২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বালিয়াকান্দিতে অচল সড়ক খোয়া ও বালু ফেলে সচলের উদ্যোগ

-

রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে সড়কে বড় বড় গর্ত, খানাখন্দ হওয়ায় অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। ফলে উপজেলা সদরে যাতায়াতকারীদের হাঁটার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। প্রতিদিনই জনসাধারণকে কোনো না কোনো দুর্ঘটনার স্বীকার হতে হচ্ছে। অচল সড়কটি সাময়িকভাবে সচলের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে উপজেলা পরিষদ। বড় বড় গর্তে ইটের খোয়া ও বালু ফেলে ভরাট করা হচ্ছে। স্থানীয় জনসাধারণের প্রশ্ন আর কত বছর লাগবে এই সড়কটির দৃশ্যমান উন্নয়ন ঘটতে?
গত বৃহস্পতিবার দুপুরে সরেজমিন দেখা যায়, বালিয়াকান্দি হাসপাতাল থেকে চৌরাস্তা হয়ে বাজারের মধ্য দিয়ে যাওয়া সোনাপুর সড়কটির অবস্থা ভালো। তবে বালিয়াকান্দি স্টেডিয়াম মাঠ থেকে সাধু মোল্যার মোড়, সাধু মোল্যার মোড় থেকে ওয়াপদা মোড়, ওয়াপদা মোড় থেকে তালপট্টি, বালিয়াকান্দি চৌরাস্তা থেকে ঘিকমলা প্রায় ১৩ কিলোমিটার বেশির ভাগ জায়গাতে ভাঙাচোরা খানাখন্দে ডোবার মতো অবস্থা হয়েছে। বৃষ্টির পানিতে ভরপুর রয়েছে গর্তগুলো। এ ছাড়াও ওয়াপদা থেকে মধুখালী যেতে বালিয়াকান্দি অংশেও সড়কে গর্ত যা সাধারণ মানুষের হাঁটার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ওয়াপদা ১০ টনের ওপর ভারী যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞার একটি সাইনবোর্ড দেখা যায়। তবে কে নিয়ন্ত্রণ করবে এই যানবাহনগুলো তা এখন পর্যন্ত স্পষ্টত দৃশ্যমান ভূমিকা চোখে পরেনি। উপজেলা পরিষদ থেকে এ ধরনের গর্ত ভরাট করে যানবাহন চলাচলের উপযোগী করতে ইটের খোয়া ও বালু ফেলানো হচ্ছে। জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী সড়কের বেহালদশার বিষয়টি স্বীকার করে এর আগে জানিয়েছিলেন, সড়কটি প্রকল্পভুক্ত হওয়ায় সময় লাগবে, তবে আশা করছি শিগগিরই হবে। ২০১৯ সালের মধ্যে হবে কি না এমনটি নিশ্চিত করতে পারেননি এই কর্মকর্তা।
বালিয়াকান্দি উপজেলা প্রকৌশলী সজল কুমার দত্ত সড়ক প্রসঙ্গে বলেন, ভারী যানবাহনের কারণে কয়েক দিনেই নষ্ট হয়ে যায়। এ কারণে কিছু পিলার স্থাপন করা হবে যাতে করে ১০ চাকার ট্রাকসহ ভারী যানবাহন চলাচল না করতে পারে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইশরাত জাহান বলেন, সড়কগুলোর দুরাবস্থা দেখে আপাতত চলাচল উপযোগী করতে উপজেলা পরিষদ থেকে দুই লাখ টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। ওই প্রকল্পে ইটের খোয়া ও বালু ফেলানো হচ্ছে। এতে করে মানুষের কিছুটা হলেও কষ্ট লাঘব হবে। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: আবুল কালাম আজাদ বলেন, গত বছর ছয় লাখ টাকা ব্যয়ে সড়কগুলো সংস্কার করা হয়েছে কিন্তু ভারী যানবাহন চলাচলের কারণে যা ছিল তাই হয়ে গেছে। সড়কটিতে মোটামুটি চলাচল উপযোগী করার মতো দুই লাখ টাকা ব্যয়ে খোয়া ও বালু ফেলানোর কাজ শুরু করা হয়েছে। তবে ভারী ট্রাকগুলোকে যদি নিয়ন্ত্রণ করা যায় তবে সড়কগুলো টেকসই হবে। তারপর প্রকল্পের কাজ হলে তো সব সমস্যার সমাধান হবে। আমি এই সড়কগুলো নিয়ে প্রতিনিয়ত জোর চেষ্টা চালাচ্ছি। জনসাধারণের দুর্ভোগে আমিও কষ্ট পাচ্ছি বলেও তিনি জানান।

 


আরো সংবাদ



premium cement

সকল