হাজার রোগী চিকিৎসার জন্য আসে। অনেক জটিল রোগীকে চিকিৎসার জন্য নবাবগঞ্জ সদর হাসপাতালে রেফাড করতে হয়। শিবগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ শুধু জনবল সঙ্কট নয়, আছে স্থানীয়দের প্রভাব, সন্ধ্যার পর মাদকাসক্ত ও বখাটেদের উৎপাত, ডিজিটাল এক্সরে মেশিন, অ্যাম্বুলেন্স, আল্টাসনোগ্রাফি মেশিন, আবাসিক এলাকায় বাউন্ডারি ওয়াল না থাকার, আউটডোরে প্রয়োজনীয় ওষুধ বিতরণ করতে না পারা, উপজেলা জনসংখ্যার তুলনায় বেড না থাকায় ও মিলনায়তন না থাকাসহ রয়েছে হাজারো সমস্যা।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপঃ অফিসার, ভারপ্রাপ্ত আরএমও মো: আকতার হোসেন জানান আমারা প্রতি মাসে জনবল সঙ্কটসহ নানা সমস্যার কথা জানিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আর্কষণ করেছি। হাসপাতালের সমস্যাগুলো দ্রুত সমাধানের ব্যাপারে আমরা আশাবাদী।


আরো সংবাদ



premium cement