২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫
`

পুঠিয়া পৌরসভার ঠিকানা হয়নি ১৮ বছরেও

পুঠিয়া পৌরসভা ভবন : নয়া দিগন্ত -

রাজশাহীর পুঠিয়ায় একমাত্র পৌরসভা গঠনের পর দীর্ঘ দিন আইনি জটিলতা কাটিয়ে জনপ্রতিনিধি দায়িত্ব পেলেও নিজেস্ব কোনো স্থায়ী ঠিকানা হয়নি এ পৌরসভার। তাই পৌরসভা প্রতিষ্ঠার পর থেকে গত ১৮ বছর ধরে বিভিন্ন স্থানে ভাড়া বাসায় তাদের দাফতরিক কার্যক্রম চালাচ্ছেন। খাতা-কলমে পৌরসভাটি তৃতীয় থেকে দ্বিতীয় শ্রেণীতে উন্নতি করা হলেও সঠিক সেবার মান পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ পৌরবাসীর।
জানা গেছে, গত ২০০১ সালে পুঠিয়া সদর ও জিউপাড়া ইউনিয়নের অংশবিশেষ নিয়ে একমাত্র পৌরসভাটি গঠন করা হয়। সে সময় পৌরসভা বাতিল করতে আদালতে একটি রিট মামলা দায়ের করার কারণে দীর্ঘ প্রায় ১৪ বছর নির্বাচন বন্ধ থাকে। এরপর নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি দায়িত্ব নেয়ার পর গত ২০১৬ সালে সেপ্টেম্বর মাসে পৌরসভাকে ‘ঘ’ থেকে ‘খ’ শ্রেণীতে উন্নতিকরণ করার ঘোষণা দেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। কিন্তু পৌরসভা প্রতিষ্ঠার পর সে সময় মন্ত্রণালয় পৌরসভা ভবন করা বাবদ প্রায় ৭৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেন। অর্থ থাকা সত্ত্বেও জমি সঙ্কটের কারণ দেখিয়ে দীর্ঘ প্রায় ১৮ বছর পেরিয়ে গেলেও নিজস্ব পৌর ভবন এখনো প্রতিষ্ঠিত হয়নি; যার ফলে যাযাবরের মতো বিভিন্ন স্থানে ভাড়া ঘরে চলছে পৌরসভার কার্যক্রম।
এলাকাবাসী সায়েদুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘ ১৮ বছর হয়ে গেছে পৌরসভা গঠনের। আমরা নিয়মিত কর দিয়ে আসছি কিন্তু পৌরসভা আমাদের কী দিয়েছেন? একটা জন্ম-মৃত্যুর সনদপত্র তুলতেও টাকা দিতে হয়। নেই পর্যাপ্ত গণশৌচাগার, আধুনিক মানের খেলার মাঠ ও উন্মুক্ত উদ্যোন। জরাজীর্ণ রাস্তাঘাটগুলো সংস্কারের কোনো আগ্রগতি নেই। আমাদের এলাকায় কয়েকটি সড়ক বাতি লাগানো হলেও এর বিদ্যুৎ বিল আমাদের দিতে হয়। মশার ওষুধ ছিটানো তো দূরের কথা, কাউকে কুকুরে কামড় দিলে বরাদ্দকৃত জলাতঙ্কের ওষুধ পর্যন্ত পৌরসভায় পাওয়া যায় না।
পৌরবাসীরা বলেন, শুনেছি পৌরসভাটি নাকি ‘ঘ’ শ্রেণী থেকে ‘খ’ শ্রেণীতে উন্নতিকরণ করা হয়েছে। এই উন্নতির ফলে বাড়িঘরসহ বিভিন্ন ট্রেড লাইসেন্সের কর বৃদ্ধি করা হয়েছে কয়েক গুণ। কিন্তু টাকা ছাড়া তো আমরা কোনো সেবা পাই না। পুরো পৌর এলাকায় পানি নিষ্কাশনের ডেনেজ না থাকায় ব্যাপক জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। রাস্তার পাশে ঝোপঝাড় ও অপরিষ্কার থাকে সব সময়। পৌরসভা প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রতি বছর মশা নিধনের বরাদ্দ থাকলেও কোনো দিনই সে সুবিধা পাননি পৌরবাসী। মাঝে মধ্যে সদরে কিছু অংশ নামমাত্র পরিষ্কার করলেও ওই দিনই আগের অবস্থায় তা ফিরে আসে। কোথাও পৌরসভার দৃশ্যমান কার্যক্রম নেই।
এ ব্যাপারে পৌর মেয়র রবিউল ইসলাম রবি বলেন, পৌরসভা প্রতিষ্ঠা হয়েছে দীর্ঘ দিন হলো। তবে প্রায় ১৪ বছর প্রশাসক নামমাত্র কার্যক্রম চালিয়েছেন।
নির্বাচনের পর আমরা নাগরিক সেবার দায়িত্ব নিয়েছি। আর পৌরসভা ভবন তৈরি করতে কয়েকটি স্থান চিহ্নিত করা হয়েছে। আমরা সেগুলো মন্ত্রণালয় পাঠিয়েছি। ভাড়া ঘরে পৌরসভার অনেক ব্যয় বহন করতে হয়। তা ছাড়া পৌরসভায় এলাকায় অনেক সমস্যা রয়েছে। কিন্তু এত সমস্যা একদিনে সমাধান করা সম্ভব নয়। আমরা এলাকার গুরুত্বপূর্ণ সমস্যাগুলো চিহ্নিত করেছি। তবে যা বরাদ্দ আমরা পাই তা চাহিদার তুলনায় খুবই সামান্য। তবে আস্তে আস্তে সব সমস্যার সমাধান করা হবে বলে জানান তিনি।

 


আরো সংবাদ



premium cement
ইউপি চেয়ারম্যানরা পদে থেকেই উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন খুলনায় ইসতিসকার নামাজ আদায় ইথিওপিয়ার উত্তরাঞ্চলে সংঘর্ষে ৫০ হাজারের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত শিশুদের বিকাশে অটিজম অভিভাবকদের সচেতনতা ফরিদপুরে মন্দিরে আগুন : দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় বিএনপির তদন্ত কমিটি নেতাদের মুক্তির দাবিতে রিজভীর নেতৃত্বে নয়াপল্টনে বিএনপির মিছিল বৃষ্টির জন্য দেশবাসীর প্রতি ইস্তিস্কার নামাজ আদায়ের আহ্বান আমিরে জামায়াতের সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পে চুক্তি স্বাক্ষর করল তুর্কি, ইরাক, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত ঢাকায় ‘হিট স্ট্রোকে এক ব্যক্তির মৃত্যু শ্যামবাজার ঘাটে লঞ্চে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৪ ইউনিট ‘আমার শিশু মেয়েটির যে সর্বনাশ সে করেছে’

সকল