২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

মিঠাপুকুরে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে সংস্কারকাজে অনিয়ম

-

রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মেরামত, সংস্কারকাজ, রুটিন মেইনটেন্যান্স (দ্বিতীয় ধাপে) ও স্কুল লেভেল ইমপ্রুভমেন্ট প্ল্যান (স্লিপ) প্রকল্পের কাজ নিয়ে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। বিশেষ করে মেরামত-সংস্কারকাজ রুটিন মেইনটেন্যান্স (দ্বিতীয় ধাপে) ও স্কুল লেভেল ইমপ্রুভমেন্ট প্ল্যান (স্লিপ) প্রকল্পগুলোতে এমন অনিয়ম -দুর্নীতিসহ জোড়াতালি ও ফাঁকিবাজি চলছে বেশি।
জানা যায়, প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষা অধিদফতরের আওতায় ২০১৮-১৯ অর্থবছরে মেরামত-সংস্কারকাজে ২৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিপরীতে ৯০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। বরাদ্দের টাকা উত্তোলনে প্রত্যয়ন নিতে উৎকোচ দিতে হয় উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার ও উপজেলা সহকারী প্রকৌশলীদের। এমনকি কোমরপুর, তরফবাহাদী, চকগোপাল, নানকর, রসুলপুর, ইসলামপুর, আবিরেরপাড়া, লাটকৃষ্ণপুর, ইমাদপুর, রহমতপুর ও আস্করপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ অন্য বিদ্যালয়গুলোতে নামমাত্র কাজ করে শুধু কাগজে-কলমে ব্যয় দেখিয়ে এসব টাকা উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার, উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী ও প্রধান শিক্ষকেরা ভাগাভাগি করে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
অপর দিকে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, স্কুল লেভেল ইমপ্রুভমেন্ট প্লø্যান (স্লিপ) প্রকল্পের আওতায় ৭১টি বিদ্যালয়ের বিপরীতে ২৫ লাখ ৫৬ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। অন্য দিকে একই অর্থবছরে পিডিইপি-৪ প্রকল্পের আর্থায়নে রুটিন মেইনটেন্যান্স (দ্বিতীয় ধাপে) উপজেলার ৫০টি বিদ্যালয়ের বিপরীতে এক লাখ ৮০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। ওই সব বিদ্যালয়গুলোতে স্লিপ ও রুটিন মেইনটেন্যান্স ব্যয়ে গত বছরের ক্রয়কৃত শিক্ষা উপকরণ ও মালামাল ক্রয়ের ভাউচার দেখতে চাইলে কোনো প্রধান শিক্ষকই তা দেখাতে পারেননি। তবে গত ৩০ জুনের মধ্যে বিল-ভাউচার দিয়ে সব টাকা তুলে নেয়া হলেও বেশির ভাগ বিদ্যালয়ে কোনো কাজই চোখে পড়েনি।
অভিযোগ উঠেছে উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি, উপজেলা শিক্ষা কমিটির সদস্যরা বরাদ্দকৃত অর্থ নামমাত্র কাজ করে ভাগবাটোয়ারা করে আত্মসাৎ করেছেন। এমন অভিযোগ করেন স্থানীয়রা। উপজেলা শিক্ষা কমিটির নির্দেশনা মোতাবেক এলজিইডি প্রাক্কলন তৈরি করে ১৭ জুনের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা। ৫০ শতাংশ কাজ করার পর সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির রেজুলেশনসহ বিল-ভাউচার করে সংশ্লিষ্ট অফিসে জমা দেয়ার নির্দেশ আছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসার আনোয়ারুল ইসলামের সাথে কথা বললে তিনি উৎকোচ নেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন। তার মতে যেসব বিদ্যালয়ে মেরামত-সংস্কারকাজের টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে সেগুলো বিদ্যালয় পরিদর্শন করে ঠিকমতো কাজগুলো সম্পন্ন করা হবে।

 


আরো সংবাদ



premium cement
ড. ইউনূসের ইউনেস্কো পুরস্কার নিয়ে যা বললেন তার আইনজীবী একনেকে ৮৪২৫ কোটি টাকার ১১ প্রকল্প অনুমোদন সান্তাহারে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে যুবক নিহত জলবায়ু সহনশীল মৎস্যচাষ প্রযুক্তি উদ্ভাবনে পদক্ষেপ নেয়া হবে : আব্দুর রহমান যুক্তরাষ্ট্রের সেতু ভাঙ্গার প্রভাব পড়বে বিশ্বজুড়ে! নাশকতার মামলায় চুয়াডাঙ্গা বিএনপি-জামায়াতের ৪৭ নেতাকর্মী কারাগারে হারল্যানের পণ্য কিনে লাখপতি হলেন ফাহিম-উর্বানা দম্পতি যাদের ফিতরা দেয়া যায় না ১৭ দিনের ছুটি পাচ্ছে জবি শিক্ষার্থীরা বেলাবতে অটোরিকশা উল্টে কাঠমিস্ত্রি নিহত রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে জাতিসঙ্ঘের প্রতিবেদন

সকল