ধামইরহাটের সোনাদীঘিতে মৎস্যশিকারিদের মিলনমেলা
- ধামইরহাট (নওগাঁ) সংবাদদাতা
- ২৫ আগস্ট ২০১৯, ০০:০০
কয়েক জেলার মৎস্যশিকারিদের মিলনমেলায় পরিণত হয় নওগাঁর ধামইরহাটের আলমপুর ইউনিয়নের অন্তর্গত সোনাদীঘিতে। গত বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত মৎস্যশিকারিদের মধ্যে টিকিটের মাধ্যমে মৎস্যশিকারের ব্যবস্থা করা হয়। দীঘিতে মোট ৫২টি টিকিট বিক্রি করা হয়। প্রত্যেক টিকিটে ঘাটে মোট পাঁচটি ছিপ বসানোর ব্যবস্থা ছিল। প্রতিটি টিকিটের মূল্য নেয়া হয়েছে ২১ হাজার টাকা।
বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে শুরু হয়ে শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত মাছ শিকার করা হয়। ঢাকা, বগুড়া, দিনাজপুর, নওগাঁ, জয়পুরহাট ও আশপাশের এলাকা থেকে মৎস্যশিকারিরা আসেন। অনেকে বড় বড় মাছ ধরার আশায় এলেও চাহিদা মতো মাছ না পেয়ে হতাশা ব্যক্ত করেন।
৩৯ নম্বর ঘাটের বগুড়ার মাদুরতলার মুক্তার হোসেন বলেন, ইতোমধ্যে তার ৩৬ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। কিন্তু মাছ পাওয়া গেছে মাত্র ছয়-সাত কেজি। ৩১ নম্বর ঘাটের নওগাঁর আলুপট্টির সজীব হোসেন বলেন, মৎস্য শিকার করতে তার দলের প্রায় ৪২ হাজার টাকা খরচ হলেও মাছ পাওয়া গেছে ১৫ কেজি। ৩০ নং ঘাটের জয়পুরহাটের ইদ্রিস আলী বলেন, হাঙ্গেরী, রুই, ম্রিগেল ও কালবাউস মিলে তার দল ১৭ কেজি মাছ ধরেছে। অন্যদিকে ৫২ নং ঘাটের বগুড়ার কাটনার পাড়ার রাসেল চৌধুরী বলেন, আমার দল প্রচুর মাছ ধরেছে। তবে মাছের ওজন দুই থেকে আড়াই কেজির ওপর নয়। বেশির ভাগ মাছ রুই, হাঙ্গেরী ও মাঝে মধ্যে কাতলা পাওয়া গেছে। দীঘির পশ্চিম ও দক্ষিণ পাশেও মাছ কম ধরা পড়েছে। পূর্ব ও উত্তর পাশে তুলনামূলক বেশি মাছ ধরা পড়েছে।
ধামইরহাট বনবিট কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান ও সাবেক বনবিট কর্মকর্তা লক্ষণ চন্দ্র ভৌমিক বলেন, দীঘি অবৈধ দখলমুক্ত করে সংস্কার করা হয়েছে। দীঘিটি এক বছরের জন্য আলমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান প্রায় ১১ লাখ টাকায় লিজ দেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে দীঘির লিজ গ্রহিতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে ফজলুর রহমান বলেন, প্রচুর পরিমাণে বড় মাছ থাকলেও বৃষ্টির কারণে মাছ কম ধরা পড়ছে। তাছাড়া দুই থেকে চার কেজি ওজনের মাছ প্রচুর পরিমাণে ধরা পড়ছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা